April 2022

অন্ধ রাজনীতি ও বন্ধ্যা অর্থনীতি

হরিগোপাল দেবনাথ

‘রাজনীতি’ শব্দটির সংসৃকত ভাষার আভিধানিক দৃষ্টিকোন থেকে তার বুৎপত্তিগত অর্থবিচার করতে গেলে, একটি সমাসবদ্ধ পদরূপে এর বিশ্লেষণে দাঁড়ায়---‘নীতিনাং রাজঃ ইত্যর্থে রাজনীতিঃ’৷ অর্থাৎ রাজনীতি বলতে বোঝায় নীতিসমূহের শ্রেষ্ঠনীতি৷ আবার, ‘নীতি’ শব্দকে যদি বুৎপত্তিভাবেই বিশ্লেষণ করা যায় তাহলে আমরা পাই ঃ--- ন+ ক্তি = নীতি৷ অর্থাৎ  নী-ধাতুর সঙ্গে ক্তিন্‌-প্রত্যয়যোগে হচ্ছে নীতি৷ নী-ধাতুর মানে হচ্ছে নিয়ে চলা (ইংরেজীতে‘টুলীড লীড্‌ যিনি করেন তিনিই লীডার৷ এর বাংলা তর্জমা করলে দাঁড়ায়---যিনি পথ দেখিয়ে এগিয়ে নিয়ে চলেন৷) অবশ্য আজকাল ক্যাপিটালিজম, ম্যাটারিয়ালিজম আর কোন কোন ক্ষেত্রে ব্রুটালিজ্‌ম তথা রাউজিয়ম-এর দৌরাত্ম

‘‘বুলডোজার চালাবো’’ গণতন্ত্রে এ কেমন কথা? সত্যই কি দেশে গণতন্ত্র আছে?

প্রভাত খাঁ

নির্বাচনে জেতার পরই উত্তরপ্রদেশে বিজেপির দলীয় কার্যালয়ে ঘোষনা করা হয়৷ ‘ফের বুলডোজার চলবে’ যোগী রাজ্যে নিরীহ জনগণকে গত ৮ বছর ধরেই দেখছে সারা ভারতের বিশেষ করে ডবল ইঞ্জিন রাজ্যগুলিতে অসহায় গরীব জনগণের উপর ঐ বুলডোজারই চলছে৷ তাছাড়া বিজেপি বিরোধী রাজ্যগুলিতো চরম বঞ্চনার শিকার হয়েই শাসন চালাচ্ছেন৷ বর্ত্তমান কেন্দ্র সরকার তো পদে পদে সংবিধান বিরোধী কাজেই ওস্তাদ যার কারণে মহামান্য সুপ্রিমকোর্টের ভৎস্নার শিকার হয়েই চলেছেন৷ দেখে মনে হয় কুসংস্কারাচ্ছন্ন  দু’কান কাটা জীব বিশেষ৷ এদের শাসনে হতভাগ্য গরিব নাগরিকগণতো সারাভারতেই জীবনমৃত হয়ে জীবন যাপন করে চলেছেন এরা ধনীদেরই সেবাদাস৷ এদেশে নির্বাচনটাই  যেন প্রহশ

বগটুইতে স্বজন হারানোদের পাশে মুখ্যমন্ত্রী

রামপুরহাটের বগটুই গ্রামের মত গণহত্যা এর আগেও অনেক হয়েছে কিন্তু এর আগে এত দ্রুত রাজ্যের কোন মুখ্যমন্ত্রী আক্রান্তদের পাশে গিয়ে দাঁড়াবার সাহস দেখাননি৷ তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অন্য ধরণের মানুষ৷ তাই দ্রুত ছুটে গেলেন আক্রান্তদের পাশে রামপুরহাটের বগটুই গ্রামে ঘটনাস্থলে৷ আক্রান্ত ও নিহতের পরিবারকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনার সবরকম প্রতিশ্রুতি দিলেন৷ দোষীদের গ্রেপ্তারের প্রতিশ্রুতিও দেন৷ স্বজন হারানো প্রত্যেকটি পরিবারের একজনকে চাকরী দেবার আশ্বাস দেন মুখ্যমন্ত্রীর কোটা থেকে৷

যক্ষ্মা প্রতিরোধে প্রথম সারিতে বাঙলা

যক্ষ্মারোগ দূরীকরণ কর্মসূচিতে দেশের ২০১টি জেলার মধ্যে প্রথম সারিতে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ৷ গোটা দেশের ২০১টি জেলা যক্ষ্মা রোগ দূরীকরণ কর্মসূচীর অধীনে একটি প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়৷ এই প্রতিযোগিতায় ৮টি জেলাকে বেছে নেওয়া হয় সবচেয়ে ভালো অবস্থানে থাকার জন্য৷ এই আটের মধ্যে স্থান পায় পশ্চিমবঙ্গের পূর্ব মেদিনীপুর জেলা৷ আটের মধ্যে থাকার জন্য স্বর্ণপদক ও দশলক্ষ টাকা পায় পূর্ব মেদিনীপুর৷ নদীয়া জেলা ব্রোঞ্জ জিতে ৫ লক্ষ টাকা পাচ্ছে৷ কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যদপ্তর থেকে  এই সংবাদ রাজ্যকে জানানো হয়৷

শিলিগুড়িতে আমরা বাঙালীর কেন্দ্রীয় সম্মেলন

আগামী ১লা ও ২রা এপ্রিল আমরা বাঙালী সংঘটনের বাঙালীস্তান কেন্দ্রীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে শিলিগুড়ি বিকাশ ভবনে৷

আমরা বাঙালী সমন্বয় কমিটির পক্ষে জ্যোতিবিকাশ সিন্‌হা এক বিজ্ঞপ্তিতে জানান আগামী ২রা এপ্রিল নূতন কেন্দ্রীয় কমিটি ঘটনের নির্বাচন হবে৷ ২৪শে মার্চ সক্রীয় সদস্যদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রকাশ করা হবে৷ মনোনয়ন পত্র দাখিল করা যাবে ২৭শে মার্চ পর্যন্ত৷ মনোনয়ন পত্র স্কুটিনী হবে ২৮শে মার্চ ও ২৯শে মার্চ মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহার করা যাবে৷

ফাঁসী নয়, গুলি করুন

পথিক বর

‘পুঁজিবাদী সাম্রাজ্যবাদী শোষণের দিন ফুরিয়ে আসছে৷ এ সংগ্রাম আমরা শুরু করিনি, আমাদের জীবন অবসানের সঙ্গে সঙ্গে এ সংগ্রাম শেষ হয়েও যাবে না৷ ইতিহাসের অমোঘ নিয়মে বর্তমান বাস্তব অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে এ সংগ্রাম অনিবার্যভাবে গড়ে উঠেছে৷ আমাদের মৃত্যুতে আত্মদানের পুষ্পমাল্যে আর একটি নতুন ফুল গাঁথা হবে৷ যতীন দাসের অতুলনীয় আত্মদান, ভগবতী চরণের হৃদয় বিদারক অথচ মহান আত্মদান ও আমাদের সংগ্রামী সাথী আজাদের গৌরবময় আত্মদান ইতিমধ্যেই আত্মদানের পুষ্পমাল্যটিকে বর্ণোজ্জ্বল করেছে৷

রবিবাবুর বিলাপ

কৌশিক খাটুয়া

নিদ্রামগ্ণ জগৎ জাগানো

সূর্যের বড় দায়,

বৃদ্ধ সূর্যের নয় সন্তানের

মাথা নিচু লজ্জায়৷

অলস তনয় শুধু গ্রহ নয়

এক একটি গলগ্রহ,

কাজে হেলাফেলা

আলো-নিশি খেলা

পিতৃ নির্ভরতা অহরহ৷

 

কুপুত্র তরে পিতা আশাহত

পরিকল্পনা গুলি হচ্ছে ব্যাহত,

গ্রহগুলি পথে ভ্রমণে রত,

চলে খেয়ালে নিজের মতো৷

 

সদা চঞ্চল, অস্থির মতি

নাই পারিবারিক সম্মান,

ভালো হতে বলা অরণ্যে রোদন

অবাধ্য সব সন্তান!

 

বৃদ্ধ সূর্য হাত নেড়ে ডাকে

গ্রহগুলি তখন ঘুমে নাক ডাকে,

সদ্‌ বিপ্র সমাজ

অমিতাভ মাইতি

সদ্‌বিপ্র         তুমি এগিয়ে বলো

         মানুষ মানুষ ভাই ভাই

         মানুষে মানুসে তফাৎ নাই৷

 

সদ্‌বিপ্র         তুমি বুঝিয়ে বলো

         সব কিছুতে সবার অধিকার

         এ বিশ্ব কারো নয় একার৷

 

সদ্‌বিপ্র         তুমি দেখিয়ে দাও

         অকারণে আর নয় শাসন

         কোনো ভাবে আর নয় শোষণ৷

 

সদ্‌বিপ্র         তুমি ঘুম ভাঙিয়ে দাও

         আসুক সকাল নতুন ভাবে

         আশার আলো দেখুক সবে৷

 

সদ্‌বিপ্র         তুমি জানাও ধিক্কার

         আর নয় পশুর রাজত্ব

প্রথম বাঙালী ষ্টেশন মাস্টার

প্রণবকান্তি দাশগুপ্ত

সেকালে কলকাতা থেকে নানা স্থানে যাতায়াত আজকের মতো এত যানবাহন ও এমন সহজসাধ্য ছিল না৷ যানবাহন বলতে তখন ছিল ঘোড়ার গাড়ি ও বেহারা বাহিত পাল্কী৷ পাল্কীর নাম শুণলেই কবি সত্যেন্দ্রনাথ দত্তের বিখ্যাত কবিতা পাল্কী চলে কবিতাটি মনে পড়ে৷ যাই হোক, নর্থওয়েষ্টার্ন ডাক কোম্পানী (১৪ নং রাইটার্স বিল্ডিংস) নামে একটি ইয়ূরোপীয়ান পরিচালিত সমবায় তখন ঘোড়ার গাড়ি, বেহারা বাহিত পাল্কীর দ্বারা কোলকাতা থেকে নানা জায়গায় যাত্রীদের পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্ব নিয়েছিল৷

কোলকাতা থেকে বর্ধমান পর্য্যন্ত ঘোড়ার গাড়ির ভাড়া (প্রতি আসনের মূল্য) ছিল ২৫ টাকা৷ পাল্কীর ভাড়া কোলকাতা বর্ধমান ২৮ টাকা

অগ্ণিযুগের অগ্ণিস্ফুলিঙ্গ মাস্টারদা

কণিকা দেবনাথ

‘‘আমার শেষ বাণী---আদর্শ ও একতা৷ ফাঁসির রজ্জু আমার মাথার ওপর ঝুলছে৷ মৃত্যু আমার দরজায় করাঘাত করছে৷ মন আমার অসীমের পানে ছুটে চলেছে৷ এই তো আমার সাধনার সময়৷ এই তো আমার মৃত্যুকে বন্ধুর মতো আলিঙ্গন করার সময়, হারানো দিনগুলোকে নতুন করে স্মরণ করার সময়৷