রাষ্ট্রসঙ্ঘে স্বীকৃতি পেল বাংলা ভাষা

গত ১০ই জুন রাষ্ট্র সংঙ্ঘের ৭৬তম সাধারণ অধিবেশনে বহুভাষাবাদের পক্ষে অ্যান্ডোরা ও কলম্বিয়ার আনা প্রস্তাব গৃহীত হয়৷ গৃহী

নিজস্ব সংবাদদাতা

আনন্দমার্গ স্কুলের প্রাক্তন ছাত্রের যুগান্তকারী আবিষ্কার

পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার ছেলে সাবির হোসেন এক বিশেষ ধরণের পাউডার আবিষ্কার করেছেন যা ব্যবহারে খুবই অল্প সময়ের মধ্যে ক্ষতস্থানের রক্তপাত বন্ধ হয়ে যাবে৷ পি.এন.এ.

সুপ্রিম কোর্টে সাতে নেই বাংলা প্রতিবাদে সরব ‘আমরা বাঙালী’

সুপ্রিম কোর্ট তার রায় প্রকাশের মাধ্যম হিসাবে হিন্দী, ইংরাজীর সাথে আরও পাঁচটি ভাষাকে বেছে নিয়েছে৷ তার মধ্যে উড়িয়া, অসমিয়া থাকলেও বাংলা ভাষার স্থান হয়নি নিজস্ব সংবাদদাতা

বিশ্ব পরিবেশ দিবসে আবেদন

‘‘মানুষ যেন মানুষের তরে সবকিছু করে যায়৷

               একথাও যেন মনে রাখে পশুপাখী তার পর নয়

নিজস্ব সংবাদদাতা

প্রগতিশীল সমাজতন্ত্রের প্রতিষ্ঠা করতেই হবে

প্রভাত খাঁ

বর্ত্তমান বিশ্বের প্রতিটি মানুষ, জীব জন্তু গাছপালা আজ অত্যন্ত নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে ও পরিবেশ এমন বিষাক্ত হয়ে উঠেছে যা কহতব্য নয়৷ এই ধ্বংসোন্মুখ পৃথিবী গ্রহের অধিকাংশ রাষ্ট্র পরস্পর বিদ্বেষ ঘৃণায় মারমুখী হয়ে মারাত্মক ধ্বংসকেই আহ্বান জানাচ্ছে৷ তারই কারণে এই গ্রহের উদ্ভিদ প্রাণী কুলের কল্যাণার্থে যতোটুকু করা দরকার তা না করে দৈত্যকুলের ন্যায় পৃথিবী ধ্বংসে অস্ত্র প্রতিযোগিতা মুক্তকচ্ছ হয়ে ছুটছে৷

মানুষ সৃষ্টির শ্রেষ্ঠজীব৷ তারই উপর পরম পিতা দায়িত্ব দিয়েছেন সকলকে রক্ষার৷ তা না করে ধ্বংসে মেতেছে৷ তাই সভ্যতা আজ দিশাহীন অসভ্যতা রূপে সৃষ্টিকে বার বার পরিহাস করেই চলেছে৷

রাধার ঐতিহাসিকতা

আচার্য ব্রজেশ্বরানন্দ অবধূত

‘রাধা’ হল সাধকের জীবনের একটা ভাব৷ ব্রজভাব, গোপীভাব ও রাধাভাবের মধ্য দিয়ে সাধক এগিয়ে চলে পরম লক্ষ্যের পানে৷ এই রাধাভাব জাগ্রত হবার পরেই সাধক তার অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছতে পারে৷ আবার বৈষ্ণব তন্ত্র মতে প্রতিটি মানুষের মূলাধারস্থিত জীবভাব বা কুলকুণ্ডলিনী শক্তিকে রাধা বা হ্লাদিনী শক্তি বলে৷ সহস্রার চক্রে রয়েছেন শ্রীকৃষ্ণ৷ এই রাধাকৃষ্ণের মিলনেই সাধকের জীবনের সার্থকতা৷ তাই প্রতিটি সাধকই রাধা৷ রাধা বলতে কোন গোপী বা নারীকে বোঝায় না৷ শ্রীকৃষ্ণের সময়ে বৃন্দাবনে ‘রাধা’ নামে কেউ ছিল না৷

স্মরণিকা

 

দীনেশ মজুমদার

ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনে শহীদ দীনেশ মজুমদার

জন্ম-১৯শে মে ১৯০৭, মৃত্যু - ফাঁসীর মঞ্চে ১৯৩৪ সালে ৯ই জুন

 

আপ্তবাক্য

পত্রিকা প্রতিনিধি

‘আমরা চাই এ বিশ্বে যুক্তির রাজত্ব প্রতিষ্ঠিত হোক৷ মানব সমাজ এক ও অবিভাজ্য তবে আপাতঃদৃষ্টিতে সেখানে বৈচিত্র থাকতে পারে কিন্তু বস্তুতঃ সেখানে রয়েছে ফল্গুধারার মত এক সামরস্য৷ যেমন মধ্যপ্রাচ্যে মুসলমান, ইহুদী, খ্রীষ্টান, শ্বেতাঙ্গ, কৃষ্ণাঙ্গ সবই রয়েছে কিন্তু তারা মূলতঃ একই মহান মানবজাতির গৌরবান্বিত সদস্য---একই মহিমান্বিত বিশ্বপিতার সন্তান৷ আনন্দমার্গের আধ্যাত্মিক দর্শন এই তত্ত্বে বিশ্বাসী৷ একমাত্র ভাবজড়তার প্রভাবেই মানুষ বৈষম্যমূলক চিন্তাকে প্রশ্রয় দিয়ে থাকে৷ পৃথিবীতে একটিমাত্র আদর্শ রয়েছে যা সর্বাত্মক ও সর্বানুসূ্যত আর তা হচ্ছে এই আনন্দমার্গ৷

প্রসঙ্গ ঃ সিপিআই জাতীয় দলের মর্যাদা হারাল

অসিত দত্ত

জাতীয় দলের মর্যাদা হারাল সিপিআই৷ সিপিআই ভারতের কমিউনিষ্ট পার্টি নামে এদেশে পরিচয় দেয়৷ কখনই ভারতীয় কম্যুনিষ্ট পার্টি নয়৷ দুটি নামের মধ্যে  একটি ফারাক অবশ্যই আছে৷ ভারতের জাতীয়করণ হয়েছে এই অর্থে ভারতীয়৷ অন্য শব্দটি ভারতের কম্যুনিষ্ট পার্টি অর্থাৎ জাতীয়করণ হয়নি৷ ভারতের কমিউনিষ্ট পার্টি বা সিপিআই এর জন্ম ১৯২৫ সালের ২৬শে ডিসেম্বর৷ কানপুরে একটুপার্টি কংগ্রেসের বিপ্লবী নরেন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য (মানবেন্দ্রনাথ রায়) অবণী মুখার্জী প্রমুখ এই কম্যুনিষ্ট পার্টি ঘটন করে৷ শতাব্দীর দোরগোড়ায় এসে ভারতের কম্যুনিষ্ট পার্টি তার জাতীয় দলের তকমা হারাল৷ শতবর্ষ বয়স প্রাপ্তির পূর্বে সিপিআই-এর এই অধঃপতনের খবর কম্যুনিষ্টদ

নারী কল্যাণে শ্রীশ্রী আনন্দমূর্ত্তি

অবধূতিকা আনন্দ গুনময়া আচার্যা

শ্রুতি লিখন ---সুভাস প্রকাশ পাল

আনন্দমার্গ প্রচারক সংঘের কোলাঘাট ইয়ূনিটের উদ্যোগ  গত বছর শ্রীশ্রী আনন্দমূর্ত্তিজীর শততম জন্মবার্ষিকী এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে সুসম্পন্ন হয়, বহু জ্ঞানী-গুণী ব্যষ্টি দাদা-দিদি এবং মার্গী ভাই-বোন ঐ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন৷ ঐ দিনের বৈকালিক সভায় অতিথি হয়ে আমারও থাকার সুযোগ হয়েছিল৷ ঐ সভায় অবধূতিকা আনন্দগুনময়া আচার্যার বক্তব্যটি ছিল সত্যই মনে রাখার মতো তাঁর বক্তব্যের সারমর্মটি তুলে ধরার চেষ্টা করছি৷

প্রাউট কী ও কেন?

প্রফুল্ল কুমার মাহাত

আজ সারা বিশ্বে শোষিত বঞ্চিত, নিপীড়িত, অনাহারক্লিষ্ট ও মানবতা জোরালো আওয়াজ তুলেছে,---‘‘প্রাউট, প্রাউট, প্রাউট চাই৷ প্রাউট নিয়ে বাঁচতে চাই৷’’ সুতরাং প্রাউট Prout) কী? প্রাউট কী করতে চায়? প্রাউটের নীতি আদর্শ, উদ্দেশ্য ও কর্মপদ্ধতি কী?

বিশুদ্ধ ও আজ্ঞাচক্রের উপর মহাবিশ্বের জ্যোতিষ্ক সমূহের প্রভাব

সমরেন্দ্রনাথ ভৌমিক

এ পর্যন্ত বিজ্ঞানীরা মহাকাশের জ্যোতিষ্কদের উৎপত্তি সম্পর্কে বলেছেন --- নীহারিকা থেকে তারা জগৎ বা ছায়াপথ Nebula) তৈরী হয়েছে৷ আমরা যে তারা জগৎ বা ব্রহ্মাণ্ড Galaxy) এর মধ্যে বাস করি তা মোটামুটি  দশহাজার কোটি (১০,০০০কোটি) নক্ষত্র নিয়ে গঠিত হয়েছে৷ এই বিপুল সংখ্যক নক্ষত্র বা তারাদের মধ্যে সূর্য হল একটি তারা, আর এই তারাকে  কেন্দ্র করে পৃথিবী নামক গ্রহটি ঘুরে চলেছে৷ আমরা হলাম এই পৃথিবী গ্রহের বাসিন্দা৷ আমাদের ব্রহ্মাণ্ড (Galaxy)টির কেন্দ্র হ’তে ৩৩০০০ আলোকবর্ষ দূরে৷ আমরা হ’লাম ওর শহর তলীয় বাসিন্দা৷ মহাকাশের বুকে এরূপ অগণিত ব্রহ্মাণ্ড সমূহকে নিয়ে গঠিত হয়েছে মহাবিশ্ব Universe)৷ এখন, এই মহাবিশ্বের জ্য