রাষ্ট্রসঙ্ঘে স্বীকৃতি পেল বাংলা ভাষা

গত ১০ই জুন রাষ্ট্র সংঙ্ঘের ৭৬তম সাধারণ অধিবেশনে বহুভাষাবাদের পক্ষে অ্যান্ডোরা ও কলম্বিয়ার আনা প্রস্তাব গৃহীত হয়৷ গৃহী

নিজস্ব সংবাদদাতা

আনন্দমার্গ স্কুলের প্রাক্তন ছাত্রের যুগান্তকারী আবিষ্কার

পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার ছেলে সাবির হোসেন এক বিশেষ ধরণের পাউডার আবিষ্কার করেছেন যা ব্যবহারে খুবই অল্প সময়ের মধ্যে ক্ষতস্থানের রক্তপাত বন্ধ হয়ে যাবে৷ পি.এন.এ.

সুপ্রিম কোর্টে সাতে নেই বাংলা প্রতিবাদে সরব ‘আমরা বাঙালী’

সুপ্রিম কোর্ট তার রায় প্রকাশের মাধ্যম হিসাবে হিন্দী, ইংরাজীর সাথে আরও পাঁচটি ভাষাকে বেছে নিয়েছে৷ তার মধ্যে উড়িয়া, অসমিয়া থাকলেও বাংলা ভাষার স্থান হয়নি নিজস্ব সংবাদদাতা

বিশ্ব পরিবেশ দিবসে আবেদন

‘‘মানুষ যেন মানুষের তরে সবকিছু করে যায়৷

               একথাও যেন মনে রাখে পশুপাখী তার পর নয়

নিজস্ব সংবাদদাতা

দলীয় স্বার্থরক্ষা করতে  জনগণের স্বার্থ উপেক্ষিত

প্রভাত খাঁ

২৬শে নভেম্বর হলো পবিত্র  সংবিধান দিবস এই দিনে মহান্‌ দেশনেতা বি.আর. আম্বেদকর বিভিন্ন দেশের সংবিধানের সারমর্মগুলি গ্রহণ করে ভারতের মৌলিক আদর্শকে সামনে রেখে ভারতের সংবিধান রচনা করেছিলেন৷ এটি একটি অভিনব সংবিধান যা সর্বাপেক্ষা বৃহত্তম সংবিধান বলে পরিচিত৷ 
এই পবিত্র সংবিধানকে ৭৬ বছরের শাসনে প্রায় ১০০বার সংশোধন করা হয়েছে৷ কেন্দ্রীয় সরকারের সেই পবিত্র সংবিধানকে আজ দেখাই  যায় না৷ পবিত্র সংবিধান আজ সংশোধনের কালির দাগে  ক্ষত বিক্ষত৷  কেন্দ্রে যে দল শাসনে এসেছে তারাই  সংবিধানকে সংশোধনের অছিলায় আঘাত করে আহত করেছে৷ 

ক্রিকেট ও কদর্য জাতিবিদ্বেষ

পথিক বর
সদ্য শেষ হওয়া ক্রিকেট বিশ্বকাপ নিয়ে দুই বাঙলার কিছু ক্রিকেট ভক্ত (ক্রিকেট জুয়াড়ি) সোশ্যাল মিডিয়ায় পরস্পর বিরোধী এমন কিছু অশালীন আনপড় মন্তব্য করছে আর ভাবছে তারাই যেন দুই বাঙলার ত্রিশ কোটি মানুষের একমাত্র প্রতিনিধি৷ তাদের কথাই যেন ৩০ কোটি মানুষের মুখের মনের কথা৷ এরা বোঝেনা দুই বাঙলার সম্পর্ক আজকের ক্রিকেট নামক নিকৃষ্ট জুয়ার সঙ্গে নয়৷ দুটি ভিন্ন রাষ্ট্রের বাসিন্দা হলেও দুই বাঙলার সম্পর্ক রাষ্ট্রের রাজনৈতিক পরিস্থিতির সঙ্গে ওঠা পড়া করে না, সব সময়৷ ভাষা, সাহিত্য, সংস্কৃতি কৃষ্টি আচার-আচরণ আহার বিহারে সে সম্পর্ক চিরস্থায়ী৷ রবীন্দ্রনাথ নজরুল জমীউদ্দিন জীবনাদাস---এইরকম হাজারো হাজারো নাম দুই বাঙলার

আসুন...আমরা ঐক্যবদ্ধ হই---

 তপোময় বিশ্বাস

সকলকে শুভ দীপাবলির আন্তরিক প্রীতি ও শুভেচ্ছা জানাই৷ বর্তমান ভারতবর্ষের সর্বত্র এক ভয়াল, উত্তাল পরিবেশ-পরিস্থিতির উদ্ভব হয়েছে৷ এই উদ্ভব প্রকৃতি সৃষ্টিনয়, এর পশ্চাতে রয়েছে দূরভিসন্ধিমূলক সাম্রাজ্যবাদ বিস্তার তথা অর্থনৈতিক লুঠপাটের মনস্তত্ত্ব৷ পাঠক নিশ্চয়ই অবগত আছেন, বর্তমান কেন্দ্রীয় সরকার অহিন্দীভাষী রাজ্যগুলিতে বলপূর্বক রাষ্ট্রশক্তির মাধ্যমে হিন্দী ভাষা-সংসৃকতি চাপিয়ে সেই রাজ্যের বাসিন্দাদের সাংবাদিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করবার নীল নকশা ছকছে৷ গত ৮ই অক্টোবর কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নেতৃত্বাধীন সংসদীয় ভাষা কমিটি কেন্দ্রীয় সরকারী দফতরের চাকুরীজীবীদের বাধ্যতামূলক হিন্দী জানতে হবে, কেন্দ্রীয় সর

প্রগতিশীল সমাজতন্ত্র যুগের ডাক ধনতন্ত্র চুলোয় যাক

প্রভাত খাঁ

দীর্ঘ ৭৬ বছর পরেও আমাদের ভাবতে হচ্ছে স্বাধীন দেশের নাগরিক হয়ে দেশের সিংহভাগ মানুষের বেঁচে থাকার জন্য যে পাঁচটি জিনিষের অত্যধিক প্রয়োজন, তারা পাচ্ছে না৷ আজও অনেকের ক্ষুধা নিয়ে জন্ম হচ্ছে পথে ঘাটে, আর মরতে হচ্ছে সেই পথে ঘাটে অবহেলিত পশু-পক্ষীদের মত৷  পাশাপাশি ভারতের মত বিরাট দেশে যৎসামান্য মুষ্টিমেয় কিছু ধনী ভাগ্যবানরা দেশের সম্পদের সিংহভাগের মালিক৷

প্রাউটের বাস্তবমুখী অর্থনীতি মানবতার আর্থিক মুক্তির পথ

মনোজ দেব

পুঁজিবাদী ব্যবস্থায় পুঁজিপতি পরিচালিত শিল্পের একটা বড় রোগ হ’ল, বিভিন্ন অজুহাতে শ্রমিক ছাঁটাই ও হঠাৎ কারখানায় তালা ঝুলিয়ে দেওয়া৷ যার ফলে বহু শ্রমিক হঠাৎ কর্মহীন হয়ে পড়ায় তাদের পরিবারকে অশেষ দুর্ভেগের মুখে পড়তে হয়৷ বহু ক্ষেত্রে তারা অনাহারে, অপুষ্টিজনিত বিভিন্ন রোগে মারা যায় বা আত্মহত্যা করে, সাংসারিক অশান্তি থেকে রেহাই পাাবার রাস্তা খুঁজে নেয়৷

পরধর্মঃ ভয়াবহ

পত্রিকা প্রতিনিধি

গীতার একটি শ্লোকে বলা হয়েছে ‘‘স্বধর্মে নিধনং শ্রেয়ঃ পরধর্মঃ ভয়াবহ৷’’  মানুষ সাধারনতঃ নিজের নিজের ধর্মমতকে স্বধর্ম ও অন্যের ধর্মমতকে পরধর্ম বুঝে থাকে৷ কিন্তু এখানে শ্রীকৃষ্ণ স্বধর্ম বলতে বুঝিয়েছেন  মানুষের ধর্ম---ভাগবত ধর্ম, পরধর্ম অর্থাৎ পশুর ধর্ম৷ ধর্ম সম্পর্কে রবীন্দ্রনাথ বলেছেন---‘‘পশু বলছে সহজ ধর্মের পথে ভোগ কর, মানুষ বলছে মানব ধর্মের সাধনা কর৷’’ তিনি আরও বলেছেন তরুলতা সহজেই তরুলতা, পশুপাখি সহজেই পশুপাখি, কিন্তু মানুষকে প্রাণপণ চেষ্টায় মানুষ হতে হয়৷ অর্থাৎ মানুষকে মানুষ হতে হলে  মানবধর্মের সাধনা করতেই হবে৷ কিন্তু আজকের মানুষ মানব ধর্মের সাধনা ছেড়ে সহজ ধর্মের প

কালী-ভক্তি ইংরেজদেরও কম ছিল না

প্রণবকান্তি দাশগুপ্ত

(কালী মাহাত্ম্য নয়, ইংরেজ আমলের এক টুকরো সামাজিক ইতিহাস তুলে ধরাই এই নিবন্ধ রচনার  উদ্দেশ্য)

বালিঘাটা এড়াইল বেনিয়ার বালা৷ কালীঘাটে গেল ডিঙ্গা অবসান বেলা৷ মহাকালীর চরণ পূজেন সদাগর৷ তাহার মেলান বেয়ে যায় মাইনগর৷

গণতন্ত্রের অব্যবহার করছে দেশের শাসক দল

প্রভাত খাঁ

গত শতাব্দীর পাঁচ দশকের মাঝামাঝি ভারতবর্ষ সাম্প্রদায়িকতার ভিত্তিতে ভাগ হয়৷ পাকিস্তান আর ভারতযুক্তরাষ্ট্র, হিসাবে মুসলমানদের ইসলাম ধর্মমত ভিত্তিক রাষ্ট্র হয় পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্তান আর ডানাকাটা পাখির মতো ভারতযুক্ত রাষ্ট্রে সৃষ্টি হয়৷ এই ভারত যুক্তরাষ্ট্র হয় ধর্মমত নিরপেক্ষ রাষ্ট্র হিসাবে৷ যদিও সাম্রাজ্যবাদী ইংরেজ ষড়যন্ত্র করে এর নাম দেয় হিন্দুস্তান৷ যদিও হিন্দু ধর্মমত ভিত্তিক রাষ্ট্র বলে ভারতকে অর্থাৎ ভারত যুক্তরাষ্ট্রকে সংবিধান মান্যতা দেয়নি৷ মনে রাখতে হবে৷ যদিও  সমগ্র মানব সমাজের ধর্ম হলো এক অবিভাজ্য৷ আর সেই এক ঈশ্বর যাকে ঈশ্বর, আল্লা ও গড় নামেই অভিহিত করা হয়৷ কারণ একই পৃথিবী, একই চন্দ্রসূর

অন্ধবিশ্বাস, কুসংস্কারাচ্ছন্ন রিলিজিয়ন ও ধর্ম সমার্থক নয়

মনোজ দেব

ধর্মের নামে নানা ধরণের অজস্র অন্ধবিশ্বাস ও কুসংস্কার সমাজে প্রচলিত৷ জাত- পাত - সম্প্রদায় ভেদে সবই ধর্মের নামে সমাজে জাঁকিয়ে বসেছে৷

শিক্ষিত-অশিক্ষিত প্রায় সমস্ত মানুষই এইসব বিশ্বাসকে ধর্মের সঙ্গে অবিচ্ছেদ্য মনে করেন৷ ধর্মের নামে এই সমস্ত কর্মকাণ্ডকে রিলিজিয়ন(Religion) আখ্যা দেওয়া হয়৷

বিজেপি বা আর এস এস-এর হিন্দুত্ব বাদও এই ধরণের উগ্র রিলিজয়নেরই প্রকাশ৷

আমাদের সুস্পষ্ট অভিমত প্রকৃত ধর্মের সঙ্গে এই সমস্ত কিছুর কোন সম্পর্ক নেই৷ ধর্ম ও রিলিজিয়ন এক নয়৷ এই মহান সত্যটা বোঝা আজ একান্ত প্রয়োজন৷ রিলিজিয়নকে বাঙলায় ধর্মমত বলা হলেও হতে পারে কিন্তু ধর্ম বলা যাবে না৷

সুপ্রিম তোপের মুখে পঞ্জাবের রাজ্যপাল

রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান রাজ্যপাল৷ রাষ্ট্রপতি রাজ্যপালকে নিয়োগ করে থাকেন৷ যদিও কেন্দ্রের শাসক দলের মর্জি মতই রাজ্যপাল বাছাই করা হয়৷ তাই রাজনীতির রং থেকে রাজ্যপাল সম্পূর্ণ মুক্ত নন৷ তবু এই সাংবিধানিক পদটির মর্যাদা রক্ষা করতে রাজ্যপালের নিরপেক্ষ ভূমিকা অবলম্বন করাই শ্রেয়৷ কিন্তু সংসদীয় রাজনীতির পাঁকে পড়ে এই অরাজনৈতিক পদটি অনেক সময়ই রাজনীতির স্বার্থেই ব্যবহার করা হয়৷ বিশেষ করে রাজ্যের ও কেন্দ্রের শাসক দল যদি ভিন্ন মতাবলম্বী হয়৷ রাজ্যপাল নিয়োগ যেহেতু কেন্দ্রীয় শাসকদলের মর্জিমত হয়ে থাকে তাই রাজ্যপালের দলীয় আনুগত্য কেন্দ্রীয় শাসকদলের দিকেই থাকে৷ কেন্দ্রের শাসক দলও দলীয়