বাংলা বানান সংশোধন

অসংস্কৃতি– ‘সংস্কৃতি’র বিপরীত শব্দ ‘অপকৃতি’ চলতে পারে, তবে ‘অপসংস্কৃতি’ চলতে পারে না৷ কারণ ‘সংস্কৃতি’ (সম্–কৃ  ক্তিন্

রাষ্ট্রসঙ্ঘে স্বীকৃতি পেল বাংলা ভাষা

গত ১০ই জুন রাষ্ট্র সংঙ্ঘের ৭৬তম সাধারণ অধিবেশনে বহুভাষাবাদের পক্ষে অ্যান্ডোরা ও কলম্বিয়ার আনা প্রস্তাব গৃহীত হয়৷ গৃহী

নিজস্ব সংবাদদাতা

আনন্দমার্গ স্কুলের প্রাক্তন ছাত্রের যুগান্তকারী আবিষ্কার

পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার ছেলে সাবির হোসেন এক বিশেষ ধরণের পাউডার আবিষ্কার করেছেন যা ব্যবহারে খুবই অল্প সময়ের মধ্যে ক্ষতস্থানের রক্তপাত বন্ধ হয়ে যাবে৷ পি.এন.এ.

সুপ্রিম কোর্টে সাতে নেই বাংলা প্রতিবাদে সরব ‘আমরা বাঙালী’

সুপ্রিম কোর্ট তার রায় প্রকাশের মাধ্যম হিসাবে হিন্দী, ইংরাজীর সাথে আরও পাঁচটি ভাষাকে বেছে নিয়েছে৷ তার মধ্যে উড়িয়া, অসমিয়া থাকলেও বাংলা ভাষার স্থান হয়নি নিজস্ব সংবাদদাতা

জীবন ধারণের নূ্যনতম প্রয়োজন পূর্তিতে গণ অর্থনীতি মহৌষধ

প্রবীর সরকার

আজ পর্যন্ত মানুষের সমাজে বিশেষভাবে প্রচলিত যে অর্থনৈতিক ব্যবস্থা চালু আছে তা হ’ল এ্যাডাম স্মিথের ধনতান্ত্রিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থা৷ এই ব্যবস্থার সঙ্গে ধনী ব্যষ্টি ও শাসককুল যুক্ত৷ যাদের মূল অর্থনৈতিক লক্ষ্যটা ‘‘শোষণের ওপর সমৃদ্ধি’’৷ এখানে সৃষ্টির শ্রেষ্ঠতম জীব হ’ল মানুষ৷ সেই মানুষকে উৎপাদনের অন্যতম ফ্যাক্টর হিসেবেই দেখা হয়৷ শ্রমের বিনিময়ে তাঁকে পারিশ্রমিক দেওয়া হয়, খাদ্য বা খাদ্যের বিনিময়ে যৎসামান্য অর্থ যাকে বলা হয় স্যালারি, সাপ্তাহিক বা মাসিক মাহিনা৷

পঞ্চগৌড়ের দ্বিতীয় গৌড় বরেন্দ্রভূমি

একর্ষি

‘ বরেন্দ্রভূমি’--- এই নামকরণে কয়েকটি যুক্তি---

(অ) বরেন্দ্র= বর+ ইন্দ্র ৷ আবার বর= ব+অ, এবং ইন্দ্র= ই+রক৷ অর্থাৎ ‘বৃ’ ধাতুর সঙ্গে ‘অ’ প্রত্যয় হয় ‘বর’৷ বর মানে শ্রেষ্ঠ বা বরণ করা বা শ্রেষ্ঠ বলে স্বীকার করা৷ সংস্কৃত ‘ইন্দ্র’ শব্দটির অর্থ শ্রেষ্ঠ৷ তাহলে বরেন্দ্র শব্দটির ব্যুৎপত্তিগত অর্থ দাঁড়াল শ্রেষ্ঠের শ্রেষ্ঠ৷ আসলে বাঙলার উত্তরাংশ যা গঙ্গা বা পদ্মার বাম তীর অবস্থিত তা একদিন জ্ঞানে,বিজ্ঞানে, ধর্মে, ত্যাগে, তিতিক্ষায় শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করেছিল৷ তাই প্রয়োগগত অর্থে বা ব্যবহারিক অর্থে অসাধারণ-অতুলনীয়-অভাবনীয়---এই বৈশিষ্ট্যের জন্যে এই ভূখণ্ডের নাম রাখা হয়েছিল ‘বরেন্দ্র’৷

বাংলা ভাষা সংস্কৃতি অর্থনীতিকে হিন্দি আগ্রাসন থেকে বাঁচাতে হবে

তপোময় বিশ্বাস

সম্প্রতি বাঙলায় সংঘটিত নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে নাম জড়িয়েছে বহিরাগত অবাঙালীদের৷ আর.জি.করের তরুণী চিকিৎসক-পড়ুয়ার নৃশংস হত্যাকাণ্ড হোক, ট্যাব কেলেঙ্কারিই হোক বা সুশান্তকাণ্ডই হোক বাঙলার মোটামুটি সমস্ত অপরাধেই দুষৃকতী তালিকায় জায়গা করে নিচ্ছে বহিরাগতরা৷ কারা এই বহিরাগত মূলত বিহার, উত্তর প্রদেশ,ঝাড়খণ্ডের মতন হিন্দী বলয়ের রাজ্য থেকে দিন মজুরের কাজের সন্ধানে বাঙলাতে আসছে এরা৷ অন্যান্য জাতিগোষ্ঠীর মানুষজন অন্য রাজ্যে কাজের সন্ধানে গেলে সেই রাজ্যের আঞ্চলিক সংস্কৃতির সঙ্গে একীভূত হওয়ার চেষ্টা করে৷ এক্ষেত্রে এই সব হিন্দী বলয়ের বহিরাগতরা কিন্তু উল্টো৷ বাঙলাকে খোলা বাজার ও দূর্বৃত্তদের উন্মুক্ত

প্রাউটের দৃষ্টিকোন থেকে বাঙলায় শোষণের স্বরূপ

পত্রিকা প্রিতিনিধি

‘‘সাম্রাজ্যবাদী শোষকরা তাদের শোষণকে যুক্তি ও তথ্যের ওপর দাঁড় করানোর জন্যে প্রথমেই তারা জাতীয় সমর্থন আদায় করতে সচেষ্ট হয়৷ এর জন্য তারা একটা তত্ত্বকে প্রতিষ্ঠা করে৷ সেই তত্ত্ব হলো জাতীয়তাবাদের তত্ত্ব৷ জাতীয়তাবাদের সেন্টিমেন্ট দিয়ে তারা তাদের শোষণকে যুক্তিসিদ্ধ ও নিয়মতান্ত্রিক বলে প্রতিষ্ঠা করতে চায়৷’’

শাসকের মনোরঞ্জন করতে গিয়ে সংবাদমাধ্যম দায়িত্ববোধ হারিয়েছে

সঞ্জীব বিশ্বাস

এই মুহূর্ত্তে পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী তথা কলিকাতা মহানগরী থেকে বেশ কয়েকটি বাংলা দৈনিক পত্রিকা বের হয়৷ তারপর সাপ্তাহিক, পাক্ষিক, মাসিক মিলে আরও বেশকিছু বাংলা ভাষায় ট্যাবলয়েডের সন্ধান পাওয়া যায় শহরের বুকস্টলগুলিতে৷ উক্ত ট্যাবলয়েডগুলি যে রাজ্যের বিভিন্ন দল ও গোষ্ঠীর প্রতিনিধিত্ব করে তা তাঁদের ঘোষণা থেকেই পাঠক কুল জানতে পারেন৷ তাছাড়াও বিভিন্ন পত্রিকাগোষ্ঠী ও ব্যবসায়ী সংস্থা আছে যারা মাসিক ও পাক্ষিক ম্যাগাজিন প্রকাশ করে থাকে৷ কিন্তু আলোচ্য বিষয় হচ্ছে যারা নিরপেক্ষ সংবাদ পরিবেশনের নামে দৈনিক সংবাদ প্রকাশ করছে৷ কারণ এই সকল সংবাদপত্রের পরিবেশিত বিষয়গুলির প্রতি একটু লক্ষ্য করলে অবশ্যই প্রশ্ণ আসে, নিরপে

মানস–র্থনৈতিক শোষণ ঃ মুক্তির একমাত্র উপায় প্রাউট

সুকুমার রায়

পৃথিবী ঘুরে চলেছে একই অক্ষরেখার ওপর৷ এক একটি একই দ্রাঘিমা প্রতিদিন সূর্যকে প্রদক্ষিণ করে এগিয়ে চলেছে৷ এই চলমানতায় ঋতুবৈচিত্র্য আসে বটে, তবে তা ঘুরে ফিরে প্রতিবছর একইভাবে আসে বলে মানুষ ভুলে যায় পৃথিবীর এই চলমানতা সামনে না পেছনে না কি একইভাবে একঘেয়েমিভাবে ঘুরে চলেছে৷ বোধের এই দূরতিগম্যতাই মানুষের মানসিক শোষণের কারণ৷

বৈচিত্র্যের মধ্যে অগ্রগামীতার সুর শুনতে পান কম মানুষই৷ বেশিরভাগ মানুষ তাকিয়ে থাকেন পেছনের দিকে৷ আর সেইটাই শাসক শোষকের পুঁজি, এই পেছনের দিকে তাকিয়ে থাকা মানুষগুলো৷

মহান ব্যক্তিদের অধিকারী বাবা সাহেব আম্বেদকরের স্মরণে

প্রভাত খাঁ

আমরা আজ বয়েসে কিছুটা প্রবীন তাই দেখা যাচ্ছে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের দায়িত্ব জ্ঞানহীন আচরণ যা আমাদের সত্যিই লজ্জিত করে৷ পবিত্র লোকসভায় বেশ কিছুটা আত্মহংকারীর মতো সংসদের মর্যাদাহানি করে কাজ করেন নিছক পদের লোভে ক্ষমতার মোহে৷ সংসদে আসার আগে নির্র্বচনে জয়ী হতে জনগণের কাছে দেওয়া প্রতিশ্রুতি এরা সহজেই ভুলে যায়৷ সংসদে বসে সেকথা মনে করার প্রয়োজন বোধ করেন না৷

উন্নতির সোপান

পত্রিকা প্রতিনিধি

মানুষের অস্তিত্ব ত্রিস্তরীয়---শারীরিক, মানসিক ও আত্মিক৷ মানুষের উন্নতি মানে এই ত্রিস্তরীয় সামঞ্জস্যপূর্ণ উন্নতি৷ এই সামঞ্জস্যপূর্ণ উন্নতি যদি না থাকে তাহলে উন্নতির পরিবর্তে অবনতি হবে৷ বর্তমানে বিজ্ঞান-প্রযুক্তির হাত ধরে বা আধুনিকতার ছাপ মেরে যে বিপুল উন্নতির বড়াই আমরা করি এই তথাকথিত উন্নতি যে অনেক জটিল প্রশ্ণের সম্মুখে আমাদের দাঁড় করিয়ে দিয়েছে, তা আজ কেউ অস্বীকার করতে পারবেন না৷ তার কারণ একটাই৷ বাড়ী, গাড়ী, রাস্তা-ঘাট, পোষাক-পরিচ্ছদ, নানান্‌ সুস্বাদু খাওয়া-দাওয়া এসবের জাঁকজমকের পাশাপাশি দুর্নীতি, যৌন কেলেঙ্কারী, মানবিকতার অভাব, শোষণ, খুন-জখম এসব

মানবতার মুক্তিমন্ত্র প্রাউট

প্রাউটিষ্ট

প্রগতিশীল উপযোগ তত্ত্ব, ইংরাজীতে প্রোগ্রেসিভ ইউটিলাইজেশন থিয়োরী, সংক্ষেপে প্রাউট ত্নব্জপ্সব্ভব্ধগ্গ৷ এই তত্ত্বের প্রবক্তা আধুনিক যুগের শ্রেষ্ঠ দার্শনিক শ্রীপ্রভাত রঞ্জন সরকার৷

কর্মীদের সংযত করুন খালেদা জিয়া

প্রভাত খাঁ

আজ সারা পৃথিবীটাই যেন হয়ে দাঁড়িয়েছে এক বিরাট পরিবার৷ কিন্তু আমাদের দুর্ভাগ্যে প্রায় সব দেশের ভাগ্য যাদের হাতে তারা যেন সবকিছু বুঝেও ক্ষমতার মোহে অহমিকার দাস হয়েই একদিকে যেমন যুদ্ধ যুদ্ধ খেলায় মেতেছে  আর  গণতন্ত্রের  গণতন্ত্রের নামাবলি গায়ে জড়িয়ে রাজনৈতিক ভণ্ডামীতে আত্মঘাতী কাজে মত্ত৷ তাই বলতে বাধ্য হচ্ছি যে এই পৃথিবীর  বুকে  যে এক বিরাট  ভূখণ্ড এশিয়ার  বুকে আছে সেই অতীতের, ভারতবর্ষ, তাকে সেই অহংকারে মত্ত হয়ে সাম্রাজ্যবাদী শক্তি ইংরেজ নিজেদের স্বার্থে কুৎসিত সাম্প্রদায়িকতার ভিত্তিতে ভাগ করে দুটো দল সেই কংগ্রেস ও মুসলীমলীগের দুই দল কে দুটো দেশ উপহার দিয়ে গেল৷ দেশভাগ  হলো বটে কিন্তু দু’দলের ঘৃ