রাষ্ট্রসঙ্ঘে স্বীকৃতি পেল বাংলা ভাষা

গত ১০ই জুন রাষ্ট্র সংঙ্ঘের ৭৬তম সাধারণ অধিবেশনে বহুভাষাবাদের পক্ষে অ্যান্ডোরা ও কলম্বিয়ার আনা প্রস্তাব গৃহীত হয়৷ গৃহী

নিজস্ব সংবাদদাতা

আনন্দমার্গ স্কুলের প্রাক্তন ছাত্রের যুগান্তকারী আবিষ্কার

পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার ছেলে সাবির হোসেন এক বিশেষ ধরণের পাউডার আবিষ্কার করেছেন যা ব্যবহারে খুবই অল্প সময়ের মধ্যে ক্ষতস্থানের রক্তপাত বন্ধ হয়ে যাবে৷ পি.এন.এ.

সুপ্রিম কোর্টে সাতে নেই বাংলা প্রতিবাদে সরব ‘আমরা বাঙালী’

সুপ্রিম কোর্ট তার রায় প্রকাশের মাধ্যম হিসাবে হিন্দী, ইংরাজীর সাথে আরও পাঁচটি ভাষাকে বেছে নিয়েছে৷ তার মধ্যে উড়িয়া, অসমিয়া থাকলেও বাংলা ভাষার স্থান হয়নি নিজস্ব সংবাদদাতা

বিশ্ব পরিবেশ দিবসে আবেদন

‘‘মানুষ যেন মানুষের তরে সবকিছু করে যায়৷

               একথাও যেন মনে রাখে পশুপাখী তার পর নয়

নিজস্ব সংবাদদাতা

আর কত সহ্য করবে বাঙালী

মনোজ দে

১৯৪৭ সালের ১৫ই আগষ্ট মধ্যরাত থেকে আজ পর্যন্ত নেহেরু থেকে নরেন্দ্র মোদি বাঙলার প্রতিবঞ্চনা অবহেলা সমানে চলছে৷ সরকারের রং পাল্টেছে কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকারের বাঙলার প্রতি আচরণের কোন পরিবর্তন হয়নি৷ আজ বাঙালীকে আবার বিদেশী বানানোর চক্রান্ত শুরু হয়েছে৷ কিন্তু বাঙালীর এসব নিয়ে ভাবার সময় নেই৷

ধর্ম ও ধর্মমত

পথিক বর

পৃথিবীতে আজ পর্যন্ত যত রক্তপাত ঘটেছে ও ঘটছে তার অধিকাংশই ধর্মমতের লড়াই, সম্প্রতি প্যালেস্টাইন-ইজরায়েলের যে সংঘাত তার মূলেও আছে ধর্মমত৷ আমাদের দেশেও ধর্মমত সমাজের ভেদ বিদ্বেষের একটা অন্যতম কারণ৷ দেশটা ভাগও হয়েছে এই ধর্মমতকে কেন্দ্র করেই৷ কিন্তু মানুষের ধর্ম ও ধর্মমত ঠিক এক নয়৷ 

প্রকৃতপক্ষে এই রিলিজিয়ন বা ধর্মমত নিয়ে বর্তমানে  মানবসমাজে চরম অশান্তি চলছে৷ আমাদের দেশে এ তো এখন একটা প্রধান ইস্যু হয়ে উঠেছে৷ আর এ নিয়ে যত সমস্যা৷ পৃথিবীর ইতিহাসে সবচেয়ে বেশী লড়াই ও রক্তপাত হয়েছে এই রিলিজিয়নের  সেন্টিমেন্টকে কেন্দ্র করে৷

হে মানুষ! সৎ মানুষ হবে কবে

প্রফুল্ল কুমার মাহাতো

স্রষ্টার শ্রেষ্ঠ সৃষ্টি, অমৃতের পুত্রকন্যা মানুষ৷ সব দিক দিয়ে স্রষ্টা, যথা---বিদ্যা,বুদ্ধি, বোধি, বিবেক, চেতনা উন্নত মস্তিষ্ক, বিচার ক্ষমতা যথা, ভাল-মন্দ, সৎ---অসৎ, সু-কু করণীয় অবকরণীয়, চর্য-অচর্য, পাপ---প্রত্যরায়---প্রভৃতি বিষয়ে মানুষকে সমৃদ্ধ করে তুলেছেন৷ এক কথায়, ইতিবাচক প্রতিসঞ্চর ধারায় মানুষ মুক্তি মোক্ষের দোর গড়ায় উপনীত হয়েছে৷ এর পিছনে উদ্দেশ্য হচ্ছে - মানুষের  অভিষ্ট লাভ, ঈশ্বর সম্প্রাপ্তি৷ জন্ম-মৃত্যুর ঘুর্ণাবর্ত থেকে উদ্ধার করে মানুষকে মুক্তি-মোক্ষ প্রদান৷ এই উদ্দেশ্য সাধনের জন্য মানুষকে সর্বপ্রকারে সাহায্য করার জন্য, সাত হাজার বছর পূর্বে সদাশিব, সাড়ে তিন হাজার বছর পূর্বে  শ্রীকৃষ্

‘প্রাউট’ প্রতিষ্ঠায় মাইক্রোবাইটাম তত্ত্বের ‘সর্বাধিক উপযোগ’ প্রসঙ্গে

সমরেন্দ্রনাথ ভৌমিক

‘প্রাউট’ চায়--- প্রগতিশীল সমাজ তন্ত্রের প্রতিষ্ঠা৷ মহান দার্শনিক  শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকার ‘প্রাউট’-এর সমাজ দর্শনের  মৌল সিদ্ধান্তগুলিকে ‘আনন্দসূত্রম’-এর পঞ্চম অধ্যায়ের শেষ পাঁচটি সূত্রে লিপিবদ্ধ ক’রে গিয়েছেন৷ এই পাঁচটি মৌল সিদ্ধান্ত হ’ল---

১)‘‘সমাজ দেশেন বিনা ধন সঞ্চয়ঃ অকর্তব্যঃ’’,২) ‘‘স্থূল  সূক্ষ্মকারণেষু চরমোপযোগঃ প্রকর্তব্যঃ বিচারসমর্থিতং বন্টনঞ্চ৷’’ ৩)‘‘ব্যষ্টি সমষ্টি শারীরমানসাধ্যাত্মিক সম্ভাবনায়াং চরমোহপযোগশ্চ৷’’ ৪)‘‘স্থূলসূক্ষ্মকারণোহপ্ সুসন্তুলিতাঃ বিধেয়াঃ৷’’ ৫)‘‘দেশ কাল পাত্রৈঃ উপযোগাঃ পরিবর্ত্তন্তে তে উপযোগাঃ প্রগতিশীলাঃ ভবেয়ুঃ৷’’

সার্বিক শোষণ মুক্তির আন্দোলনই হলো বাঁচার একমাত্র পথ

প্রভাত খাঁ

এটাকে  কী কেউ অস্বীকার করতে পারে যে পৃথিবীর  প্রতিটি নারী ও শিশুরাই হলো সেই মহান স্রষ্টার সবচেয়ে প্রিয় সন্তান মানুষ৷ কারণ এদের তিনি সৃষ্টি করেছেন, দায় দায়িত্ব দিয়েছে, বিবেকও বুদ্ধি দিয়েছেন যাতে তাঁর সৃষ্টিকে কল্যাণধর্মী মানসিকতা নিয়ে ভোগ করবে ও তাদের রক্ষা করবে, কিন্তু নিষ্ঠুরভাবে ধবংস করবে না৷ তাই সকল দেশেই যাঁরা চিন্তাশীল ও  বিবেক সম্পন্ন মানুষও বলে গেছেন যাঁরা মানুষকে সেবা দিচ্ছে তাঁদের প্রতি সর্বদাই সেবা দেবে ও রক্ষা করে যাবে৷ কিন্তু আজকের অত্যাধুনিক (?) যুগে তো দেখা যাচ্ছে সেই মানুষগুলোই নির্মমভাবে লোভী ও ভোগসর্বস্ব হয়ে সবকিছুকে ধবংস করেই সুন্দর বসুন্ধরাকে শ্মশানেই পরিণত করে চলেছে সেই

বাস্তবমুখী অর্থনৈতিক পরিকল্পনা ও অর্ন্তমুখী জীবনের অনুশীলন ভারতের সংহতি সুদৃঢ় করবে

আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত

বেকারত্বের হারবৃদ্ধি, ক্ষুধাসূচক, শিশু অপুষ্টিতে ভারতের করুণ অবস্থা৷ বিভিন্ন আর্থিক সংস্থার প্রতিবেদন ভারতবাসীর কাছে মোটেই সুখকর নয়৷ এই আর্থিক বিপর্যয়ের কারণ অর্থনৈতিক অসন্তুলন, সামাজিক ভেদ, বিভেদ, বিদ্বেষ৷

একথা রূঢ় বাস্তব---ভারতবর্ষের অভ্যন্তরেই আজ বিচ্ছিন্নতার সুর৷ তাই রাষ্ট্রের কর্ণধারদের সংহতির কথা চিন্তা করতেই হবে৷ ঐক্যের পথ খুঁজে বের করতেই হবে৷ কিন্তু শুধু রোগ জানলেই হবে না৷রোগের কারণও জানতে হবে৷ নতুবা ভুল ঔষধ প্রয়োগে হিতে বিপরীত হবে৷

কলুষমুক্ত সমাজের সন্ধানে

মনোজ দেব

ধনতন্ত্রের নিষ্ঠুর শোষনে ও শাসনে মানুষের সমাজ ও সভ্যতা আজ বিপর্যস্ত৷ প্রতিমুহুর্তে পরিলক্ষিত হচ্ছে মনুষ্যত্বহীন মানুষের পাশবিক রূপ৷ এক একটা নক্কার জনক ঘটনা ঘটছে, অপরাধ দমনে কঠোর আইন প্রয়োগের দাবীতে সরব হচ্ছে সমাজের সর্বস্তরের মানুষ৷ কিন্তু আইন করে কি এই অপরাধ দমন  করা যাবে আইন হয়েছে, প্রয়োগও হয়েছে তবু সমাজে নারী–নিগ্রহ, নারী–ধর্ষণ, খুন প্রভৃতি  সমানে চলেছে৷ কয়েক বছর আগে দিল্লীর এক গণধর্ষণের পর সংসদে সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত হয়, ধর্ষণ আটকাতে কড়া আইন তৈরী করতে হবে৷ সেই আইন আনা হ’ল৷ কিন্তু তাতেও কোনও পরিবর্তন দেখা গেল না৷ 

প্রভাতরঞ্জনের মননে গন্ধ পরিক্রমা

সমরেন্দ্রনাথ ভৌমিক

পরম পূজ্য ‘ৰাৰা’ (শ্রী প্রভাতরঞ্জন সরকার) ‘গন্ধ্‌’ ধাতুটির ১২টি অর্থ ও ব্যাখ্য করেছেন৷ কিন্তু এই ১২টি অর্থ বলেই ৰাৰা থেমে যান নি৷  অনেকের মনে হতে পারে তাঁর এই জ্ঞান-ভান্ডার স্কুল-কলেজের  অধ্যয়নের মাধ্যমে অর্জিত হয়েছে অথবা বিভিন্ন পুস্তক অধ্যয়ন ক’রে অর্জিত হয়েছে৷ কিন্তু যাঁরা ৰাৰার সান্নিধ্যে অনুক্ষণ রয়েছেন তাঁরা প্রত্যেকেই নিশ্চিতভাবেই জানেন যে, ৰাৰার ঘরে কোনওদিনই কোন পুস্তকই নেই৷ ঘরে তো দূরের কথা, পৃথিবীতে কোন  মহান ব্যষ্টি এধরণের  পুস্তক এখনও লেখেন  নি৷ এ সবই  জন্মার্জিত৷

সোশ্যাল মিডিয়ার ব্যবহার অব্যবহার

মনোজ দেব

প্রিন্ট মিডিয়া, ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার পাশাপাশি সোশ্যাল মিডিয়া নামক একটি নোতুন জগতের সাথে আমাদের পরিচিতি ঘটেছে৷ এক বিংশ শতাব্দীর সূচনা লগ্ণ থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ার পথ চলা শুরু৷ বর্তমান সময়ে এর প্রভাব ও বিস্তার উপেক্ষা করার মতো নয়৷ আট থেকে আশি সকলের কাছেই সমাদর লাভ করেছে সোস্যার মিডিয়া পরিবারের সদস্যবৃন্দ যেমন--- ফেসবুক , হোয়াটস আপ, টুইট্যার, ইন্সটাগ্রাম ইত্যাদি ৷ 
লক্ষ কোটি মানুষের মেল বন্ধন ঘটেছে৷ সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে৷ আঙুলের স্পর্শে ভৌগোলিক দূরত্ব মুছে যাচ্ছে, দেশ-মহাদেশ -মহাসাগর অতিক্রম করে মানুষ মিশে যাচ্ছে, একাকার হয়ে যাচ্ছে স্থান-কাল-পাত্র উপেক্ষা করে৷