বাংলা বানান সংশোধন

অসংস্কৃতি– ‘সংস্কৃতি’র বিপরীত শব্দ ‘অপকৃতি’ চলতে পারে, তবে ‘অপসংস্কৃতি’ চলতে পারে না৷ কারণ ‘সংস্কৃতি’ (সম্–কৃ  ক্তিন্

রাষ্ট্রসঙ্ঘে স্বীকৃতি পেল বাংলা ভাষা

গত ১০ই জুন রাষ্ট্র সংঙ্ঘের ৭৬তম সাধারণ অধিবেশনে বহুভাষাবাদের পক্ষে অ্যান্ডোরা ও কলম্বিয়ার আনা প্রস্তাব গৃহীত হয়৷ গৃহী

নিজস্ব সংবাদদাতা

আনন্দমার্গ স্কুলের প্রাক্তন ছাত্রের যুগান্তকারী আবিষ্কার

পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার ছেলে সাবির হোসেন এক বিশেষ ধরণের পাউডার আবিষ্কার করেছেন যা ব্যবহারে খুবই অল্প সময়ের মধ্যে ক্ষতস্থানের রক্তপাত বন্ধ হয়ে যাবে৷ পি.এন.এ.

সুপ্রিম কোর্টে সাতে নেই বাংলা প্রতিবাদে সরব ‘আমরা বাঙালী’

সুপ্রিম কোর্ট তার রায় প্রকাশের মাধ্যম হিসাবে হিন্দী, ইংরাজীর সাথে আরও পাঁচটি ভাষাকে বেছে নিয়েছে৷ তার মধ্যে উড়িয়া, অসমিয়া থাকলেও বাংলা ভাষার স্থান হয়নি নিজস্ব সংবাদদাতা

৩০শে এপ্রিল ১৯৮২ – রাতের চেয়ে অন্ধকার এক সকাল

আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত

৩০শে এপ্রিল ১৯৮২–দিনটা ছিল শুক্রবার৷ প্রভাত সূর্যের রাঙা আলো গায়ে মেখে জেগে উঠেছে মহানগর কোলকাতা৷ ঘুম ভাঙা চোখে কেউ বা থলি হাতে বাজারের পথে, কেউ বা ঘর থেকে বার হয়ে গলির চায়ের দোকানে ভীড় জমিয়েছে৷ আর পাঁচটা দিনের মতই সাধারণ একটি দিন৷ তখনও কেউ বোঝেনি এই সকালটা আর পাঁচটা সকালের মত সাধারণ হয়ে থাকবে না৷

৩০শে এপ্রিল : কলকাতার কলঙ্ক

জ্যোতিবিকাশ সিন্‌হা

বাঙালীর গর্বের শহর এই কলকাতাকে আমরা ‘কল্লোলিনী কলকাতা’, আনন্দময়ী নগরী, শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতির পীঠস্থান, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও সহাবস্থানের উৎকৃষ্ট উদাহরণ ইত্যাদি নামে চিনি৷ আর সেই কলকাতার বুকেই সংঘটিত হয়েছে ১৯৮২ সালের ৩০শে এপ্রিল মানবেতিহাসের জঘন্যতম, কলঙ্কময়, নৃশংসতম হত্যাকাণ্ড যার শিকার হয়েছিলেন একটি জনসেবামূলক আধ্যাত্মিক সংঘটন ‘আনন্দমার্গ’-এর ১৭ জন সর্বত্যাগী সন্ন্যাসী-সন্ন্যাসিনীগণ৷ পরমহংস রামকৃষ্ণদেব, স্বামী বিবেকানন্দ, ঋষি অরবিন্দ, নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসু, বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশ, আচার্য জগদীশচন্দ্র বসু, আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়, ভগিনী নিবেদিতা, মাদার টে

আজকের চরম দুর্দ্দিনে দেশের সৎনীতিবাদী মানুষকে এগিয়ে আসতেই হবে

প্রভাত খাঁ

সারা ভারত যুক্তরাষ্ট্রের মোট জন সংখ্যার প্রায় ৬৫ শতাংশ মানুষ যাঁরা নিম্নমধ্যবিত্ত ও গরিব হতদরিদ্র তাঁদের বেঁচে থাকার সব অধিকার হরণ করে বর্তমান কেন্দ্র সরকার এমন একপেশে পুঁজিপতি তোষনের জঘন্য শাসন চালিয়ে যাচ্ছে যেটাকে মোটেই জনগণের সরকার বলা চলে না!

রামের আবাস

পত্রিকা প্রতিনিধি

এক বালককে তার মাস্টার মশাই শিখিয়েছিলেন বড়দের প্রণাম করতে হয়৷ সরলমতি বালক একদিন মায়ের সঙ্গে নদীতে স্নান করতে গিয়ে দেখে নদীর তীরে একটি বড় কুমির শুয়ে আছে৷ এত বড় কুমির দেখে বালকটি বললে---‘কুমির ভাই প্রণাম৷’

কুমির---‘তুমি আমায় প্রণাম করলে কেন? ’

বালকটি উত্তর দিলো---‘তুমি তো আমার চেয়ে অনেক বড় তাই তোমায় প্রণাম করলুম’৷

কুমির---‘দেখো আমার চেয়ে নদীটা অনেক বড়৷ এই নদীতে আমার মত আরও অনেক কুমির আছে, তুমি এই নদীটাকে প্রণাম করো’৷

বালক কুমিরের কথামতো নদীকে প্রণাম করলো৷

সার্বিক কর্মসংস্থান ও দারিদ্র্য দূরীকরণের লক্ষ্যে অর্থনীতিকে বিকেন্দ্রিত পথে বিকশিত করতে হবে

প্রাউটিষ্ট ফোরাম

দিশাহীন অর্থনীতি কলুসিত রাজনীতির প্রভাবে সামাজিক অর্থনৈতিক সংরচনা ভেঙে পড়েছে৷ ক্রমবর্ধমান বেকারীর জ্বালায় যুব সমাজ অস্থির৷ পুঁজিপতি নিয়ন্ত্রিত সরকার অক্ষম সমস্যার সমাধানে৷ গ্যাসের দাম বৃদ্ধি জীবনদায়ী ঔষধের মূল্যবৃদ্ধিতে বাজারে হাহাকার পড়েছে৷ আর্থিক বিকাশের সব পথ রুদ্ধ৷

প্রাউটের দৃষ্টিতে সামগ্রিকভাবে মানব জাতির উন্নতি করতে হলে প্রথমেই মানুষের প্রাথমিক চাহিদাগুলি--- অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা, চিকিৎসার সুব্যবস্থা করতে হবে প্রতিটি মানুষের জন্যে৷ মানুষের এই প্রাথমিক চাহিদার পূর্তি না হলে আর্থিক বিকাশ সম্ভব নয়৷

ভারতে দেশ সেবক নেই সবাই নেতা তাই জনমত কে ভয় পায়

প্রভাত খাঁ

সংবিধান ও আইন মতাবেক যদি আদালতে কোন মামলা রুজু হয় সেই মামলার রায় দানের আগে কেউই এমন কি যারা শাসনে আছে তাদেরও অধিকার নেই সেই বিষয়ে কোন নোতুন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে তার পরিবর্তন ঘটানো৷ সেটাই করে বসলো বর্ত্তমান কেন্দ্র সরকার৷ দেখা গেল বর্তমানে কেন্দ্রের দুর্বল ‘লেমডাক’ সরকাৱ এন.ডি.এ৷ বিজেপি ও দুটি বাহিরের দলকে সঙ্গে নিয়ে শাসনে এসেছে! সেই দল হঠাৎ সুপ্রিম কোর্টে একটি মামলার শুনানীর অপেক্ষায় নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ সংক্রান্ত৷ কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার অপেক্ষা না করে কমিশনার নিয়োগ করেন৷ কেন্দ্র সরকার একেবারে অসম্মানজনক ও অশোভন কাজ করে বসলেন! কেন এটা সরকার করলেন সচেতন প্রবীন নাগরিকদের এটা বড় প্রশ্ণ!

প্রাউটের দৃষ্টিতে বিশ্বায়নই একমাত্র পথ

প্রবীর সরকার

মানুষই পারে স্রষ্টার সৃষ্টিকে সার্থক করতে কিন্তু সেই কাজটি করতে হবে ঐক্যবদ্ধভাবে ও অত্যন্ত আন্তরিকতার সঙ্গে৷ এই মহান কর্মের বাস্তবায়নের বিজ্ঞানসম্মত ও যুক্তিপূর্ণ পথ নির্দ্দেশনা দিয়েছেন প্রাউট দর্শনের প্রবক্তা শ্রদ্ধেয় প্রভাতরঞ্জন সরকার৷

আঞ্চলিকতার পথ ধরে বিশ্বায়নের পথে এগুতে হবে ঐক্যবদ্ধভাবে মানবসমাজকে৷

প্রথমেই বলতে বাধ্য হচ্ছি এই যে বিশ্বায়ন এটা হলো এক মহান প্রচেষ্টা যেখানে সকলে এক হয়ে চলার প্রয়াসে রত থাকবে৷

ওরা দু’পায়ে দলে, মরণ শঙ্কারে, সবারে ডেকে গেল শিকল ঝংকারে

মনোজ দেব

১৮ই এপ্রিল ১৯৩০-বাঙলার সশস্ত্র বিপ্লবের ইতিহাসে রক্তের অক্ষরে লেখা একটি দিন৷ না, সভা-সমিতিতে জ্বালাময়ী বত্তৃণতা দিয়ে নেতা হওয়ার জন্যে নয়, মাতৃভূমির মুক্তির জন্যে আত্মত্যাগের এক দুর্লভ ইতিহাস৷ সাম্রাজ্যবাদী অত্যাচারী ব্রিটিশ শাসককে যোগ্য জবাব দিতে বাঙলার ঘরে ঘরে তখন নবজীবনের সাড়া৷ একতরফা মার খাওয়ার দিন শেষ৷ সাম্রাজ্যবাদী বিদেশী শাসককে এবার যোগ্য জবাব দিতে হবে৷ পরাধীনতার যন্ত্রণা জাগিয়ে তোলে বাঙলার সুপ্ত যৌবনকে৷ নেতৃত্বের লোভে নয়, দেশের জন্যে স্বাধীনতার জন্যে আত্মত্যাগের, জীবন উৎসর্গের প্রতিদ্বন্দ্বিতা---‘আগে কে বা প্রাণ করিবেক দান, তারই লাগি কাড়

শৈব বাঙলায় বহিরাগত বিকৃত সংস্কৃতি বাঙলায় হিংস্র সাম্প্রদায়িকতার ভিত্তি

প্রাউটিষ্ট

বাংলার কৃষ্টি সভ্যতা সংস্কৃতি আজ চরম সংকটের সম্মুখে৷ বাংলা সালের শেষ মাসের শেষ দিন৷ বছরের এই সময়টা বাংলা উত্তাল থাকে শিবের গাজনে৷ গর্জন শব্দ থেকে গাজন শব্দটা এসেছে৷ বছরের এই সময়টা বাঙলার সাধারণ মানুষ চৈত্র গাজনে মেতে থাকে, কিন্তু এবার নববর্ষের ক’দিন আগে বিভিন্ন স্থানে অস্ত্র হাতে রাম রাম (বিকৃত হয়ে কানে বাজছিল ভাম ভাম) চিৎকারে যে লুম্পেন নাচ চলল তা একথায় বলা যায়, বাংলা ভাষা সংস্কৃতির উপর গণধর্ষণ৷ অবাক লাগল যারা এই নৃত্য করল তারা অধিকাংশই ভিনরাজ্যের,দাঁড়িয়ে তারিয়ে তারিয়ে উপভোগ করল মূলতঃ বাংলা ভাষী মানুষ৷

সাম্প্রদায়িকতা বিনাশের ও আর্থিক মুক্তির পথ প্রগতিশীল সমাজতন্ত্র

প্রভাত খাঁ

ভারত যুক্তরাষ্ট্র এক বিশাল দেশ৷ এর প্রায় ১ লাখ ১৬ হাজার ৫২১টির অধিক পঞ্চায়েত আছে৷ আর প্রায় ১১ লাখ ৬৫ হাজার ২১০টিরও অধিক গ্রাম আছে৷ সেই অনুপাতে বিভিন্ন স্থানের ভৌগোলিক পরিবেশ এক নয়, মরুভূমি, পার্বত্য এলাকা, অসমানতা, সমতলভূমি, বনাঞ্চল, উর্বর, অনুর্বর ভূমি আছে৷ বিভিন্ন এলাকার নানা প্রাকৃতিক কারণে নানা ধরণের বনজ, কৃষিজ, খনিজ সম্পদ আছে৷ নানা ভাষাভাষীর ভাইবোনেরা তাদের পরিবার-পরিজন নিয়ে কালাতিপাত করেন৷ প্রতিটি পঞ্চায়েত ও গ্রামকে আর্থিক দিক থেকে স্বয়ংভর করে’ গড়ে তোলার লক্ষ্যেই কংগ্রেসী আমলে ব্লক উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়৷ আঞ্চলিক ভিত্তিতে ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত পরিকল্পনাকে যদি জোর দেওয়া হয় তাহলে ম