July 2021

পেট্রল ও ডিজেলের ক্রমাগত মূল্যবৃদ্ধি!

আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত

গত কয়েক মাস ধরে প্রায় প্রতিদিনই পেট্রল ও ডিজেলের মূল্য বৃদ্ধি করা হচ্ছে৷ পেট্রল ও ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধি মানে অন্যান্য সমস্ত নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের  মূল্যবৃদ্ধি ৷ কারণ তেলের ওপর নির্ভরশীল ট্রাক, বাস প্রভৃতি পরিবহন৷ ভোগ্যপণ্যের পরিবহন খরচ বাড়লে স্বাভাবিকভাবে তার দাম বাড়বে৷ এমনিতে করোনা সংক্রমণ ও লক্‌ডাউন বিধিনিষেধের কারণে বহু মানুষের আয়ের দরজা বন্ধ৷ তারপর পেট্রল ডিজেলের দাম দিনের পর দিন বৃদ্ধি পাওয়া ও তার সঙ্গে তাল রেখে বাড়ছে শাক-সব্জি ও অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিষের দাম৷ সাধারণ মানুষের ত্রাহি ত্রাহি রব৷

নির্বাচনে পশ্চিমবাংলার  বোটারগন জানান দিল ভারত এর কল্যাণে কাদের সমর্থন করতে হবে

নিরপেক্ষ

ভারতে সাম্প্রদায়িক বাঁটোয়ারায় ইংরেজের বদান্যতায় যে তথাকথিত রাজনৈতিক স্বাধীনতায় দেশের রাজনৈতিক নেতারা দেশ শাসনের সুযোগ পান তাতে কিন্তু চিরদরিদ্র জনগণ তেমন কিছু পায়নি৷ তাই আজকের এ দেশের আর্থিক ও সামাজিক অবস্থাটা এমন ধরণের ছন্নছাড়া আর দেশবাসীর জীবনে নেমে এসেছে ভয়ংকর অস্থিরতা ও অনিশ্চিত ভবিষ্যত!

ঐতিহাসিক সত্ - ত্রিপুরায় বাঙালীরাই ভূমিপুত্র

এইচ.এন.মাহাত

ত্রিপুরা (শ্রীভূম) রাজ্যটি মূলতঃ বাঙলা ও বাঙালীদের মূল ভূখণ্ড৷ বাঙালীরাই এখানকার অধিবাসী বা ভূমিপুত্র৷ রাজ্যটি নদীমাতৃক হওয়ার পরেও সমতল ও পার্বত্য অঞ্চল নিয়ে গঠিত৷ ঐতিহাসিকদের মতে প্রায় পাঁচশত বছর আগে মায়ানমার থেকে খাদ্যের অভাবে ত্রিপুরার জনজাতিরা বাঙলার এই পার্বত্য অঞ্চলে অস্থায়ীভাবে বসতি স্থাপন শুরু করে৷ বাঙালী জাতির মহৎ গুন হলো সকলকে আপন করে ভালোবাসে কাছে টেনে নিতে পারে৷ তাই তাদেরকেও ভাইয়ের মত ভালোবেসে এখানে স্থান দিয়ে ছিলো৷ পরবর্ত্তীতে স্থানীয় বাঙালী রাজাকে পরাজিত করে ত্রিপুরার দখল নেয় জনজাতিরা৷ তৎকালীন আমলের জনজাতি রাজারা ত্রিপুরারকে উন্নত করতে বাঙালী ও জনজাতির মধ্যে মৈত্রীর মাধ্যমে এক

বঙ্গভঙ্গ রুখতে  ও ভারতের ঐক্য ও সংহতি রক্ষায় জাতি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সকলে এক হও

প্রভাত খাঁ

অত্যন্ত মারাত্মক কথা! পশ্চিমবঙ্গকে ভাগ করে উত্তরবঙ্গকে কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল হিসাবে ঘোষনা করার কথা পশ্চিম বাঙলার বিজেপির   জলপাইগুড়ি জেলার সহ সভাপতি অলোক চক্রবর্ত্তীর মুখে৷ এই প্রস্তাব করোনায় আক্রান্ত পশ্চিমবাঙলার রাজ্য নির্র্বচনকালে নাকি’ উত্তরবঙ্গে প্রচারে আসার সময় বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বকে জানানো হয়৷ একটা খুবই বাস্তবধর্মী প্রশ্ণ উঠে আসে তা হলো উত্তরবঙ্গটা কি  জলপাইগুড়ির বিজেপি রাজ্য সভাপতি অলোক চক্রবর্তী মহাশয়ের একার সম্পত্তি? তাই তিনি ও তাঁর জেলার বিজেপি দলের গুটি কয়েক ব্যষ্টি কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের কাছে আবদার করবেন৷ তা আবার সহ সভাপতি!

গণতন্ত্র ও জনসাধারণ

হরিগোপাল দেবনাথ

জনসাধারণ্যে প্রচলিত ধারণা অনুযায়ী ‘‘গণতন্ত্র’’ বলতে আমরা অধিকাংশরাই সাধারণতঃ ‘রাজনৈতিক গণতন্ত্র’কেই বুঝে থাকি৷ কারণ পলিটিক্যাল মার্চেন্ট তথা রাজনৈতিক মুনাফাখোর ব্যবসায়ীরা তাদের কথায়, বত্তৃণতায়, আলাপ-আলোচনায় আপামর জনসাধারণের মনের দুয়ারে অনুরূপ -ধারণাটাই পৌঁছে দিয়ে থাকে৷ গণতন্ত্রের সংজ্ঞাতেও খুব ফলাও করেই বলা হয়েছে---‘‘জনগণের দ্বারা, জনগণের জন্যে, জনগণের সরকার তথা শাসন-ব্যবস্থা৷’ অর্থাৎ আক্ষরিক মার-প্যাচের  সাহায্যে ও শ্রুতি-মধুর বাক্য-বিন্যাসের দ্বারা রাজনৈতিক ব্যবসায়ীরা আর তৎসহ প্রচলিত সমাজ ব্যবস্থায় স্কুল কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের মাষ্টার মশাইরাও তাঁদের কেতাবী-বিদ্যা ফলাতে গিয়ে মনে ‘না-না’ ভাবন

গ্রেটার তিপ্রাল্যাণ্ডের প্রতিবাদে বাঙালী ছাত্র যুবসমাজ

আগরতলা ঃ গত ২৫শে জুন ত্রিপুরার বাঙালীদের জন্যে আরেকটি কালোদিনের সূচনা হল৷ ওইদিন এ.ডি.সির অধিবেশনে গ্রেটার তিপ্রাল্যাণ্ড বিল পাশ হয়৷ এই বিলের তীব্র প্রতিবাদ করে বাঙালী ছাত্রযুব সমাজের ত্রিপুরা রাজ্যসচিব বিপ্লব দাস বলেন--- এই বিল ত্রিপুরায় আবার অশান্তির আগুন জ্বালবে৷ এ.ডি.সি করে যেমন উপজাতিদের কোন উন্নতি হয়নি, তিপ্রাল্যাণ্ডেও হবে না৷ এতে জাতি-জনজাতির মধ্যে হিংসার পরিবেশ তৈরী হবে৷ ত্রিপুরায় বাঙালী জনগোষ্ঠীর সর্বনাশ হবে৷ তিনি বলেন ---এই বিল বাস্তবায়ন করে ত্রিপুরা বাসীর আর্থিক কোন লাভ হবে না৷ বরং জাতি উপজাতির মধ্যে সংঘর্ষ বাধবে৷ বাঙালী ছাত্রযুব সমাজ সর্বশক্তি দিয়ে এই বিল রুখবে৷

ভারতের মাটিতে কোন বাঙালী বিদেশী নয়

তপোময় বিশ্বাস

২০২১ সালটি বাঙালীর কাছে একটি পরীক্ষা বছর৷ বাঙালীদের ভারতবর্ষে বিদেশী হয়ে ডিটেনশন ক্যাম্পে থাকতে হবে নাকি স্বদেশী হয়ে মাথা উঁচু করে থাকবে---এটাই ছিল পরীক্ষার বিষয়৷ পশ্চিমবঙ্গের বাঙালীরা এ পরীক্ষায় দারুণ সাফল্যের সাথে উত্তীর্ণ হয়ে নাগরিকত্ব হারানোর ভয় কে জয় করেছে৷ মমতা ব্যানার্জির নেতৃত্বে তৃণমূল কংগ্রেস তৃতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় এসেছে৷ কিন্তু অসমের বাঙালীদের নাগরিকত্ব হারানো/ ডিটেনশন ক্যাম্প ইত্যাদির ভয় গেল না৷ ২০২১-র অসম বিধানসভা নির্বাচনে পুনরায় ক্ষমতায় বসেছে বিজেপি৷

আনন্দপূর্ণিমা উপলক্ষ্যে অখণ্ড কীর্ত্তন

গত ১১,১২ ও ১৩ই জুন শ্রীশ্রী আনন্দমূর্ত্তিজীর জন্মশতবর্ষ উপলক্ষ্যে আনন্দনগরে বিভিন্ন গ্রামে পর্যায়ক্রমে ৭২ ঘন্টা অখণ্ড কীর্ত্তন অনুষ্ঠিত হয়৷ শেষ ১৫ ঘন্টা অখণ্ড কীর্ত্তন অনুষ্ঠিত হয় ৰাৰার স্মৃতি সৌধে৷ কীর্ত্তন ও মিলিত ঈশ্বর প্রণিধানের পর ৰাৰার বাণী পাঠ ও ৰাৰার প্রবচনের ভিডিও দেখান হয়৷ এই  উপলক্ষ্যে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করা হয়৷

জনকল্যাণে পঞ্চায়েত সভা

গত ১৯শে জুন চিতমু পঞ্চায়েত প্রধান শ্রী বৈদ্যনাথ মাহাতর সভাপতিত্বে মার্মু আনন্দমার্গ স্কুলে এক সভা অনুষ্ঠিত হয় স্থানীয় অঞ্চলের সার্বিক উন্নতির জন্যে৷ সভায় সর্বসম্মতিতে সিদ্ধান্ত হয়, খিরকি বাঁধ সংস্কার করবে আনন্দমার্গ ও আনন্দমার্গ আশ্রম কর্তৃপক্ষের কাছে লক্‌গেটের চাবি থাকবে৷ এই বাঁধ নির্মাণের ফলে সর্বক্ষণ জল থাকবে৷  কৃষি কাজ, মৎস চাষ, মানুষ ও গৃহপালিত পশুর প্রয়োজনে এই জল সর্বসাধারণ ব্যবহার  করবে৷ সারা বছর বাঁধে জল থাকায় মাটির নীচে জলস্তর বৃদ্ধি পাবে ও পরিবেশ সুরক্ষিত থাকবে৷