রাষ্ট্রসঙ্ঘে স্বীকৃতি পেল বাংলা ভাষা

গত ১০ই জুন রাষ্ট্র সংঙ্ঘের ৭৬তম সাধারণ অধিবেশনে বহুভাষাবাদের পক্ষে অ্যান্ডোরা ও কলম্বিয়ার আনা প্রস্তাব গৃহীত হয়৷ গৃহী

নিজস্ব সংবাদদাতা

আনন্দমার্গ স্কুলের প্রাক্তন ছাত্রের যুগান্তকারী আবিষ্কার

পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার ছেলে সাবির হোসেন এক বিশেষ ধরণের পাউডার আবিষ্কার করেছেন যা ব্যবহারে খুবই অল্প সময়ের মধ্যে ক্ষতস্থানের রক্তপাত বন্ধ হয়ে যাবে৷ পি.এন.এ.

সুপ্রিম কোর্টে সাতে নেই বাংলা প্রতিবাদে সরব ‘আমরা বাঙালী’

সুপ্রিম কোর্ট তার রায় প্রকাশের মাধ্যম হিসাবে হিন্দী, ইংরাজীর সাথে আরও পাঁচটি ভাষাকে বেছে নিয়েছে৷ তার মধ্যে উড়িয়া, অসমিয়া থাকলেও বাংলা ভাষার স্থান হয়নি নিজস্ব সংবাদদাতা

বিশ্ব পরিবেশ দিবসে আবেদন

‘‘মানুষ যেন মানুষের তরে সবকিছু করে যায়৷

               একথাও যেন মনে রাখে পশুপাখী তার পর নয়

নিজস্ব সংবাদদাতা

এন আর সি-র থাবা

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সহ এ রাজ্যের কেন্দ্রীয় শাসক দলের ছোট-বড় নেতা-নেত্রীরা প্রায়ই হুঙ্কার দিয়ে চলেছেন, পশ্চিমবাঙলায় এন অর সি লাগু করা হবে৷ এন আর সি-র আতঙ্কে আতঙ্কিত হয়ে এই পশ্চিমবাঙলায়ও অসমের মত আত্মহত্যার মিছিল শুরু হয়েছে৷ এ পর্যন্ত এই বাঙলায় ১২ জনের আত্মহত্যার খবর পাওয়া গেছে৷

প্রাউটের বিকেন্দ্রিত অর্থনীতি গ্রামকে স্বনির্ভর করবে

আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত

স্বাধীনতারপর সাত দশক পার হয়ে গেলেও সর্বসাধারণের সার্বিক কল্যাণের স্বার্থে, সামগ্রিকভাবে দেশের হতদরিদ্র মানুষের উন্নয়নের জন্যে কোন বলিষ্ঠ ও বাস্তবমুখী অর্থনৈতিক পরিকল্পনা গড়ে ওঠেনি৷ এর একমাত্র কারণ ভারতবর্ষের রাজনীতি, অর্থনীতি নিয়ন্ত্রণ করে দেশীয় পুঁজিপতিরা, অর্থনীতিবিদ্ ও নেতারা শিখণ্ডী মাত্র৷

আজ পৃথিবীর অল্পবয়স্ক তরুণীরা  প্রতিবাদী হচ্ছে---এটা একটি শুভ লক্ষণ

প্রবীর সরকার

বর্তমানে তরুণী শিক্ষিতা মহিলারা যাদের বয়স বেশী নয়, নানা সামাজিক বিষয়ে তারা সচেতন হয়ে গভীর তাৎপর্যপূর্ণ ও সাহসী বক্তব্য রাখছে৷ বর্তমান পৃথিবীতে আন্তর্জাতিক স্তরেও  বিশেষ করে সেই সব মহিলা যারা শিক্ষিতা তারা অত্যন্ত ব্যথিত ও দুঃখিত হয়ে বক্তব্য রাখছেন ইণ্টারনেটে৷ সেগুলি অত্যন্ত বেদনার ও দৃষ্টি আকর্ষণকারী৷ সম্প্রতি ট্যুইটে এক ষোড়শী মহিলা ব্যাকুলভাবে সাবধানবাণী উচ্চারণ করেছেন৷ তাঁর নাম গ্রেটা থুনবার্গ৷  তাঁর সাবধানবাণীটি বিশ্বের তাবড় ও ক্ষমতাবানদের প্রতি হুঁশিয়ারি---‘এখনও যদি কিছু না কর আমরা তোমাদের ক্ষমা করব না৷’ এর কারণ পৃথিবীর পরিবেশ দূষিত হচ্ছে, প্রকৃতি ধবংস হচ্ছে তাতে মনুষ্যের বসবাসের অযোগ্য

মহাপ্রয়াণ কেন্দ্রিক ছয় দিনের অখণ্ড কীর্ত্তন কেন?

নব্যদূত

মহাসম্ভূতি শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী ১৯৯০ সালের ২১শে অক্টোবর বিকেল প্রায় তিন ঘটিকায় তাঁর কলকাতার ভি.আই.পি. নগরস্থিত বাসভবন ‘মধুকোরক’-এ সমস্ত ভক্ত অনুগামীদের চোখের জলে ভাসিয়ে তাঁর পাঞ্চভৌতিক শরীর ত্যাগ করেন৷ এই আকস্মিক সংবাদ শুনে সারা বিশ্বের তাঁর লক্ষ লক্ষ অনুগামী শোকাচ্ছন্ন হয়ে পড়েন৷ এই অবস্থায় সবাই যাতে তাঁদের পরমারাধ্য গুরুকে শেষ বারের মত দর্শন করতে পারেন এই কারণে তাঁর পাঞ্চভৌতিক দেহকে বিশেষভাবে রক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়৷ ছয় দিন পর ২৬শে অক্টোবর বিকেল তিনটের সময় কলকাতাস্থিত আনন্দমার্গ আশ্রম কম্পাউণ্ডের মধ্যেই সারা বিশ্বের লক্ষ লক্ষ অনুগামীদের সামনে তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন করা হয়৷

মনের বিকাশ

আচার্য সত্যশিবানন্দ অবধূত

স্বামী বিবেকানন্দ বলেছেন–‘‘মানুষের মধ্যে রয়েছে দেবত্বের বীজ, তাই মানুষের জীবনের লক্ষ্য হ’ল বহিঃপ্রকৃতি ও অনন্তঃপ্রকৃতির সঙ্গে সংগ্রমের মাধ্যমে সে অন্তর্নিহিত দেবত্বকে প্রকাশিত করা৷’’

তিলজলা আশ্রমে পরমারাধ্য মার্গগুরুর মহাপ্রয়াণ উদ্যাপন দিবস উপলক্ষ্যে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি কথা

প্রভাত খাঁ

এই জগৎ সংসার এর সৃষ্টিকর্তা হলেন পরপুরুষ৷ যিনি সৃষ্ট জগতের সকলেরই স্রষ্টা৷ এই কথাটি এই জগতের সকল মননশীল মানুষের সর্বদা স্মরণে রাখা ও তার সৃষ্টিকে রক্ষা করার দায়িত্ব পালন করাটাই হ’ল পবিত্র কর্তব্য কর্ম৷ এই প্রপঞ্চময় জগতে অতি সোজা কথাটি অধিকাংশ মানুষ ভুলে গিয়ে আত্ম-অহঙ্কারে এমন সব কাজ করে, যা মারাত্মক ধবংসাত্মক হয়ে ওঠে ও তাতে মহান সৃষ্টির উদ্দেশ্য ও লক্ষ্যটাই অস্বীকৃত হয়৷ তাতে চরম ধংস নেমে আসে এই ধরার বুকে৷ তখনই সেই মহান শক্তির স্রষ্টা মানুষের রূপে নেমে আসেন সৃষ্টিকে রক্ষা করতে মহাসম্ভূতি রূপে এই ধরার বুকে৷

পুঁজিবাদকে  জিইয়ে রেখে দারিদ্র দূরীকরণ হল জংয়ের ওপর রংয়ের প্রলেপ

শ্রী শঙ্কর দাশ

অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়কে জানাই আন্তরিক অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা৷ আপনার নোবেল পুরস্কারের ঘোষণা এমনই একটা সময়ে হল, যার  মাত্র দিন কয়েক আগে ভারতবর্ষের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহজী পশ্চিমবাংলায় এসে বলে গেলেন বাঙালী কোন পুরস্কারই পায় না৷  আপনার এই নোবেল বিজয়ের ঘোষণা ওনার গালে কষে একটা চপেটাঘাত দিয়ে দিল৷ ওনারা যে বরাবরই বাঙালীর গৌরব গাঁথায় জ্বলে পুড়ে মরেন, হিংসায় জ্বলেন, তা আরো একবার প্রমাণিত হ’ল৷ আপনাকে নিয়ে  তিন তিন জন বাঙালী অর্থনীতিতে  নোবেল পুরস্কার  এনে দিয়ে বাঙালী জাতিকে গৌরবান্বিত করেছেন৷ সত্যদ্রষ্টা ঋষি কবি সত্যেন্দ্রনাথ দত্তর ভবিষ্যতবাণী

‘‘অতীতে যাহার হয়েছে সূচনা

পরমপুরুষের দিব্য রাজধানী

আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত

তোমারই সৃষ্ট জগতে তোমারই বাঁধা নিয়মে কত কিছুই যায় আর আসে৷ যে সূর্য অস্ত গেল একটু আগে সেই সূর্য আবার কাল সকালে উদয় হবে৷ এইভাবে দিন যায় রাত আসে৷ রাতের পর আবার দিনও আসে৷ এই যে শরৎ আর ক’টা দিন পরে বিদায় নেবে এও আবার ফিরে আসবে আর একটা বর্ষা পার করে৷ এখন তুমি শুধু আসো না চরণ ফেলে৷ মধুমালঞ্চ মধুকর্ণিকা, মধুমলয়ে, মধুকোরকে আর পড়ে না তোমার পদচিহ্ণ৷ রবিবারের বিকেলে আর আসে না কেউ তোমার মিষ্টিমধুর হাসিমাখা মুখের অমৃত বচন শুনতে৷ ‘‘ছিলে আছো থাকবে তুমি’’ তবুও তো গেলে! তাই তো শব্দচয়নিকা থেমে গেছে ‘গ’-এর মাঝপথে, প্রভাতসঙ্গীত থেমে গেছে ৫০১৮-তে৷ ডি.এম.সি.

প্রাক্ ভোটপর্বে বারবারই রক্তক্ষয় কেন?

এইচ. এন. মাহাত

ভারতবর্ষের মানুষ স্বাধীনতার পর থেকেই দেখে আসছেন পাকিস্তান নামক রাষ্ট্রের রাজনৈতিক নেতা ও সেনাপ্রধানরা দেশ পরিচালনা করতে ভারতবিদ্বেষকে হাতিয়ার করে৷ রাষ্ট্রনেতারা ভারত বিরোধী শ্লোগান দিয়েই নির্বাচনে জিতে গদিতে বসেন৷ এই জিনিস ভারতবর্ষে হ’ত না৷ কিন্তু আমরা বর্তমান বিজেপি সরকারের ভোট নীতিমালায় এক নব সংযোজন দেখছি৷ কি কেন্দ্র কি রাজ্য স্তরে নির্বাচন এলেই বর্ডারে হামলা হয়, এপার থেকে পাকিস্তান বিরোধী আবাজ ওঠে৷ কিছু হতাহতের সংখ্যা দেশপ্রেমকে জাগিয়ে তোলে৷ আর এটাকে হাতিয়ার করেই বিজেপি নেতারা ভোটভিক্ষায় অবতীর্ণ হন৷

অখণ্ড ভারতবর্ষের যে কোন মানুষই এই ভারতেরই নাগরিক

প্রভাত খাঁ

বর্তমান ভারত যুক্তরাষ্ট্র এক মারাত্মক পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে চলেছে৷ মনে পড়ে সেই অতীতের কথা যেদিন বিদেশী আক্রমণকারী আলেকজাণ্ডার এই দেশের পশ্চিম সীমান্তে সিন্ধু নদের তীরে এলেন৷ তখন তিনি সিন্ধুকে হিন্দু বলে সম্বোধন করেন৷ কালক্রমে সেই সিন্ধুই নাকি হয়ে গেছে হিন্দু৷ এমনকি এদেশটাও হয়েছে হিন্দুদেশ হিন্দুস্তানী৷ কিন্তু এদেশের মানুষজন বহু ভাষাভাষীর, কেউই এক জনগোষ্ঠীর লোক অন্য জনগোষ্ঠীর লোকের ভাষা বোঝে না৷ কিন্তু এই ত্রিভূজাকৃতি বিরাট এলাকার অর্থাৎ বিশাল ভারতবর্ষের মানুষজন সেই সনাতন ধর্মে বিশ্বাসী ছিল৷ আর একমাত্র মিলনের ভাষা ছিল সংসৃকত ভাষা৷ তাই আসমুদ্র ঐক্যের ভাষা ছিল সংসৃকত৷ আজ সেই ভাষাটাই অস্বীকৃত ও