প্রবন্ধ

এন. আর. সি-র মানে কি বাঙালী তাড়াবার  কৌশল?

হরিগোপাল দেবনাথ

এন.আর,সি  সর্বসাকুল্যে তিনটে মাত্র ইংরেজী শব্দের  মিলিত রূপ---ন্যাশ্যানাল রেজিষ্টার অব সিটিজেনস্৷ (বাংলা ভাষার এর তর্জমা করলে দাঁড়ায়---নাগরিকপঞ্জীকরণ৷) অর্থাৎ কোন সার্বভৌম রাষ্ট্রে নাগরিকগণের সরকারী মতে বিধিবদ্ধ তালিকা৷ তাই, এর গুরুত্ব ও মাহাত্ম্য দু’টো দিকই যথেষ্ট ওজনদার  বলারও অপেক্ষা  রাখে না৷  যে কোনো দেশ, রাজ্য বা রাষ্ট্রের পক্ষেই এর নিঁখুত হিসেব-রক্ষণের কাজটা অতি গুরুত্বপূর্ণ, অপরিহার্য তো বটেই৷  রাষ্ট্রের লোকসংখ্যা ও তার হ্রাস  বৃদ্ধি, গড়-পড়তা, আয় নির্র্ধরণ, অর্থনৈতিক পরিকল্পনা  গ্রহণ, রাষ্ট্রের আয়-ব্যয়ের  হিসেব-নিকেশ, উন্নতি-অবনতি ইত্যাদির পুঙ্খানুপুঙ্খ বিচার বিশ্লেষণ  করতে চাইলে  র

ত্রিপুরার কিছু কথা ও তার অতীত ও বর্ত্তমান পরিস্থিতি

প্রভাত খাঁ

ত্রিপুুরার নাগরিকপঞ্জীর দাবীতে ত্রিপুরা পিপলস্ ফ্রন্ট’ সুপ্রিম কোর্টে দাবী জানিয়েছে৷ অসমের এন.আর.সি নিয়ে আগেই সুপ্রিমকোর্টে মামলা চলছে৷

‘বাবা নাম কেবলম্’ কীর্ত্তন কেন?

আচার্য পরাবিদ্যানন্দ অবধূত

বাংলায় তথা পূর্বাঞ্চল ও উত্তরপূর্বাঞ্চলে কীর্ত্তন নোতুন নয়৷ আজ থেকে প্রায় ৫০০ বছর আগে এই কীর্ত্তনের মাধ্যমে শ্রী চৈতন্যদেব বাংলায় তথা পূর্বাঞ্চল ও উত্তর পূর্বাঞ্চলে আর শ্রী শঙ্কর দেব সমগ্র অসমে একটা আধ্যাত্মিক বিপ্লব এনেছিলেন৷ সেই কারণে বাংলা তথা পূর্বাঞ্চল ও উত্তর পূর্বাঞ্চলের সংস্কৃতির সাথে এই কীর্ত্তন মিলে মিশে একাকার হয়ে গেছে ৷ তাই তো বাংলার মরমী কবি সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত বলেছেন---

 ‘‘কীর্ত্তনে আর বাউলের গানে আমরা দিয়েছি খুলি’,

 মনের গোপনে নিভূত ভুবনে দ্বার ছিল যতগুলি৷’’

মহাপ্রাজ্ঞ প্রভাতরঞ্জন সরকারের মাইক্রোবাইটাম সাধনা ও মাইক্রোবাইটা

শ্রীসমরেন্দ্রনাথ ভৌমিক

শ্রী প্রভাতরঞ্জন সরকার ১৯৮৬ সালের ডিসেম্বর থেকে শুরু করে ১৯৮৯ সালের জুন মাস পর্যন্ত এই আড়াই বৎসরকাল সময় ধরে মাইক্রোবাইটামের মত এক দূরুহ বিষয়ের ওপর বহু প্রবচন দিয়েছিলেন৷ ১৯৮৬ সালের ৩১শে ডিসেম্বর ধর্মমহাচক্র উপলক্ষ্যে কলকাতায় ‘‘রেণেশাঁ ইয়ূনিবার্সাল’’-এর মঞ্চ থেকে পরম পূজনীয় শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকার সভাপতি হিসাবে মাইক্রোবাইটামের ওপর প্রবচন দিয়েছিলেন৷ প্রবচনের বিষয় ছিল---‘Microvitam the mysterious emanation of cosmic factor’’ (‘‘ভূমাচৈত্তিক ধাতুর রহস্যজনক উৎসারণ’’) তিনি বলেছিলেন প্রাণের উৎস হ’ল এই মাইক্রোবাইটাম৷ বিশ্বসৃষ্টির মূল কারণ বা মূল উৎস হ’ল মাইক্রোবাইটা৷ এই মাইক্রোবাইটাম নিয়ে অবিলম্বে ব্যা

কাঁদিছে মানুষ, সন্তান জগজ্জননীর

জ্যোতিবিকাশ সিন্হা

বাঙালীর সর্বশ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গোৎসব অতিক্রান্ত৷ মহালয়ার পর থেকে দুর্গাপূজা, লক্ষ্মী পূজা ,শ্যামাপূজা, দীপাবলী হয়ে জগদ্ধাত্রী পূজা পর্যন্ত শারদোৎসবের বিস্তার৷ দুর্গাপূজা মূলতঃ বাংলার নিজস্ব সংস্কৃতির পরিচায়ক হলেও তা ক্রমশঃ বাংলার সীমানা ছাড়িয়ে সমগ্র ভারতবর্ষতো বটেই- বহির্ভারতেও প্রসারিত হয়ে চলেছে৷ পৃথিবীর যেখানেই অল্প কয়েকজন বাঙালীর বাস , সেখানেই দুর্গাপূজার আয়োজন একটি স্বাভাবিক ঘটনা৷ এছাড়া দুর্গাপূজা সাধারণতঃ হিন্দুধর্মমতাবলম্ব্ ধর্মাচরণের অঙ্গ হলেও দুর্র্গেৎসবের সামগ্রিক ব্যবস্থাপনা ও আনুষঙ্গিক বিষয়গুলির সঙ্গে অন্যান্য ধর্মমতের বা সম্প্রদায়ের মানুষজনও প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে যুক্ত থাকেন৷ ফল

অজগরের গ্রাসে বাঙালী

রবীন্দ্রনাথ সেন

একটা ভয়ঙ্কর অজগর গ্রাস করছে আস্ত বাঙলাকে৷ কখন খপ করে ধরেছে সে, বুঝে ওঠার আগেই পাকে পাকে জড়িয়ে ফেলেছে৷ অসহায়---বড্ড অসহায় লাগছে৷ বাঁচবার কি উপায় নেই কোন?

উপকারী ঘোমটার নীচে সাম্রাজ্যবাদী খ্যামটা

একর্ষি

খবরে প্রকাশ লালচীন এখন আন্তর্জাতিক বড় ঠিকাদার৷ বড় ভাই রাশিয়ার সাম্যবাদী গণেশ উল্টানোয় সাম্যবাদের বাজারের দায় বর্তেছে চীনের হাতে৷ তবে নাকি এখন বড় দায়....আশপাশের দেশ গুলোর দারিদ্র্য মোচন ৷ মহান ব্রত বটে৷ কিন্তু ব্রতটার নাম কী ? ‘ঋণদান ব্রত ’!

আধ্যাত্মিকতা ও বিজ্ঞান

দেবজিৎ ব্রহ্মচারী

একটি ছোট বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা বর্তমানে সমাজ সচেতন বিজ্ঞানীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে৷ তাঁরা দেখতে পান, পরীক্ষাগারে একটি জলভর্তি জারের ভেতর একটি ব্যাঙ রেখে ধীরে ধীরে জারটিকে অধিক তাপমাত্রায় উত্তপ্ত করায় জারটিতে থাকা জলের তাপমাত্রা বৃদ্ধি হতে থাকল৷ কিন্তু ব্যাঙটি কোনো প্রতিক্রিয়া দেখায় নি৷ শেষে ফুটন্ত অবস্থায় আসার আগে ব্যাঙটি মারা যায়৷ আরেকটি পরীক্ষায়, যখন আর একটি ব্যাঙকে গরম জলের জারে ফেলে দেওয়া হল, সেটি তৎক্ষণাৎ লাফ দিয়ে জারটির ভিতর থেকে বাইরে বেরিয়ে যায়৷ প্রথম পরীক্ষায় ব্যবহৃত ব্যাঙটি ধীরে ধীরে পরিবর্তিত বিপজ্জনক পরিবেশ থেকে নিজেকে মুক্ত না করতে পারায় মৃত্যুবরণ করতে বাধ্য হয়৷

নেতাজীর দেশপ্রেম ও ভারতবর্ষের স্বাধীনতা সংগ্রামে তাঁর ঐতিহাসিক ভূমিকার রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি চাই

তারাপদ বিশ্বাস

পৌরুষের বজ্রকৌস্তুভ, উল্কার অনল-শিখা, রাজনীতির জ্বলন্ত ধুমকেতু, বিশ্বের দেশে দেশে বিপ্লবীদের হৃদস্পন্দন বীর বাঙালী সুভাষচন্দ্র বসু ছিলেন স্বাধীনচেতা, মানবপ্রেমিক তথা খাঁটি বাঙালী-ভারতপ্রেমিক তিনি ছিলেন মনে প্রাণেই দেশপ্রেমিক৷৷ পরাধীন ভারতবর্ষের স্বাধীনতার লক্ষ্যে বিদেশের মাটিতে স্বাধীন ভারত সরকার তৈরী, ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে বীর বিক্রমে যুদ্ধ পরিচালনা তথা বিজয়ীর বেশে দেশের পূর্ব-প্রত্যন্ত মণিপুরে প্রবেশ ও স্বাধীন ভারতের পতাকা উত্তোলন সমগ্র দেশজুড়ে এক অভূতপূর্ব স্বাধীনতা আকাঙ্ক্ষায় উন্মাদনা সৃষ্টি করে!

অনন্য প্রাউট (পঞ্চম পর্ব)

 জিজ্ঞাসু

প্রাউট দর্শনের নানা বৈশিষ্ট্য আছে৷ আজ প্রগতিশীল শব্দের প্রাউটিস্টিক ব্যাখ্যা বুঝে নেবার চেষ্টা করব৷ তার পূর্বে জানবো এই বিষয়ে ধনতান্ত্রিক জড়বাদী ব্যাখ্যা কী বলে৷ পুরাতন সব কিছুর বিরুদ্ধে বিদ্রোহ, জড়ভোগবাদকে বেলাগাম প্রশ্রয়, তারজন্য মানব অধিকার ও স্বাধীনতার দাবি চলছে দেশে দেশে৷ গান তৈরী হচ্ছে, ‘‘আমাকে আমার মত থাকতে দাও’’৷ যে যেমন ইচ্ছা ব্যষ্টিগত জীবনযাপন করবে ৷ তাতে অন্যের অসুবিধা হলে হবে৷ তাদের কথা আমরা আমাদের নিয়ে মত্ত থাকি বা যা ইচ্ছা করি, আমরা তো কারো ক্ষতি করছিনা৷ এই চিন্তার বশবর্তী হয়ে কিছু দেশের সরকার তো নারী-পুরুষের দেহ ব্যবসাকেও স্বীকৃতি দিয়ে দিয়েছে৷ সরকারের ট্যাক্স পেলেই হ’ল --- মদ