রাষ্ট্রসঙ্ঘে স্বীকৃতি পেল বাংলা ভাষা

গত ১০ই জুন রাষ্ট্র সংঙ্ঘের ৭৬তম সাধারণ অধিবেশনে বহুভাষাবাদের পক্ষে অ্যান্ডোরা ও কলম্বিয়ার আনা প্রস্তাব গৃহীত হয়৷ গৃহী

নিজস্ব সংবাদদাতা

আনন্দমার্গ স্কুলের প্রাক্তন ছাত্রের যুগান্তকারী আবিষ্কার

পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার ছেলে সাবির হোসেন এক বিশেষ ধরণের পাউডার আবিষ্কার করেছেন যা ব্যবহারে খুবই অল্প সময়ের মধ্যে ক্ষতস্থানের রক্তপাত বন্ধ হয়ে যাবে৷ পি.এন.এ.

সুপ্রিম কোর্টে সাতে নেই বাংলা প্রতিবাদে সরব ‘আমরা বাঙালী’

সুপ্রিম কোর্ট তার রায় প্রকাশের মাধ্যম হিসাবে হিন্দী, ইংরাজীর সাথে আরও পাঁচটি ভাষাকে বেছে নিয়েছে৷ তার মধ্যে উড়িয়া, অসমিয়া থাকলেও বাংলা ভাষার স্থান হয়নি নিজস্ব সংবাদদাতা

বিশ্ব পরিবেশ দিবসে আবেদন

‘‘মানুষ যেন মানুষের তরে সবকিছু করে যায়৷

               একথাও যেন মনে রাখে পশুপাখী তার পর নয়

নিজস্ব সংবাদদাতা

সেবা ও ব্যবসায়

শ্রীসুভাষ প্রকাশ পাল

১৯৯৫ সালের সেপ্ঢেম্বর মাস৷ কয়েকদিন প্রবল বর্ষনের কারণে কংসাবতীর বাঁধ ভাঙায় ডেবরা ও পাঁশকুড়া  ব্লকের বিস্তীর্ণ অঞ্চল প্লাবিত হয়েছে৷ বিপুল সংখ্যক মানুষ, গবাদি পশু চরম দুর্দশার সম্মুখীন হয়েছে, বন্যা হওয়ার পরের দিন থেকেই আনন্দমার্গ ইয়ূনিবার্র্সল রিলিফ টীমের Amurt) উদ্যোগে আচার্য পূর্ণানন্দ অবধূতের পরিচালনায় ১৫/১৬ জনের একটি রিলিফ টীম বন্যাত্রাণ কার্যে ঝাঁপিয়ে পড়ল৷ রাষ্ট্রীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত জাতীয় শিক্ষক শ্রী নির্মলচন্দ্র মাইতির বদান্যতায় শ্যামসুন্দরপুর পাটনা হাইসুকলের একটি কক্ষে শিবির স্থাপন করে ত্রাণকার্য পরিচালিত হতে থাকল৷ প্রথমদিন বাড়ির ছাদ, খড়ের চালের মাথায়, গাছের ডালে  আশ্রয় নেওয়া মানুষজনদের

দুর্গাপূজা ও জগদ্ধাত্রী পূজার ইতিহাস ও তাৎপর্য

সম্পাদনা ---আশীষ দত্ত রায়

অনেকের ধারণা দুর্গাপূজা খুব পুরানো পূজা, কিন্তু তা মোটেই নয়৷ মুসলমান যুগেই এর প্রচলন হয় অর্থাৎ একেবারেই পুরানো নয়৷ বর্তমানে শরৎকালে বাঙালী হিন্দুরা যে দুর্গাপূজা করেন তার ভিত্তি হচ্ছে কৃত্তিবাস ঠাকুরের বাংলা রামায়ণ৷ কৃত্তিবাসী বাংলা রামায়ণে আছে যে রামচন্দ্র শরৎকালে দুর্গা পূজা করেছিলেন ১০৮টা কমল দিয়ে৷ কিন্তু বাল্মীকি রচিত সংস্কৃত রামায়ণে এ কাহিনী নেই৷ তুলসী দাসের রামচরিত মানসেও এসব কথা নেই৷ রামচন্দ্র যদি দুর্গাপূজা করতেন তাহলে তা অবশ্যই বাল্মীকি রামায়ণে থাকত৷

মাইক্রোবাইটাম তত্ত্বের আলোকে বিশ্বসৃষ্টির মূল কারণ

সমরেন্দ্রনাথ ভৌমিক

এই বিশ্ব সৃষ্টির মূল কারণ কী? প্রাণ বা প্রাণীনতার আদি বিন্দুটি কী? এই বিশ্বের কিংবা মহাবিশ্বের বুকে প্রাণীনতার আদিবিন্দুটি কী?

গণতন্ত্রে দলতন্ত্রটাই সমস্যার সৃষ্টি করে তাই কেন্দ্রে অবশ্যই মিলিজুলি সরকারই কাম্য

প্রভাত খাঁ

ভারত যুক্ত রাষ্ট্রটি বিচিত্র! এখানে ইংরেজের রাজনৈতিক মায়াজালে বিরাট দেশটি টুকরো টুকরোই হয়ে শেষ হয়েছে৷ আর একদল ধান্দাবাজ রাজনৈতিক দল গড়ে দীর্ঘ ৭৬ বছর ধরে ধনতন্ত্রের সেবাদাস হয়ে মজা মারছে  জনগণকে রাজনৈতিক অধিকার অর্থাৎ নির্বাচনে বোট দানের অধিকার টুকু দিয়ে!

বাঙলার সম্পদেই বাঙলার উন্নয়ন সম্ভব

প্রণবকান্তি দাশগুপ্ত

১৩ই অক্টোবর নোতুন পৃথিবীতে প্রবীন প্রাউটিষ্ট নেতা শ্রীপ্রভাত খাঁ বলেছেন,‘‘বাংলার উন্নয়নের জন্য দিল্লীর দিকে তাকিয়ে থাকতে হয় না৷ বাংলার সম্পদেই বাংলার উন্নয়ন সম্ভব৷ প্রকৃতির অকৃপণ দানে বনজ,কৃষিজ, জলজ, খনিজ কোন সম্পদেরই বাংলায় অভাব নেই৷’’ অতীব সত্যকথা৷

পশ্চিমবঙ্গের প্রধান প্রধান কৃষি ফসলগুলোকে তিনভাগে ভাগ করা হয়েছে ঃ (ক) খাদ্য ফসল,(খ) অর্থকরী ফসল,(গ) বাগিচা ফসল৷

অসম কি প্যালেস্টাইনের পথে!

পত্রিকা প্রতিনিধি

আর একটা অসম চুক্তির দিকে এগোচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার ও আলফার আলোচনাপন্থী নেতারা৷ আলোচনাপন্থী আলফা নেতারা জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে চুক্তি সম্পাদিত হলে আলফা ভেঙে দেওয়া হবে৷ আলফার এক মুখপত্র জানান চুক্তির বিষয়গুলি নিয়ে আইনি বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা চলছে৷ কিছু জটিলতা দেখা দিয়েছে ভিত্তিবর্ষ ধরে৷ আলফার দাবী ১৯৭১ সালের পরিবর্তে ১৯৫১ সালকে ভিত্তিবর্ষ ধরতে হবে৷  কেন্দ্রের কাছে ১১ দফা শর্তের তালিকা দিয়েছে আলফা৷ বিজেপি নেতা বিজন মহাজন আলফার দাবি না্যয্য বলে স্বীকার করেছেন৷ তাঁর কথায় ভিত্তিবর্ষ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা চলছে৷ তাই ভিত্তিবর্ষ নিয়ে কোন সিদ্ধান্ত এই মূহূর্তে

গাণিতিক সংখ্যার রহস্য পরিক্রমা

সমরেন্দ্রনাথ ভৌমিক

পরমপুরুষ তাঁর সৃষ্টিকে রেখেছেন এক রহস্যময়তার মোড়কের মধ্যে মুড়ে৷ আর এই রহস্যসমূহকে রেখেছেন বলেই না রহস্য উদ্ঘাটনের প্রশ্ণ জাগে আমাদের মনে৷ এই রহস্যময়তার উৎসকে খুঁজতে খুঁজতে এক সময়ে মানুষ রহস্যটাকে ভেদ করে পেয়ে যায় তার উৎসকে বা রহস্যের কারণটাকে৷ যখন মানুষ রহস্যকে জেনে ফেলে তখনই পায় এক বিশেষ আনন্দ অনুভূতি৷ পরমপুরুষ কৃপা করে তাঁর প্রতিটি সৃষ্টির মধ্যে লুকিয়ে রেখেছেন অগণিত রহস্যকে৷ কেন একটি বস্তু কঠিন থেকে তরল আবার ওই তরল থেকে গ্যাসীয় পদার্থে পরিণত হয়, কেনই বা একটি বস্তুকে ওপরের দিকে উৎক্ষিপ্ত করলে তা আবার  পৃথিবী পৃষ্ঠে ফিরে আসে–এমনই সব অগণিত অজানা রহস্য ছড়িয়ে রেখেছেন তাঁর এই সৃষ্টির মধ্যে৷ সংখ

যুক্ত রাষ্ট্রীয় কাঠামোয় এক দেশ এক নির্বাচন এক ধরণের স্বৈরাচারিতা

প্রভাত খাঁ

বর্তমানে সারা পৃথিবীটাই দোটানায় পড়ে হাবুডুবু খাচ্ছে--- সেটা হলো ঐক্যের মধ্যে বৈচিত্র, আর বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্য৷ সৃষ্টিতত্ত্বটা হলো ঐক্যের মধ্যে বৈচিত্র্য অর্থাৎ অবতরণ পদ্ধতি৷ অর্থাৎ সেই এক থেকে বহু৷ আর সৃষ্টির পর যে বহু সেটার লক্ষ্য হওয়া দরকার সেই বহুকে যেতে হবে ঐক্যে অর্থাৎ সেই এক এতে৷ আমাদের মধ্যে আমরা হয়তো অনেকেই জানি যে সেই ব্রহ্ম,ঈশ্বর, গড, আল্লাহ, সেই এক সত্ত্বা নামে আলাদা ঠিক যেমন জল, পানি, ওয়াটার নামে আলাদা কিন্তু বস্তুটি হলো একই, এই বিশ্বসংসারে বহু জিনিসের সৃষ্টি হয়েছে তারা সবাই এসেছে সেই এক থেকেই৷

আসুরী শক্তি করো খর্ব

স্নেহময় দত্ত

বর্ষার জল ভরা মেঘের বিদায়, নীল অম্বর মাঝে শুভ্র মেঘের নিরুদ্দেশে ভেসে চলা, ধরার বক্ষে শ্যামের প্লাবন, ভোরের বাতাসে হিমেল ভাব আর শিউলির সুবাস, শিশিরসিক্ত শ্যামল তৃণরাজি বনে বনে কুশ-কাশের সমারোহ---আনে নতুন এক আমেজ৷ প্রকৃতির রূপ বৈচিত্র্যের এই কালিক পরিবর্তনই বুঝিয়ে দেয় শরৎ এসেছে৷ প্রকৃতির এই পরিবর্তন মানুষের হৃদয়েও আনে পরিবর্তন---আনে আনন্দের জোয়ার---উৎসবের মেজাজ৷ ঋষি প্রভাতরঞ্জন সরকার তাঁর রচিত ও সুরারোপিত প্রভাত সঙ্গীতে শরৎ ঋতুর বর্ণনায় বলেছেন---

‘‘শরৎ তোমার সুরের মায়ায় আকাশ-বাতাস মাতালো৷

দূর নীলিমার সুধারাশি ধরার জীবন রাঙালো৷৷’’

আরো একটি গানে বলেছেন,