সবাই মিলে' এক সঙ্গে চলার নামই সমাজ। যে পিছিয়ে রয়েছে তাকে ঘৃণা না করে' এগিয়ে আসতে সাহায্য কোরো। এটাই হবে তোমার সমাজ-ধর্ম।
-- শ্রীশ্রী আনন্দমূর্ত্তি
সবাই মিলে' এক সঙ্গে চলার নামই সমাজ। যে পিছিয়ে রয়েছে তাকে ঘৃণা না করে' এগিয়ে আসতে সাহায্য কোরো। এটাই হবে তোমার সমাজ-ধর্ম।
-- শ্রীশ্রী আনন্দমূর্ত্তি
বর্ত্তমান বিশ্বের প্রতিটি মানুষ, জীব জন্তু গাছপালা আজ অত্যন্ত নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে ও পরিবেশ এমন বিষাক্ত হয়ে উঠেছে যা কহতব্য নয়৷ এই ধ্বংসোন্মুখ পৃথিবী গ্রহের অধিকাংশ রাষ্ট্র পরস্পর বিদ্বেষ ঘৃণায় মারমুখী হয়ে মারাত্মক ধ্বংসকেই আহ্বান জানাচ্ছে৷ তারই কারণে এই গ্রহের উদ্ভিদ প্রাণী কুলের কল্যাণার্থে যতোটুকু করা দরকার তা না করে দৈত্যকুলের ন্যায় পৃথিবী ধ্বংসে অস্ত্র প্রতিযোগিতা মুক্তকচ্ছ হয়ে ছুটছে৷
মানুষ সৃষ্টির শ্রেষ্ঠজীব৷ তারই উপর পরম পিতা দায়িত্ব দিয়েছেন সকলকে রক্ষার৷ তা না করে ধ্বংসে মেতেছে৷ তাই সভ্যতা আজ দিশাহীন অসভ্যতা রূপে সৃষ্টিকে বার বার পরিহাস করেই চলেছে৷
‘রাধা’ হল সাধকের জীবনের একটা ভাব৷ ব্রজভাব, গোপীভাব ও রাধাভাবের মধ্য দিয়ে সাধক এগিয়ে চলে পরম লক্ষ্যের পানে৷ এই রাধাভাব জাগ্রত হবার পরেই সাধক তার অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছতে পারে৷ আবার বৈষ্ণব তন্ত্র মতে প্রতিটি মানুষের মূলাধারস্থিত জীবভাব বা কুলকুণ্ডলিনী শক্তিকে রাধা বা হ্লাদিনী শক্তি বলে৷ সহস্রার চক্রে রয়েছেন শ্রীকৃষ্ণ৷ এই রাধাকৃষ্ণের মিলনেই সাধকের জীবনের সার্থকতা৷ তাই প্রতিটি সাধকই রাধা৷ রাধা বলতে কোন গোপী বা নারীকে বোঝায় না৷ শ্রীকৃষ্ণের সময়ে বৃন্দাবনে ‘রাধা’ নামে কেউ ছিল না৷
ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনে শহীদ দীনেশ মজুমদার
জন্ম-১৯শে মে ১৯০৭, মৃত্যু - ফাঁসীর মঞ্চে ১৯৩৪ সালে ৯ই জুন
‘আমরা চাই এ বিশ্বে যুক্তির রাজত্ব প্রতিষ্ঠিত হোক৷ মানব সমাজ এক ও অবিভাজ্য তবে আপাতঃদৃষ্টিতে সেখানে বৈচিত্র থাকতে পারে কিন্তু বস্তুতঃ সেখানে রয়েছে ফল্গুধারার মত এক সামরস্য৷ যেমন মধ্যপ্রাচ্যে মুসলমান, ইহুদী, খ্রীষ্টান, শ্বেতাঙ্গ, কৃষ্ণাঙ্গ সবই রয়েছে কিন্তু তারা মূলতঃ একই মহান মানবজাতির গৌরবান্বিত সদস্য---একই মহিমান্বিত বিশ্বপিতার সন্তান৷ আনন্দমার্গের আধ্যাত্মিক দর্শন এই তত্ত্বে বিশ্বাসী৷ একমাত্র ভাবজড়তার প্রভাবেই মানুষ বৈষম্যমূলক চিন্তাকে প্রশ্রয় দিয়ে থাকে৷ পৃথিবীতে একটিমাত্র আদর্শ রয়েছে যা সর্বাত্মক ও সর্বানুসূ্যত আর তা হচ্ছে এই আনন্দমার্গ৷
জাতীয় দলের মর্যাদা হারাল সিপিআই৷ সিপিআই ভারতের কমিউনিষ্ট পার্টি নামে এদেশে পরিচয় দেয়৷ কখনই ভারতীয় কম্যুনিষ্ট পার্টি নয়৷ দুটি নামের মধ্যে একটি ফারাক অবশ্যই আছে৷ ভারতের জাতীয়করণ হয়েছে এই অর্থে ভারতীয়৷ অন্য শব্দটি ভারতের কম্যুনিষ্ট পার্টি অর্থাৎ জাতীয়করণ হয়নি৷ ভারতের কমিউনিষ্ট পার্টি বা সিপিআই এর জন্ম ১৯২৫ সালের ২৬শে ডিসেম্বর৷ কানপুরে একটুপার্টি কংগ্রেসের বিপ্লবী নরেন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য (মানবেন্দ্রনাথ রায়) অবণী মুখার্জী প্রমুখ এই কম্যুনিষ্ট পার্টি ঘটন করে৷ শতাব্দীর দোরগোড়ায় এসে ভারতের কম্যুনিষ্ট পার্টি তার জাতীয় দলের তকমা হারাল৷ শতবর্ষ বয়স প্রাপ্তির পূর্বে সিপিআই-এর এই অধঃপতনের খবর কম্যুনিষ্টদ
শ্রুতি লিখন ---সুভাস প্রকাশ পাল
আনন্দমার্গ প্রচারক সংঘের কোলাঘাট ইয়ূনিটের উদ্যোগ গত বছর শ্রীশ্রী আনন্দমূর্ত্তিজীর শততম জন্মবার্ষিকী এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে সুসম্পন্ন হয়, বহু জ্ঞানী-গুণী ব্যষ্টি দাদা-দিদি এবং মার্গী ভাই-বোন ঐ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন৷ ঐ দিনের বৈকালিক সভায় অতিথি হয়ে আমারও থাকার সুযোগ হয়েছিল৷ ঐ সভায় অবধূতিকা আনন্দগুনময়া আচার্যার বক্তব্যটি ছিল সত্যই মনে রাখার মতো তাঁর বক্তব্যের সারমর্মটি তুলে ধরার চেষ্টা করছি৷
আজ সারা বিশ্বে শোষিত বঞ্চিত, নিপীড়িত, অনাহারক্লিষ্ট ও মানবতা জোরালো আওয়াজ তুলেছে,---‘‘প্রাউট, প্রাউট, প্রাউট চাই৷ প্রাউট নিয়ে বাঁচতে চাই৷’’ সুতরাং প্রাউট Prout) কী? প্রাউট কী করতে চায়? প্রাউটের নীতি আদর্শ, উদ্দেশ্য ও কর্মপদ্ধতি কী?
এ পর্যন্ত বিজ্ঞানীরা মহাকাশের জ্যোতিষ্কদের উৎপত্তি সম্পর্কে বলেছেন --- নীহারিকা থেকে তারা জগৎ বা ছায়াপথ Nebula) তৈরী হয়েছে৷ আমরা যে তারা জগৎ বা ব্রহ্মাণ্ড Galaxy) এর মধ্যে বাস করি তা মোটামুটি দশহাজার কোটি (১০,০০০কোটি) নক্ষত্র নিয়ে গঠিত হয়েছে৷ এই বিপুল সংখ্যক নক্ষত্র বা তারাদের মধ্যে সূর্য হল একটি তারা, আর এই তারাকে কেন্দ্র করে পৃথিবী নামক গ্রহটি ঘুরে চলেছে৷ আমরা হলাম এই পৃথিবী গ্রহের বাসিন্দা৷ আমাদের ব্রহ্মাণ্ড (Galaxy)টির কেন্দ্র হ’তে ৩৩০০০ আলোকবর্ষ দূরে৷ আমরা হ’লাম ওর শহর তলীয় বাসিন্দা৷ মহাকাশের বুকে এরূপ অগণিত ব্রহ্মাণ্ড সমূহকে নিয়ে গঠিত হয়েছে মহাবিশ্ব Universe)৷ এখন, এই মহাবিশ্বের জ্য