June 2022

১৯ শে' মে র একাদশ বাংলা ভাষা শহীদ স্মরণে ...

তপোময় বিশ্বাস 

১৯ শে মে' দিনটির ঐতিহাসিক ঘটনাবলির সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের বাঙালীদের ততটা ঠিক পরিচিত হয়ে ওঠা হয়নি যতটা হয়েছে '২১ শে ফেব্রুয়ারী' সঙ্গে। ঠিক করে বলতে গেলে  ১৯ শে মে' দিনটির তাৎপর্যের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের বাঙালীদের পরিচিত হওয়ার সুযোগই দেওয়া হয়নি। নয়ের দশকের শেষের দিকে রাষ্ট্রসংঘ ২১ শে ফেব্রুয়ারী দিনটিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে ঘোষিত করার আগে এই দিনটি নিয়েও সামগ্রিক বাঙালী জনগোষ্ঠী খুব একটা মাতামাতি করতো না। যেমন নোবেল প্রাইজ পাওয়ার আগে অবধি রবি ঠাকুর গুটি কয়েকের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিলেন,ঠিক তেমন ২১ শে ফেব্রুয়ারীও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ঘোষিত হওয়ার আগে অবধি গুটি কয়েক বাঙালী সংগঠনের পালনের মধ্য

উদ্দীপনাপূর্ণ আধ্যাত্মিক পরিবেশে পালিত হ’ল শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী জন্মতিথি উৎসব আনন্দপূর্ণিমা

গত ১৬ই মে ছিল বৈশাখী পূর্ণিমা৷ বিশ্বের আনন্দমার্গীদের কাছে এই দিনটি আনন্দপূর্ণিমা হিসেবে পরিচিত৷ ১৯২১ সালের এই বৈশাখী পূর্ণিমাতে জন্ম নিয়েছিলেন শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী৷ যিনি লৌকিক জীবনে শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকার নামে পরিচিত৷ বিশ্বের প্রতিটি আনন্দমার্গ ইয়ূনিটে এই দিনটি আনন্দপূর্ণিমা তিথি হিসেবে পরমভক্তি ও শ্রদ্ধার সঙ্গে পালন করেন আনন্দমার্গীরা৷

গরমে রোগ–ব্যাধি ও নানা সমস্যা

নিজস্ব প্রতিনিধি

বসন্ত ঋতু বিদায় নিয়ে এই বাঙলায় গ্রীষ্ম আসছে৷ গ্রীষ্মকাল মানেই গরমকাল৷ গরমে শারীরিক অস্বস্তি ও নানান রোগ–ব্যাধি দেখা দেয়৷ বলতে গেলে ছয় ঋতুর প্রভাব এই পশ্চিমবঙ্গে দেখা যায়৷ আর প্রতিটি ঋতুর আগমনই আমাদের কাছে আনন্দদায়ক৷ তবে প্রতিটি ঋতুর মত গ্রীষ্মেরও ভাল ও মন্দ দু’দিক রয়েছে৷ একটু সচেতন থাকলে গ্রীষ্মের এই মন্দ অর্থাৎ রোগ–ব্যাধি থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব বলে চিকিৎসকদের অভিমত৷ এই গরমে চলতে ফিরতে সকলের অসুবিধা হয় ও আমরা সবাই কম বেশী শারীরিক ও মানসিক ভাবে দুর্বল হয়ে পড়ি৷ সময়মত সচেতন না হলে অনেক সময় তা মৃত্যুর কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে৷ সাধারণত অতিরিক্ত গরমে যে সব সমস্যা দেখা দিতে পারে, সেগুলির কারণ ও প্রতি

অর্থনৈতিক স্বনির্ভরতা

এই সমাজে পুরুষেরা বিশেষ সুবিধাজনক অবস্থায় রয়েছে৷ পুরুষদের ওপর অর্থনৈতিক নির্ভরতার জন্যে পরিত্যক্তা নারীদের একাংশ পতিতাবৃত্তি গ্রহণ করতে ৰাধ্য হয়৷ যখন সমাজে নারীরা অর্থনৈতিক স্বাধীনতা ও পুরুষের সমান মর্যাদা পাবে তখন এই ধরণের বৃত্তি ৰন্ধ হয়ে যাবে৷ যে সব নারী ওই জঘন্য বৃত্তি পরিত্যাগ করে নিজের চরিত্র শুধরে নেবেন, সেই সব নারীকে উপযুক্ত মর্যাদা সমাজকে দিতে হবে৷ পতিতাবৃত্তি সামাজিক–র্থনৈতিক ব্যবস্থার কুফল৷

পরমপিতা

কৌশিক খাটুয়া

সকাল বেলায় পাখীর কুজনে

ঘুম ভেঙ্গে যায় মোর,

পূবদিক হয় রক্তিম বরণ

দোর খুলে দেখি ভোর৷

 

সন্ধ্যার  মুখে পাখীরা যখন

যে যাহার সবে ফিরিছে কুলায়,

আকাশ ছাইয়া তারকার দল

মিটি মিটি করে চায়৷

 

বলতে কি পারো এগুলির কেন

হয় না অনিয়ম?

সবকিছুতেই তাঁরই অবদান

তাঁরই যে নিয়ন্ত্রণ৷

 

চিন্তা করিয়া হয়েছো আকুল

কে ইহার নিয়ন্ত্রক,

তিনিই চালান বিশ্বজগত

বিশ্ব পরিচালক৷

 

বিশ্ব-ব্রহ্মাণ্ড তাঁহারই রচনা

সকলই তাঁহার গোচরে,

সকলের মাঝে তিনি বিরাজেন

তব আবির্ভাব দিনে

আচার্য গুরুদত্তানন্দ অবধূত

রৌদ্রের  খরতাপে সেদিন

নগ্ণ পাহাড় হতো উত্তপ্ত,

পাষাণ পাথরের বুক চিরে

নাবতো শীর্ণ নদী নালা,

মলিন মুখে ফুটতনা হাসি,

জুটতনা আহার পেট ভরে,

পানীয় জল ছিল অপর্যাপ্ত৷

আজ তোমার আগমনে

জাগল স্পন্দন প্রাণে

মলিন মুখে ফুটল হাসি,

নাবল অবিরাম বৃষ্টিধারা,

হ’ল বন সর্জন,

ফুটল কুসুম বনে

পাখীরা গাহিল গান,

বাজল মাদল করতাল,

নেবে এলো নর্ত্তকীদল

ছন্দ মাধুর্য ভরি

আন্দোলিত করি তনু মন

তোমায় স্বাগত জানাতে আজ

কত কি না আয়োজন!

 

স্বাধীনতার কালে বাঙালী আগুন জ্বালে

শিবরাম চক্রবর্ত্তী

বীর বাঙালী বাঘাযতীন,

প্রফুল্ল, বাদল, দীনেশ, বিনয়

মাতঙ্গিনীর মতো বহু

বীরঙ্গনা নারী বাঙলায় জন্মায়৷

এরা সবাই বাঙালীয়ানায়

বড়ো হয়ে শেষ কালে

ভারতস্বাধীন করার লাগি

লড়াই করেন সমানতালে৷

মারের মুখে কেউ বা পড়েন

কেউ বা নারীর সতীত্ব খুইয়ে,

বন্দেমাতরম্‌ ধবনি তুলে

ভারতমাতায় যায় জয় গেয়ে৷

এরা বাঙালীর ঘরে ঘরে

পেয়ে নারীর খুব মর্যাদা

চিরদিনের জপমালায়

বাঙালীর ভাবে থাকবে বাধা৷

আম সম্পর্কে

সংস্কৃত আম্র ।   প্রাকৃতে আম্ব/অম্বা৷ এর থেকে ৰাংলায় ‘আঁৰ’ শব্দটি এসেছে৷ উত্তর ভারতের অধিকাংশ ভাষাতেই এই ‘আম্ব’ বা ‘অম্বা’–জাত ‘আঁৰ’ শব্দটিই প্রচলিত৷ ওড়িষ্যায় আঁৰ (আঁৰ্–, মধ্যপ্রদেশ ও রাজস্থানের অংশবিশেষে আঁৰা, গুজরাতীতে অম্বো, মারাঠীতে আম্বা (‘পিকলে আম্বে’ মানে পাকা আঁৰ), পঞ্জাৰীতে আম্ব্ (আম্ব্ দ্য অচার), হিন্দীতে ও ৰাঙলার কোন কোন অংশে প্রচলিত ‘আম’ শব্দটি থেকেই ‘আঁৰ’ শব্দটি এসেছে৷ ব্যুৎপত্তিগত বিবর্ত্তনের বিচারে আমের চেয়ে আঁৰ বেশী শুদ্ধ৷ তবে একটি বিবর্ত্তিত শব্দ হিসেৰে আমকেও অশুদ্ধ ৰলা চলৰে না৷ ৰাঙলার মেদিনীপুর, হাওড়া, হুগলী, কলিকাতা, ২৪ পরগণা, খুলনা ও যশোরের অংশবিশেষে ‘আঁৰ’ শব্দই প্রচলিত৷