August 2021

দেশের যুক্তরাষ্ট্রীয় শাসন ব্যবস্থাকে বাঁচাতে হবে

প্রভাত খাঁ

যুক্তরাষ্ট্রীয় শাসনব্যবস্থা তখনই সার্থক হয় যখন কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার আপন আপন সীমার মধ্যে থেকে অত্যন্ত আন্তরিকতার সঙ্গে মধুর সম্পর্ককে মান্যতা দিয়ে জনগণের স্বার্থকে সর্বদা অগ্রাধিকার দিয়ে শাসন কাজ করে চলেন৷ কিন্তু অত্যন্ত দুঃখ ও বেদনার সঙ্গে দেখা যাচ্ছে  যতোদিন যাচ্ছে ভারতের মতো বিরাট দেশে বহুদলীয় শাসন ব্যবস্থায় যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোয় রাজ্যে রাজ্যে আঞ্চলিক দলের উত্থান ও কেন্দ্রে সর্বভারতীয় দলের শাসনে  সমস্যারই সৃষ্টি হয়ে চলেছে৷ কোন সমস্যার সঠিক সমাধান হচ্ছে না৷ দেখা যাচ্ছে কেন্দ্রে যে দল যখন শাসনে আসছে কিছু সংখ্যা গরিষ্ট হয়ে মিলিজুলি সরকার গড়ছে তখনই যাদের নিয়ে শাসন চালাচ্ছে তখনই সেই সরকারের

ত্রিপুরার প্রকৃত ইতিহাস জানুন

এইচ.এন.মাহাত

ত্রিপুরা রাজ্যটি মূলতঃ সুবেবাঙলা বা গৌড়বঙ্গের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ৷ ১৮৭২ সালের ব্রিটিশ ভারতে বাঙলার সীমানা ছিলো উত্তরে নেপাল, ভুটান ও সিকিম হিমালয়ের পাদদেশ, দক্ষিণে ছিলো মাদ্রাস প্রদেশ ও বঙ্গোপসাগর, পূর্বে ব্রহ্মদেশের টেকনাফ নদী ও চীন সীমান্ত আর পশ্চিমে যুক্তপ্রদেশ ও মধ্যপ্রদেশ৷ অর্থাৎ পরেশনাথের পাহাড় থেকে বঙ্গোপসাগর, মেঘাশিনি পাহাড় থেকে হিমালয় পর্যন্ত বিস্তৃত৷ এই চৌহদ্দির মধ্যে আজকের ত্রিপুরা নামক রাজ্যটির অবস্থান৷ অতীতে নাম ছিলো চাকলা রোশনাবাদ, পরবর্তীতে একে শ্রীভূম বলে অভিহিত করা হতো৷ ব্রিটিশ আমলে রাজ্যটি সমতল ও  পার্বব্য ত্রিপুরায় ভাগ ছিলো৷ রাজ্যটি বিস্তারিত ছিলো পার্বত্য চট্টগ্রাম ও চট্টগ্র

ত্রিপুরার অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যৎ

জ্যোতিবিকাশ সিন্‌হা

আমরা ত্রিপুরায় বাস করি৷ ত্রিপুরা আমাদের প্রিয় বাসভূমি৷ ত্রিপুরা নিয়ে বিগত শতাব্দীর  প্রায় মধ্যভাগ থেকে কিছুসংখ্যক উন্নত অথবা অবনত মস্তিষ্ক সম্পন্ন মানুষ পদবাচ্য জীবদের দ্বারা এই ভূখণ্ডে বলতে গেলে, বিসদৃশ রকমেরই জল্পনা-কল্পনা, সন্ধি-দূরভিসন্ধির নানা রকমের ঘাত-প্রতিঘাত হয়েই চলেছে৷ বিগত কয়েকশো বছর ধরে  বড় জোর ত্রয়োদশ শতাব্দীর শেষ দিক বা চতুর্দশ শতাব্দীর গোড়া থেকে  অর্থাৎ আজ থেকে প্রায় পাঁচশ কিংবা ছয়শ’ বছর আগে থেকে  উত্তর বার্র্ম থেকে মু-চাং-ফা-য়ের নেতৃত্বে কিছুসংখ্যক মঙ্গোলীয় বংশোদ্ভূত ও তিববত-বর্মী ভাষাগোষ্ঠীভুক্ত উপজাতিরা ত্রিপুরায় এসেছিলেন৷  ওই সময় অনাবৃষ্টির কারণে বার্র্ময় (ব্রহ্মদেশ বা বর

বাঙালী ছাত্র যুব সমাজের ভাষাশহীদ স্মরণ

অসম গণ পরিষদ সরকারের শিক্ষাক্ষেত্রে অনসমিয়াদের উপর অসমিয়া ভাষা চাপানোর সার্কুলার জারির প্রতিবাদে, ১৯৮৬ সালের ২১শে জুলাই তৎকালীন অসমের  মুখ্যমন্ত্রী প্রফুল্লকুমার মহন্তকে বিক্ষোভ প্রদর্শন করতে গিয়ে পুলিশের গুলিতে প্রাণ বিসর্জন করে বাংলা ভাষার মর্যাদা রক্ষার্থে শহীদ হোন বীর বঙ্গসন্তান জগন্ময় দেব ও দিব্যেন্দু দাস৷

আমরা বাঙালীর মিছিল

গত ১৮ই জুলাই শিলিগুড়িতে বাঙালী বিদ্বেষী জিটিএ চুক্তি বাতিলের দাবীতে বিক্ষোভ মিছিল করে ‘আমরা বাঙালী’৷ দলের দার্জিলিং জেলা সচিব বাসুদেব সাহা এক প্রেস বার্তায় জানান-২০১১ সালের ১৮ই জুলাই তৎকালীন কেন্দ্রীয় সরকার পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার  ও গোর্র্খমুক্তি মোর্চার যে চুক্তিতে জিটিএ ঘটিত হয় তা সম্পূর্ণ অবৈধ৷ এই চুক্তি বাঙলা ভাগে ইন্ধন জুগিয়েছে৷ ‘আমরা বাঙালী’ অবিলম্বে এই চুক্তি বাতিলের  দাবী জানাচ্ছে৷ ওইদিন শিলিগুড়ি কোর্ট মোড় থেকে আমরা বাঙালী কর্মী সমর্থকদের একটি বিক্ষোভ মিছিল শহরের বিভিন্ন পথ পরিক্রমা করে হাসমিচকে পৌঁছায়৷ এখানে জিটিএ চুক্তি বাতিলের দাবীতে বক্তব্য রাখেন-জেলা সচিব বাসুদেব সাহা, সহসচিব শ

অমানবিক কালাচুক্তির বিরুদ্ধে সরব ‘আমরা বাঙালী’

শিলচর থেকে ‘আমরা বাঙালী’ সংঘটনের অসম রাজ্য সচিব শ্রী সাধনপুরকায়স্থ এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানঃ---সরকারী জমি দখলমুক্ত করার জন্য রাজ্য জুড়ে যে উচ্ছেদ অভিযান চলছে, ‘আমরা বাঙালী’ অসম রাজ্য কমিটি সরকারের এই অমানবিক উচ্ছেদ কার্যৎ বন্ধ রাখার দাবী করছে৷

আমরা মনে করি ভূমিহীন, সহায়-সম্বলহীন মানুষদের যেখানে ভূমি বিতরণ করা সরকার নীতি হওয়া উচিত৷ তা না করে সেখানে ভয়ংকর বিভীষিকাময় করোনা পরিস্থিতিতে সরকার অসহায় সম্বলহীন লোকদের ঘরবাড়ি ভেঙে রাস্তায় বসিয়ে দিয়েছে৷ আমরা সরকারের এই ধরনের অমানবিক কর্মকাণ্ডের তীব্র নিন্দা করি ও ধিক্কার জানাই৷

ভক্ষ্য–ভক্ষ্য

রসোন (রসুন)–Allium sativumঃ

তোমরা রসুনের নাম শুনেছ নিশ্চয়৷ শব্দটি রসুন নয়–রসোন৷ রস  উন  ঞ্চ রসোন৷ তিক্ত, কটু, কষায়, লবণ, অম্ল, মধুর–এই ছয় রকমের খাদ্য রস আছে৷ রসোন তামসিক খাদ্য হলেও তাতে ছ’টি রসের মধ্যে পাঁচটি রস রয়েছে–নেই কেবল অম্ল রস৷ তাই অম্লরসের সঙ্গে রসোন মিশ্রিত হলে তাতে একাধারে ছ’টা রসই এসে যায় উন মানে কম, যাতে একটা রস কম তা রসোন৷ উত্তর ভারতে রসোনকে ‘লহসূন’ বলা হয়৷

স্বাস্থ্য ও কৌশিকী নৃত্য

মানুষের অস্তিত্ব ত্রি–স্তরীয় অর্থাৎ এর তিনটে স্তর ত্রব্ধব্জ্ত্রব্ধব্ভপ্প রয়েছে– শারীরিক ত্নড়ম্ভব্দন্ন্তুত্রপ্ত্, মানসিক ত্নড়ম্ভন্তুড়ন্ন্তুগ্গ ও আধ্যাত্মিক ত্রহ্মন্ব্জন্ব্ধব্ভ্ত্রপ্৷ এই যে তিনটে স্তর এদের কোনটিকেই অবজ্ঞা করা যায় না৷ শারীরিক স্তরের চেয়ে মানসিক স্তরের মহত্ত্ব অধিক, কিন্তু তাই বলে শারীরিক স্তরটাকেও ত্নড়ম্ভব্দন্ন্তুত্রপ্ত্ ব্দব্ধব্জ্ত্রব্ধব্ভপ্প উপেক্ষা করা যায় না৷ ঠিক তেমনি মানসিক স্তর ত্নব্দম্ভন্তুড়ন্ন্তু ব্দব্ধব্জ্ত্রব্ধব্ভপ্প অপেক্ষা আধ্যাত্মিক স্তরের ত্রহ্মন্ব্জন্ব্ধব্ভ্ত্রপ্ ব্দব্ধব্জ্ত্রব্ধব্ভপ্প গুরুত্ব বেশী কিন্তু মানসিক স্তরটাও ত্নব্দম্ভন্তুড়ন্ন্তু ব্দব্ধব্জ্ত্রব্ধব্ভপ

নিষ্কাম প্রার্থনা

সমরেন্দ্রনাথ ভৌমিক

‘‘প্রার্থনা অর্চনা মাত্রৈব ভ্রম্‌মূলম্‌৷

একথা শিখায়েছে তব আনন্দসূত্রম্‌৷৷

জেনেও ভ্রম্‌ তোমা কাছে ক’রি তবু প্রার্থনা৷

দিওগো মোরে শুধু অনুপম তব কৃপাকণা৷৷

অন্তর মাঝে স্মরি যেন শুধু তোমারেই দিবারাত্রি৷

রেখো গো  সদা আমারে ক’রে তোমার রথের যাত্রী৷

তোমারই দেওয়া কন্ঠে সুরে  ডাকি সদা তোমারে৷

প্রার্থনা শুধু প্রভু, তোমার ক’রে নাওগো আমারে৷৷

তোমা হ’তে লভিয়াছি এই মানব জীবন৷

শুভ কাজে সদা লিপ্ত রেখো অনুক্ষণ৷৷

চাহিনা অন্যকিছু, চাই শুধু পরা ভক্তি৷

আকুল হ’য়ে ডাকি তোমায় দাও তব কাজে শক্তি৷৷

ঝর ঝরিয়ে বৃষ্টি এলো

কৌশিক খাটুয়া

ঝর ঝরিয়ে বৃষ্টি এলো

শয্যা নেওয়ার সময়৷

আবহাওয়া শীতল হলো

সুনিদ্রা নিশ্চয়৷

সারাদিনের গুমোট আর

গোমড়ামুখো মেঘ,

স্বপ্ণ-রঙ্গীন নিদ্রা আশ্বাসে

কাটলো উদ্বেগ৷

 

(২)

জীবনটা নয় সংকীর্ণ

এক উদার মহাকাশ,

সেই মহাকাশ

কখনো শুভ্র কখনো কৃষ্ণ

অথবা নির্মল নীলাকাশ৷

                        অনন্ত নীলাকাশে

                        রবি-শশী-তারা হাসে,

                        উদার হৃদাকাশে

                        তাঁর ছবি সদাভাসে৷