রাষ্ট্রসঙ্ঘে স্বীকৃতি পেল বাংলা ভাষা

গত ১০ই জুন রাষ্ট্র সংঙ্ঘের ৭৬তম সাধারণ অধিবেশনে বহুভাষাবাদের পক্ষে অ্যান্ডোরা ও কলম্বিয়ার আনা প্রস্তাব গৃহীত হয়৷ গৃহী

নিজস্ব সংবাদদাতা

আনন্দমার্গ স্কুলের প্রাক্তন ছাত্রের যুগান্তকারী আবিষ্কার

পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার ছেলে সাবির হোসেন এক বিশেষ ধরণের পাউডার আবিষ্কার করেছেন যা ব্যবহারে খুবই অল্প সময়ের মধ্যে ক্ষতস্থানের রক্তপাত বন্ধ হয়ে যাবে৷ পি.এন.এ.

সুপ্রিম কোর্টে সাতে নেই বাংলা প্রতিবাদে সরব ‘আমরা বাঙালী’

সুপ্রিম কোর্ট তার রায় প্রকাশের মাধ্যম হিসাবে হিন্দী, ইংরাজীর সাথে আরও পাঁচটি ভাষাকে বেছে নিয়েছে৷ তার মধ্যে উড়িয়া, অসমিয়া থাকলেও বাংলা ভাষার স্থান হয়নি নিজস্ব সংবাদদাতা

বিশ্ব পরিবেশ দিবসে আবেদন

‘‘মানুষ যেন মানুষের তরে সবকিছু করে যায়৷

               একথাও যেন মনে রাখে পশুপাখী তার পর নয়

নিজস্ব সংবাদদাতা

জন্মদিনে  ঋষি অরবিন্দকে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন

প্রভাত খাঁ

অতীতের সেই স্বর্ণগর্ভা বাঙলার বুকে এমন  এক মহান ব্যষ্টিত্বের জন্ম হয়েছিল যাঁরা বিশ্বের বুকে চিরকাল স্মরণীয় হয়ে থাকবেন৷ তঁদের জন্যে এই বাঙলাও নিজেকে ধন্য মনে করে৷ তেমনই এক মহাসাধক, মহাজ্ঞানী, মহান বিপ্লবী হলেন ঋষি অরবিন্দ ঘোষ৷ তিনি জন্মগ্রহণ করেন হুগলী জেলার উত্তরপাড়ায় ১৮৭২ সালের ১৫ই আগষ্ট৷ তিনি ছিলেন একাধারে দার্শনিক রাজনৈতিক নেতা ও যোগী৷ তাঁর পিতার নাম ডাঃ কৃষ্ণমোহন ঘোষ৷ তাঁর পিতা চাইতেন তিনি উচ্চ সরকারী বিভাগে চাকুরী করে জীবন নির্বাহ করুন৷ সেই কারণে তিনি তাঁকে ইংল্যাণ্ডে আই.সি.এস.

স্বাধীনতা--- এ কেমন স্বাধীনতা!

জ্যোতিবিকাশ সিন্হা

ভারতের স্বাধীনতা সত্তর বছরে পদার্পণ করল৷ হাজার হাজার শহীদের রক্তের বিনিময়ে যে স্বাধীনতা আমরা পেয়েছি তার সামগ্রিক সুফল এই সত্তর বছরেও প্রকৃত অর্থে উপলব্ধ হয়নি৷ এখনও দেশের অধিকাংশ মানুষ সুশিক্ষিত হয়ে ওঠেনি৷ যদিও বিভিন্ন ভাবে সাধারণ মানুষকে শিক্ষিত করারও ছোটদের বিদ্যালয়মুখী করার জন্যে দ্বিপ্রাহরিক খাদ্য, শিক্ষা সংক্রান্ত কিছু সুযোগ সুবিধা ইত্যাদির মাধ্যমে বিক্ষিপ্ত প্রচেষ্টা চলছে৷ কিন্তু সমগ্র দেশের এক ও অভিন্ন সু-সংহত প্রকল্প না থাকার ফলে সেই প্রয়াস সাফল্যমণ্ডিত হচ্ছে না৷ শুধু তাই নয়, এখনও গ্রামে গঞ্জে প্রান্তিক মানুষজন বিশ্বাস করেন, একটি শিশুর যেমন খাওয়ার জন্য একটি মুখ আছে তেমনি কাজ করার জন্

বাংলা বানান  সংস্কার

জ্ঞানভিক্ষু

প্রাউট–প্রবক্তা মহান দার্শনিক ঋষি শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকার ভাষাতত্ত্ব ও ব্যাকরণ বিজ্ঞানের ওপরও বহু অমূল্য পুস্তক রচনা করেছেন, যা কলকাতা, ঢাকা, কল্যাণী প্রভৃতি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা অধ্যাপক সহ বিশিষ্ট ভাষাতাত্ত্বিক ও জ্ঞানী গুণীজনের দ্বারা বহুল প্রশংসিত৷ তাঁর রচিত ‘প্রভাতরঞ্জনের ব্যাকরণ বিজ্ঞানে’ (৩ খণ্ড) তিনি বহু প্রচলিত অনেক বাংলা বানানের ভুলত্রুটি বা অর্থবিচ্যুতি দেখিয়ে সে সবের সংস্কার সাধনেও সচেষ্ট হয়েছেন৷ এ ধরনের কিছু বাংলা বানান সম্পর্কে তাঁর অভিমত তাঁর ভাষাতেই প্রকাশ করা হচ্ছে ঃ

গায়ত্রী

এন.আর.সি এর মতো কালাকানুন বিদেশী সমস্যা সমাধানের পথ নয়

মুশাফির

বর্তমানে মানুষের সমাজ অনেক বড়ো হয়ে গেছে৷ অনেক ছোট বড় জনগোষ্ঠীর সমাজ মিলে মিশে এক হয়ে গেছে৷ সংকীর্ণ জাতপাত আজ মানুষের সমাজকে টুকরো টুকরো  করে রাখতে পারবে না৷  পৃথিবী হয়ে গেছে  আজ একটা বৃহৎ পরিবার৷ তাই আজ মানব  সমাজ এক ও অবিভাজ্য৷

আজকের  রাষ্ট্রগুলি কিন্তু সেই পুরাতন চিন্তা ভাবনা নিয়ে চলছে৷  ভারত বিরাট একটি ভূখণ্ডে অবস্থান করছে৷ বহুভাষাভাষীর মানুষ এখানে  বাস করছে৷ নানা ধর্মমতে  তারা বিশ্বাসী৷ তাই ভারতের  যুক্তরাষ্ট্রীয় শাসনব্যবস্থা হবে উদার ও মানবিক মূল্য বোধের পীঠস্থান৷ তাই রবি ঠাকুর বলতেন

‘‘দেবে আর নেবে, মেলাবে মিলিবে যাবে না ফিরে,

কৃষিজাত পণ্যকে শিল্পে রূপান্তরিত করার কাজে সমবায়কে গুরুত্ব দাও

প্রভাত খাঁ

বর্ত্তমানে সাধারণ জনগণ সামাজিক ও অর্থনৈতিক বিপর্যয়ে একেবারে  পঙ্গু হয়ে পড়েছে৷ তাদের দিকে  কি কেন্দ্র আর কি রাজ্যগুলির নজর নেই৷ রাজনৈতিক দলগুলো সদাসর্বদা ব্যাস্ত কি করে  কেবল গদী সামলানো যায়৷ আজ এই রাজ্য তথা ভারতের অন্য রাজ্যগুলির বিশেষ করে  লক্ষ লক্ষ যে  গ্রাম রয়েছে সেই গ্রামের কৃষি উৎপাদিত শস্যকে কাঁচামাল হিসাবে না দেখে কৃষিজাত পণ্যকে শিল্পজাত পণ্যে রূপান্তরিত করে গ্রামগুলির অর্থনৈতিক উন্নয়নে মন দেওয়া উচিত৷

আনন্দমার্গী ও শ্রাবণী পূর্ণিমা

জ্যোতিবিকাশ সিন্হা

আনন্দমার্গের সাধনা,

আনন্দমার্গীদের জীবন ও শ্রাবণী পূর্ণিমা---একে অপরের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে যুক্ত৷ বস্তুতঃ শ্রাবণী পূর্ণিমার পূণ্যলগ্ণেই আনন্দমার্গ সাধনার সুত্রপাত৷ ১৯৩৯ সালের শ্রাবণী পূর্ণিমার পবিত্র সন্ধ্যায় সদ্গুরুর কৃপায় পৃথিবী নামক গ্রহের মানব মনে যে বীজমন্ত্র প্রথম নিষিক্ত হয়েছিল, আজ তা বিশ্বের ১৮২ টি দেশে লক্ষ লক্ষ আনন্দমার্গীর অন্তরের গভীরে পল্লবিত, পুষ্পিত হয়ে পরম মুক্তির মহা মন্ত্রে উত্তরিত--- জড়ত্বের অন্ধ তমসার বাঁধন ছিঁড়ে ভূমাচৈতন্যের অনন্ত আলোকঝর্ণাধারার পথের দিশারী৷

শ্রাবণী পূর্ণিমা–আত্মজ্যোতিতে প্রতিষ্ঠিত হও

আচার্য সত্যশিবানন্দ অবধূ্ত

‘আত্মমোক্ষার্থং জগদ্ধিতায় চ’–আত্মার মুক্তি ও জগতের কল্যাণ–এই মহান আদর্শকে সামনে রেখে আনন্দমার্গ প্রচারক সঙঘ তার শাখা–প্রশাখা ছড়িয়ে দিয়েছে বিশ্বের দেশে–দেশে৷ ধর্ম ও কর্মের সমন্বয়ে এই সুমহান আদর্শকে রূপ দিতে আনন্দমার্গ গড়ে তুলেছে বিশ্বের সর্বত্র অসংখ্য আদর্শ সুক্ল, শিশু সদন, ত্রাণ কেন্দ্র, সঙ্গীত শিক্ষাকেন্দ্র, প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, মাষ্টার ইয়ূনিট সহ বহু সেবা ও উন্নয়ন প্রকল্প৷ যাঁর আশীর্বাদ ও প্রেরণা নিয়ে আনন্দমার্গ অত্যল্পকালের মধ্যেই বিশ্ব সংঘটন রূপে আত্মপ্রকাশ করতে পেরেছে তিনি হলেন সেই সংঘটনেরই জনক ও গুরুদেব শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী৷

বাইশে শ্রাবণ---‘উড়িছে আলোর কণিকা’

পথিক বর

জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ী, ২২শে শ্রাবণ ১৩৪৮৷ সূর্য তখন মধ্য গগণে, ধরণীর কোলে তার তেজোদীপ্ত মহিমা ছড়িয়ে বিরাজ করছে৷ কিন্তু জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়ীতে তখন বাংলার গৌরব রবি অস্তমিত৷ শোকে বিষাদমগ্ণ ঠাকুরবাড়ী, বিষাদমগ্ণ মহানগরী কোলকাতা৷ সেই বিষাদের ছায়া ক্রমে গ্রাস করল বাংলা, ভারত তথা গোটা বিশ্বকে৷ বিশ্বকবি আর এ বিশ্বে নেই৷

ভয়ঙ্কর ফ্যাসিষ্ট শোষণের শিকার বাংলা

মনোজ দেব

মার্কস শোষণ বলতে ভেবেছিলেন---শ্রমিক শ্রেণীকে ন্যায্য পাওনা না দিয়ে পুঁজিপতিরা যে মুনাফা লোটে সেটাই শোষণ৷ এটাও শোষণ কিন্তু এই শোষণের আগেও আরও শোষণ আছে৷ শোষণের সঠিক সংজ্ঞা একমাত্র প্রাউটের দৃষ্টিকোণ থেকেই পাওয়া যায়৷ প্রাউট প্রবক্তার ভাষায়---একটি নির্দিষ্ট ভৌগোলিক সীমার মধ্যে অবস্থিত তথাকার জনগোষ্ঠীর দৈহিক, মানসিক ও আধ্যাত্মিক বিকাশকে স্তম্ভিত করে, ওই অঞ্চলের প্রাকৃতিক সম্পদের সঙ্গে স্থানীয় জনগোষ্ঠীর শ্রম ও মানসিক সম্পদের অবাধ লুণ্ঠনই হ’ল শোষণ৷