January 2020

বৃহত্তর বাঙলা

প্রায় ৫০০০ বছর আগে অষ্ট্রিক, মঙ্গোলিয়ন আর নিগ্রো রক্তের সংমিশ্রণ–জাত বাঙালী জনসমুদায় সৃষ্টি হয়েছিল৷ সেই সময় বাঙলার ভাষা ছিল সংস্কৃত, তাই বাংলাভাষারও পথনির্দেশক ভাষা হচ্ছে সংস্কৃত৷ প্রায় ১২০০ বছর আগে বাংলাভাষার এক রূপান্তরণ হয়েছিল৷ সেই সময় বাঙলা বলতে বোঝাত বর্তমানের পশ্চিমবঙ্গ, নেপালের ঝাঁপা জেলা, বিহারের পূর্বাংশ, সম্পূর্ণ বাঙলাদেশ আর বর্মা, মেঘালয়ের সমতল অংশ, প্রাগজ্যোতিষপুরের কিছু অংশ আর অসমের বরপেটা, কামরূপ ও নগাঁও৷ বৃহত্তর বাঙলার এই ছিল এলাকা৷ আজ বাঙালী বলতে বোঝায় দুই প্রকারের অভিব্যক্তি– ভারতীয় বাঙালী আর বাঙলাদেশী বাঙালী ৷ এই দু’য়ের মধ্যে একটা সংহতিকরণ বা মিশ্রণ অবশ্যই হওয়া উচিত৷

আনন্দ বাণী ২০২০

সাথে চলার সংকল্প নিয়ে’ যারা একত্রিত হয়েছে পথের কণ্টক তাদের বাধা দিতে পারে না৷ বিশ্ব জয়ের সাধনায় যারা বিজয়-দুন্দুভি বাজিয়ে’ চলেছে ভীরু মনের সংশয়াকুল দৃষ্টি তাদের গতি রুদ্ধ করতে পারে না৷ মানুষ, তুমি এগিয়ে যাও৷ এগিয়ে’ চলার গানই তোমার মুখের একমাত্র ভাষা হোক৷       ---শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তি

শুভ নববর্ষ ২০২০

শুভ নববর্ষে আসুন আমরা সংকল্প গ্রহণ করি, নব্যমানবতাবাদের পথ ধরে জাত-পাত-সম্প্রদায় ভুলে সবাইকে সাথে নিয়ে হাতে হাত মিলিয়ে,কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে আমরা এগিয়ে চলি৷

মনুষ্যত্ব লাভের দুঃসাধ্য সাধনাই নববর্ষকে সার্থক করতে পারে

আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত

কালের গতিপ্রবাহে আমাদের জীবন থেকে হারিয়ে গেল একটা বছর৷ আর একটা নতুন বছরের সামনে এসে আমরা দাঁড়িয়েছি৷ এই যে কালের যাওয়া-আসা, মহাবিশ্ব প্রকৃতির এতে কোন হেলদোল নেই৷ সূর্যটাও আর পাঁচটা দিনের মতই পূব আকাশে উদয় হয়েছে৷ সেখানেও নতুনত্ব কিছু নেই৷ সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত প্রতিদিনেরই ঘটনা৷ কাল যেখানে শেষ হয়েছে আজ তো সেখান থেকেই শুরু হয়েছে৷ যদিও আমাদের কাছে ধরিত্রী আজ নববর্ষের নব প্রভাতের আলোকে স্নাত৷ বিধাতার অমোঘ নিয়মেই পুরাতনকে সরিয়ে নতুনের আগমন৷ এর জন্যে কোন আইনের সংশোধন করতে হয়না৷ রক্তস্নাত হওয়ারও প্রয়োজন পড়ে না৷ শুধু আমাদের জীবন থেকে চলে গেল কিছুটা মূল্যবান সময়৷ যে সময়ের অনেকটাই আমরা বাজে কাজে অতিবাহি

অগ্ণিযুগের একটি ঐতিহাসিক চিঠি

পথিক বর 

‘অদৃষ্টের পরিহাস ভূপেনবাবু!  আমার রিভালবার ঠিকমত সাড়া দিলে আমাকে আজ এখানে এ অবস্থায় দেখতে পেতেন না৷ কাহিনী তাহলে অন্যরকম হ’ত’৷

কথাগুলি বলেছিলেন পরাধীন ভারতবর্ষের  অগ্ণিযুগের বাঙলার দামাল ছেলে প্রদ্যুৎ কুমার ভট্টাচার্য---বিদেশী ব্রিটিশ শাসকের স্বদেশী দালাল ভূপেন দাড়োগাকে৷ ১২ই জানুয়ারী ১৯৩৩ প্রদ্যুতের ফাঁসী হয়েছিল মেদিনীপুরের জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট ডগলাস হত্যার অপরাধে৷ সবে প্রবেশিকা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন আঠের বছরের তরুণ প্রদ্যুৎ৷ পাঠ্যপুস্তকের বাইরে ইতিহাস, রাজনীতি, অর্থনীতি, দর্শন এগুলিও গুলে খেয়েছিলেন এই বয়সেই৷

অর্থনৈতিক শোষণ থেকে বাঁচাতে পারে প্রগতিশীল সমাজতন্ত্রের প্রাউট দর্শন

প্রভাত খাঁ

দীর্ঘ ৭০ বছর পরেও আমাদের ভাবতে হচ্ছে স্বাধীন দেশের নাগরিক হয়ে দেশের সিংহভাগ মানুষের বেঁচে থাকার জন্য যে পাঁচটি জিনিষের অত্যধিক প্রয়োজন, তারা পাচ্ছে না৷ আজও অনেকের ক্ষুধা নিয়ে জন্ম হচ্ছে পথে ঘাটে, আর মরতে হচ্ছে সেই পথে ঘাটে অবহেলিত পশু- পক্ষীদের মত৷  পাশাপাশি ভারতের মত বিরাট দেশে যৎসামান্য মুষ্টিমেয় কিছু ধনী ভাগ্যবানরা দেশের সম্পদের সিৎহভাগের মালিক৷

আনন্দনগরে আন্তর্জাতিক নববর্ষ উপলক্ষ্যে আনন্দনগরে অনুষ্ঠিত ধর্মমহাচক্রে যোগদানের জন্য রেল যোগাযোগের বিশেষ সুবিধা

আনন্দমার্গ প্রচারক সংঘের জনসংযোগ সচিবের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ভারতীয় রেলের আদ্রা ডিভিশন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন আগামী ২৯শে ডিসেম্বর ২০১৯ থেকে ৪ঠা জানুয়ারী ২০২০ পর্যন্ত নিম্নলিখিত ট্রেনগুলি আপ ও ডাউনে পুন্দাগ ষ্টেশনে দাঁড়াবে৷

১) ১৩৩০৩ / ১৩৩০৪ ধানবাদ রাঁচী এক্সপ্রেস

২৷ ১৩৪০৩ / ১৩৪০৪ বনাঞ্চল এক্সপ্রেস

৩৷ ১৫০২৮ মৌর্য এক্সপ্রেস

৪৷ ১৮৬০৫ / ১৮৬০৬JYG-RNC এক্সপ্রেস

৫৷ ১৫৬৬২KYQ-RNC এক্সপ্রেস

৬৷ ১৮৬২১ / ১৮৬২২PNBE-HTE এক্সপ্রেস

৭৷ ১২৮১৮ANVT-HTE এক্সপ্রেস

৮৷ ১৮৬১৯ / ১৮৬২০ দুমকা রাঁচী এক্সপ্রেস

৯৷ ১৮৬২৭/১৮৬২৮ রাঁচী হাওড়া এক্সপ্রেস

বাংলার বদলে অসমীয়ার  দাবী অসাংবিধানিক ও মৌলিক অধিকার বিরোধী

সাধন পুরকায়স্ত

অসমে লোকগণনায় বাংলাভাষীদের অসমীয়া লেখানোর অসাংবিধানিক দাবীর তীব্র প্রতিবাদ করলেন ‘আমরা বাঙালী’র অসম রাজ্যসচিব সাধন পুরকায়স্ত৷ গত ২৪শে ডিসেম্বর, এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে তিনি বলেন --- আগামী ২০২১ সালের লোকগণনায় অসমে বসবাসকারী বাঙালীদের  মাতৃভাষা বাংলার বদলে অসমীয়া লেখানোর  যে দাবী  বি.জে.পি বিধায়কদের এক সভায় উঠেছে, এই ব্যাপারে ‘আমরা বাঙালী’  বরাক উপতক্যা থেকে নির্বাচিত বি.জে.পি বিধায়কদের কাছে স্পষ্টিকরণ দাবী করছি৷

মার্গীয় বিধিতে শ্রাদ্ধানুষ্ঠান

কলকাতার প্রাক্তন ভুক্তিপ্রধান প্রয়াত শিবু আচার্যের শ্রাদ্ধানুষ্ঠান মার্গীয় বিধিতে সম্পন্ন হয় ২৯শে ডিসেম্বর তাঁর বেহালার বাসভবনে৷ স্থানীয় মার্গী ভাই-বোনদের উপস্থিতিতে শ্রাদ্ধানুষ্ঠান পরিচালনা করেন আচার্য মোহনকৃষ্ণানন্দ অবধূত৷ তাঁর সঙ্গে উপস্তিত ছিলেন, আচার্য বিশ্বমিত্রানন্দ অবধূত,  অবধূতিকা আনন্দরেখা আচার্যা ও অবধূতিকা আনন্দ প্রেমদীপ্তা আচার্যা৷

প্রয়াত শিবু আচার্য দীর্ঘদিন আনন্দমার্গ প্রচারক সংঘের কলকাতার ভুক্তিপ্রধান ছিলেন ও যোগ্যতার সঙ্গে কাজ করে গেছেন৷ গত ২৪শে ডিসেম্বর কিডনী জনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে তিনি প্রয়াত হন৷ তিনি নিঃসন্তান ছিনেণ্ডল৷ তাঁর স্ত্রী বর্তমান৷

পরলোকে আচার্য পরাবিদ্যানন্দ অবধূত

আনন্দমার্গের সর্বত্যাগী সন্ন্যাসী আচার্য পরাবিদ্যানন্দ অবধূত গত ২১শে ডিসেম্বর রাতে টাটানগরের একটি বেসরকারী হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন৷ মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল মাত্র ৫২ বছর৷ তিনি মার্গের একনিষ্ঠ কর্মী হিসেবে দেশে ও বিদেশে  সংঘের বিভিন্ন বিভাগে যোগ্যতার সঙ্গে কাজ করে গেছেন৷ মৃত্যুর সময় তিনি সংঘের আইন সচিব ছিলেন ও মার্গের প্রকাশিত ত্রৈমাসিক পত্রিকা ‘প্রগতিশিখা’-র জেনারেল ম্যানেজার হিসেবে সুনামের সঙ্গে নিজ দায়িত্ব পালন করে গেছেন৷ তাঁর অকাল মৃত্যুতে সংঘের কর্মী ও সমর্থকদের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে আসে৷