স্বাস্থ্য রক্ষায় নিরামিষ
মানুষের শারীরিক মানসিক ও আধ্যাত্মিক বিকাশে নিরামিষ খাদ্য অত্যন্ত সহায়ক৷ আমাদের পাচকযন্ত্র নিরামিষ খাদ্যের উপযোগী করেই তৈরী৷
- Read more about স্বাস্থ্য রক্ষায় নিরামিষ
- Log in to post comments
সবাই মিলে' এক সঙ্গে চলার নামই সমাজ। যে পিছিয়ে রয়েছে তাকে ঘৃণা না করে' এগিয়ে আসতে সাহায্য কোরো। এটাই হবে তোমার সমাজ-ধর্ম।
-- শ্রীশ্রী আনন্দমূর্ত্তি
মানুষের শারীরিক মানসিক ও আধ্যাত্মিক বিকাশে নিরামিষ খাদ্য অত্যন্ত সহায়ক৷ আমাদের পাচকযন্ত্র নিরামিষ খাদ্যের উপযোগী করেই তৈরী৷
অতীতের সেই ভারতবর্ষ আজ আর নেই! সেই মহান ভারতবর্ষকে তিনখণ্ড করে আজ পাকিস্তান ভারত ও বাংলাদেশ হয়েছে৷ মাঝে ভারত যুক্তরাষ্ট্র যেন আজ ডানা কাটা পক্ষী বিশেষ!
কংগ্রেস আমলে মানসিক ও আর্থিক শোষণ লাগাম ছাড়া হওয়ায় মৃত্যুর মিছিল বন্ধ করতে শুরু হলো ‘ফুড ফর ওয়ার্ক’৷ এটা এক ধরনের কাজের নামে খাদ্যের মেলা৷
অন্যদিকে সিপিএমের রাজনৈতিক শ্লোগান হলো ‘ঋণ করে ঘি খেয়ে যাও৷’ তাই তাদের আমলে শুরু হলো মাঠে ঘাটে ক্যাম্প করে জনসাধারণকে কাজের পরিকল্পনা না দিয়ে ব্যাঙ্কের মাধ্যমে টাকা দেওয়ার ঋণের মেলা৷ তাদের নেতারা বলতেন ওই ঋণের টাকা মকুব হয়ে যাবে৷ বাস্তবে কিন্তু ঘটনা ঘটেছে উল্টো অর্থাৎ ঋণ গ্রহিতার উপর টাকা আদায়ের জন্য ব্যাঙ্ক বাড়ীতে বাড়ীতে গিয়ে চাপ সৃষ্টি করলে অনেকেই জমি ঘটি বাটি বিক্রয় করেও ঋণ পরিশোধ করতে না পেরে আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়৷
মাতৃভাষায় মানুষ যত সহজে সাবলীল ভাবে ও স্বচ্ছন্দে ভাবপ্রকাশ করতে পারে, অন্য কোনো ভাষায় সে তা পারে না৷ অন্য ভাষায় মানুষ স্বচ্ছন্দে ভাব প্রকাশ করতে পারে না৷ প্রতি মুহূর্ত্তে কোনো জনগোষ্ঠীকে অন্য ভাষায় ভাব প্রকাশ করতে বাধ্য করা হলে, সব সময় তারা অস্বচ্ছন্দ বোধ করে, ফলে তাদের প্রাণশক্তি ক্ষতিগ্রস্ত হয়৷ এ অবস্থায় তাদের দু’ধরণের মানসিক সংকটের সম্মুখীন হতে হয়–(১) হীনম্মন্যতা বোধ৷ ওই হীনম্মন্যতা বোধ ওই জনগোষ্ঠীর মনকে ধীরে ধীরে দুর্বল করে দেয়৷ তাই তাদের ভাষায় অবদমিত, মাতৃভাষা ছাড়া অন্য ভাষাতে সবসময় কাজকর্ম করতে হয় তারা ধীরে ধীরে যেমন মানসিক ভাবে দুর্বল হয়ে পড়ে, তারা তাদের নৈতিক উদ্যম ও প্রতিবাদ করার শ
হ্যারিসন রোডে ‘বেঙ্গলী’ সাপ্তাহিক পত্রিকার কার্যালয়ে বসে আছেন সম্পাদক সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়৷ তাঁর সঙ্গে দেখা করতে এলেন একজন স্বদেশ প্রেমিক কবি৷
কথা প্রসঙ্গে বললেন সুরেন্দ্রনাথ, ‘জানেন, এবার দেওঘরের ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট হার্ড সাহেবকে খুব জব্দ করেছি৷ সে একজনকে বেআইনী বেত মেরেছিল৷ আমি কাউন্সিলে সে প্রশ্ণ তুলেছি৷ কটন সাহেব এক সপ্তাহ প্রশ্ণটি স্থগিত রাখতে অনুরোধ করেছিলেন৷ তাতে আমি রাজী হইনি৷ আগামীকালই প্রশ্ণটি কাউন্সিলে উঠবে৷ কবি তাতে মোটেই সন্তুষ্ট হলেন না৷ তাতে সুরেন্দ্র-পক্ষীয়রা খুব চটে গেলেন৷.....
২০২১ সনের সূচনা বিভিন্ন দিক দিয়ে অত্যন্ত অর্থবহ৷ সমগ্র ২০২০ সাল ধরে অতিমারি করোনার মারণ তাণ্ডবের পর এই বছরেরই প্রথম মাস জানুয়ারির ১৬ তারিখে ভারতে করোনা-প্রতিষেধক প্রয়োগের আনুষ্ঠানিক শুভারম্ভ করেন দেশের প্রধানমন্ত্রী শ্রীযুক্ত নরেন্দ্র মোদী৷ অবশ্য জানুয়ারি মাসটি সারা বিশ্বে তথা বঙ্গদেশসহ ভারতবর্ষে বিশেষ তাৎপর্য বহন করে৷ এই মাসেরই প্রথম দিন পৃথিবীর সব দেশে ইংরেজী দিনপঞ্জী মতে বছরের প্রথম দিন হিসেবে স্বীকৃত৷ এছাড়াও এই দিনটিকে শ্রীরামকৃষ্ণ পরমহংসদেবের ‘‘কল্পতরু দিবস’’ হিসাবে পালন করা হয়৷ ১৮৮৬ সালের ১লা জানুয়ারি উত্তর কলকাতার কাশীপুর উদ্যানবাটীতে শ্রীরামকৃষ্ণ কল্পতরুরূপে ভক্তগণকে আশীর্বাদ কর
ভারতে করোনার মধ্যে কেন্দ্রীয় সরকার এর ২০২১-২২ সালের আর্থিক বছরের আয়ব্যয়মাত্রিকা পেশ করা হয়েছে মাননীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতার মনের দ্বারা৷ এই আয়ব্যয় মাত্রিকা বেশ কিছুক্ষেত্রে বিলগ্ণিকরণের উল্লেখ আছে৷ এতে যে দেশের হতদরিদ্র লোক প্রাণে বাঁচার সুযোগ পাবেন তা আশা করাই বৃথা, কারণ দেশটি চলছে পুঁজিবাদী শাসকদের দ্বারা৷ অদ্যাবধি দেখা যাচ্ছে এ সরকার যা করে চলেছেন তা সকল ক্ষেত্রে ধনীদেরই জয় জয়কার৷ সরকার আর্থিক ক্ষেত্রে একেবারেই জি.ডি.পির মান শূন্যের নীচে এ দাঁড় করিয়েছেন৷ লক্ডাউনে কর্মহীন হয়ে পড়েছেন ১২ কোটি ২০ লক্ষ মানুষ৷ কিন্তু ১০০ জন ধনকুবের লক্ডাউনে ৩৫ শতাংশ সম্পদ বাড়িয়েছেন৷ সম্প্রতি অক্সফ্যাম ‘
পৃথিবীর ইতিহাসে দেখা গেছে, যখনই কোনো মহাপুরুষ প্রচলিত ধর্মীয় কুসংস্কার ও অন্ধবিশ্বাসের বিরোধিতা করেছেন, সামাজিক–র্থনৈতিক নানান শোষণ ও অবিচারের প্রতিবাদ করেছেন, শোষণমুক্ত সমাজের আদর্শ তুলে ধরেছেন, তখনই তাঁর বিরুদ্ধে শোষকশ্রেণী বা কায়েমী স্বার্থবাদী গোষ্ঠী ও তাদের স্তাবকরা নানা ভাবে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে, এমন কি তাঁদের পৃথিবী থেকে সরিয়ে দেওয়ার জন্যে নানান্ভাবে চেষ্টা চালিয়েছে৷
তাই সক্রেটিসকে হেমলগ বিষ পান করানো হয়েছিল, যীশুখৃষ্টকে ক্রুশবিদ্ধ করা হয়েছিল–এমনি অজস্র উদাহরণ ইতিহাসের পাতায় উজ্জ্বল হয়ে রয়েছে৷
সংস্কৃত কলেজের একটা ভাঙা সিঁড়ি নিয়ে একবার দুই ক্লাসের ছেলেদের মধ্যে ভীষণ মারামারি ও হৈ-চৈ হলো৷ দুই পক্ষই চাইল ভাঙা সিঁড়িটি খেলার সামগ্রী হিসাবে দখল করতে৷ তাই উভয় দলের মধ্যে শুরু হলো শক্তি পরীক্ষা৷ প্রথমে কথা কাটাকাটি...তারপর ঠোকনা-ঠাকনি...তারপর ঠেলাঠেলি ব্যঙ্গবিদ্রূপ... শেষ পর্যন্ত দুমদাম কিলচড় লাথিঘুষি৷
সংবাদটা পৌঁছে গেলো অধ্যাপক মহলে৷ জনকয়েক অধ্যাপক ছুটে এসে ধমকানি দিতেই ছাত্ররা যে যার ক্লাসে পালিয়ে গেলো৷
অগণিত ভারতবাসীদের প্রাণবলি, আত্মত্যাগ, দ্বীপান্তরে নির্বাসন,ও অপরদিক থেকে বেইমান আর বিশ্বাসঘাতক দালাল ও ব্রিটিশ শাসকদের অনুচরদের বর্বরচিত নিন্দাবাদ সমালোচনার গ্লানি সয়ে যাওয়ার--- বিনিময়ে ভারতবাসী সেদিন পণ্ডিত নেহেরুর হাত দিয়ে পাওয়া ‘রাজনৈতিক ক্ষমতা-হস্তান্তর চুক্তিকেই ‘‘দেশের স্বাধীনতা’’ বলে মেনে নিতে বাধ্য হয়েছিলেন---১৯৪৭ সালের ১৪ই আগষ্ট গভীর রাতের কালো অন্ধকারে৷ কিন্তু সেই স্বাধীনতার আস্বাদন কী রকম তা’ অবশ্যই বুদ্ধিমান ও বিচারশীল ভারতবাসী মাত্রেই আশা করি বুঝতে পেরেছেন আর এত বছরের ব্যবধানে তাঁদেরই বংশধরগণ, পরবর্তী প্রজন্ম যাঁরা অন্ততঃ নিজেদের চোখ দিয়ে দেখা, কোন দিয়ে শোনা আর আপন চিন্তা-বুদ্