June 2022

শ্রীশ্রী আনন্দমূর্ত্তিজীর ১০১তম জন্মতিথি উপলক্ষ্যে আনন্দনগরে শুরু হলো ধর্মমহাসম্মেলন

আনন্দমার্গ দর্শনের প্রবক্তা ও আনন্দমার্গ প্রচারক সংঘের প্রতিষ্ঠাতা শ্রীশ্রী আনন্দমূর্ত্তিজীর ১০১তম জন্মতিথি উপলক্ষ্যে আনন্দনগরে আজ ২৭শে মে  থেকে শুরু হলো ধর্মমহাসম্মেলন সংঘের কেন্দ্রীয় ধর্মপ্রচার সচিব আচার্য বীতমোহানন্দ অবধূত জানান---বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের ভক্তের সমাগম হচ্ছে আনন্দনগর ধর্মমহাসম্মেলনে যোগদানের উদ্দেশ্যে৷ তিনি জানান এই সময় রেললাইনের আধুনিকীকরণের জন্য ট্রেন বাতিল হওয়ায় অনেক ভক্তমার্গীর পক্ষে ধর্মমহাসম্মেলনে যোগদান সম্ভব হচ্ছে না৷ অনেকেরই আগাম টিকিট কেটেও তা বাতিল করতে বাধ্য হয়েছেন৷

প্রাউটিষ্ট ইয়ূনিবার্র্সলের উদ্যোগে প্রাউট প্রশিক্ষণ শিবির

গত ১৮ই মে থেকে ২১শে মে পুরুলিয়া শ্যাম ধর্মশালায় প্রাউটিষ্ট ইয়ূনিবার্সালের প্রশিক্ষণ শিবির অনুষ্ঠিত হয়৷ প্রাউটিষ্ট ইয়ূনিবার্সালের দিল্লি সেক্টরের সচিব আচার্য সুপ্রভানন্দ অবধূত জানান দিল্লি সেক্টরের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রাউটিষ্ট ইয়ূনিবার্র্সল ছাত্র, যুব, কর্ষক, শ্রমিক বিদ্বৎসমাজ প্রভূতি শাখা সংঘটনের কর্মীরা ও গার্লস প্রাউটিষ্টের কর্মীরা এই সম্মেলনে যোগদান করেন৷ চারদিনের এই সম্মেলনে বর্তমান অর্থনৈতিক বৈষম্য ও আর্থিক সামাজিক সমস্যা ও প্রাউট অর্থনীতির প্রয়োগে তার সমাধান বিষয়ে আলোচনা করেন কেন্দ্রীয় সচিব আচার্য রবীশানন্দ অবধূত আচার্য প্রসূনানন্দ অবধূত প্রমুখ প্রশিক্ষক বৃন্দ৷ প্রশিক্ষণ শিবির উপলক

যন্ত্রনা থেকে মুনাফা লোটার দৌড়ে ধনকুবেরের দল - করোনাকালে আর্থিক বৈষম্য বৃদ্ধির ভয়াভয় চিত্র অক্সফ্যামের

করোনাকালে আর্থিক বৈষম্য বৃদ্ধির এক করুণ প্রতিবেদন প্রকাশ করলো আন্তর্জাতিক আর্থিক সংস্থা ‘অক্সফ্যাম ইন্টারন্যাশনাল’৷ সম্প্রতি সুইজারল্যাণ্ডের দাভোসে সমবেত হয়েছিল বিশ্বের ধনকুবের দল৷ অক্সফ্যাম ইন্টারন্যাশনালের এগজিকিউটিভ ডিরেক্টর গ্যাব্রিয়েলা বুচার ধনকুবেরদের সমাবেশকে বলেন---নজিরবিহীন মুনাফা লোটার আনন্দ উদ্‌যাপনে মিলিত হয়েছিলেন ধনকুবেরের দল৷

সামাজিক অবক্ষয় রোধ করতে চাই সাংস্কৃতিক বিপ্লব

স্নেহময় দত্ত

ভারতীয় সমাজব্যবস্থায় স্নেহ-প্রেম-দয়া-ভক্তি প্রভৃতি সৎ গুণাবলী একসময় ছিল মানুষের সহজাত৷ আর এই সহজাত সুবৃত্তিসমূহের ফলে মানবিক মূল্যবোধও ছিল অপরিসীম৷ সে সময় কত জ্ঞানীগুণী মানুষের আবির্ভাব ঘটেছে, যারা নিজ নিজ ভাবনাচিন্তায় কর্মসাধনায় দেশকে বিভিন্ন ক্ষেত্রে গৌরবের শিখরে নিয়ে গেছেন৷ কেবলমাত্র বাঙলাতেই জন্ম নিয়েছিল শত শত মনীষী, যাঁরা সাহিত্যে-কাব্যে-সঙ্গীতে-বিজ্ঞান সাধনায় ও ধর্ম তথা আধ্যাত্মিক চর্চায় বিশেষ অবদান রেখে গেছেন৷ যেহেতু দেশ তখন ছিল ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদের পদানত সেই কারণে দেশকে মুক্ত করতে স্বাধীনতার বেদীমূলে আত্মনিবেদন করেছিলেন শত শত বিপ্লবী৷ যাঁদের মূল প্রেরণা ছিল ‘গীতা’---যাঁরা বলীয়ান ছ

বর্ণমাহাত্ম্য

এই মহাবিশ্ব অজস্র স্পন্দনের সমাহার৷ এই যে পরিদৃশ্যমান জগৎ যাকে সাধারণ ভাবে ‘প্রপঞ্চ’ আখ্যায় অভিহিত করে থাকি তা মূলতঃ মানস জগৎ ও অতিমানস জগতের অধিক্ষেত্রভুক্ত৷ এই স্পন্দনরাজি সংখ্যায় অসংখ্য....অগুন্তি কিন্তু অনন্ত নয়৷ যদি তারা অনন্ত হত তাহলে সৃষ্টিটাও অনন্ত হত৷ তবে হ্যাঁ, তরঙ্গ–রাজির সংখ্যা অজস্র....অগণিত৷ কিন্তু তা কোন মতেই অনন্ত নয়৷

উত্তমশ্রেণীর মানুষ হও

এই জগতে তোমরা মুখ্যতঃ তিন ধরনের মানুষ দেখতে পাবে ঃ উত্তম, মধ্যম ও অধম৷ প্রথম শ্রেণীর মানুষ বলব তাদের যাদের চিন্তায়, বাচনিকতায় ও কর্মে মিল আছে অর্থাৎ তারা যেমনটি ভাবে তেমনটিই বলে৷ আবার যেমনটি বলে তেমনটি কাজেও করে৷ এরা হ’ল উত্তম শ্রেণীর মানুষ৷

দ্বিতীয় শ্রেণীর মানুষ হ’ল তারা যাদের চিন্তায় ও বাক্যে মিল নেই৷ কিন্তু তারা মুখে যা বলে কাজে তা–ই করে, অর্থাৎ তারা মনে মনে ভাবে এক রকম কিন্তু মুখে বলে আর এক রকম৷ তবে তারা মুখে যা বলে কাজেও তা–ই করে৷ এরা হ’ল মধ্যম শ্রেণীর মানুষ৷

পরম সূর্য

মানুষ মাত্রেই সূর্যালোকের সাহায্যে দেখে থাকে৷ বলতে পারি, সূর্য হ’ল মানুষের চক্ষুস্বরূপ৷ কিন্তু চোখের কোন ত্রুটি থাকলে মানুষ দেখতে পায় না৷ তার জন্যে সূর্যকে তো আর দায়ী করা যায় না৷

পরমপুরুষ সর্বাশ্রয়

অপি চেৎ সুদুরাচারো ভজতে মামনন্যভাক্৷

সোপি পাপবিনির্মুক্তো মুচ্যতে ভবৰন্ধনাৎ৷৷*

‘দুরাচারী’ তাকেই বলে যার কাজে সমাজ প্রভাবিত হয়, ক্ষতিগ্রস্ত হয়, যার আচরণ সমাজের পক্ষে ক্ষতিকারক৷ আর যে দুরাচারীকে অন্য দুরাচারীরা তাদের সমাজে ‘দুরাচারী’ বলে থাকে সে হ’ল সুদুরাচারী৷ শাস্ত্রে বলা হয়েছে, তর্কশাস্ত্রেও বলা হয়েছে, যেমন কর্ম তেমনি প্রতিকর্ম৷ তবে স্থান–কাল–পাত্রের পরিবর্তন ঘটলে প্রতিকর্মেরও কম–বেশী তারতম্য ঘটে থাকে৷

বিদ্বান ও শিক্ষিত

তাকেই Learned  বা বিদ্বান বলব যে প্রচুর পড়াশোনা করেছে, যা পড়েছে তা ৰুঝেছে, সেটা মনে রেখেছে, ও সেগুলিকে কার্যেও রূপায়িত করেছে৷ কোনো শিক্ষিত (Educated) ও বিদ্বান মানুষের পুঁথিগত বিদ্যা থাকতে পারে বা নাও পারে, তেমনি প্রথাগত ভাবে বিদ্যার্জনকারী কোনো একজন মানুষ প্রকৃত শিক্ষিত হতেও পারে আবার নাও পারে৷ তাহলে সত্যিকারের বিদ্বান ও শিক্ষিত তাকেই বলব যার মধ্যে নিম্নোক্ত চারটি তত্ত্ব থাকতেই হবে, এদের মধ্যে একটিরও অভাব থাকলে তাকে বিদ্বান বলা যাবে না ঃ–

১৷ একটি দু’টি নয়, বিভিন্ন বিষয়ের ওপর অনেক বই যত্নের সঙ্গে পড়তে হবে৷ অল্প পড়াশোনা করে বিদ্বান হওয়া যায় না৷

শিক্ষাকে দলীয় রাজনীতির প্রভাবমুক্ত করতে হবে

আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত

শিক্ষাই মানব সমাজের মেরুদণ্ড৷ পশু জন্ম থেকেই পশু কিন্তু একটা মানুষ জন্ম থেকে মানুষের গুণাবলী অর্জন করে না, মনুষত্বের বিকাশের জন্যে, সমাজ-চেতনার বিকাশের জন্যে তাকে শিক্ষার ওপর নির্ভর করতে হয়৷ তাই প্রকৃত শিক্ষার ব্যবস্থা যদি না থাকে, শিক্ষা-ব্যবস্থা যদি ত্রুটিপূর্ণ হয়, তাহলে যথার্থ মানুষ তৈরী হবে না, সমাজ অমানুষে ভরে যাবে, ও সমাজ-ব্যবস্থায় বিশৃঙ্খলা, ব্যাভিচার প্রভৃতি প্রবল রূপ নেবে৷ বর্তমানে সমাজে যে ব্যাপক উচ্ছৃঙ্খলতা, সমাজ-চেতনাহীনতা, ব্যাভিচারিতা তার মূল কারণ এটাই৷ তাই বিশেষ করে শিক্ষা ব্যবস্থার ওপর গুরুত্ব দেওয়া দেশনেতাদের অন্যতম প্রধান দায়িত্ব ও কর্তব্য৷ আর শিক্ষার জন্যে একটা শান্ত পরিব