গ্রেট ডিপ্রেসনের পথে ভারতসহ সমগ্র বিশ্ব
পূর্ব প্রকাশিতের পর
- Read more about গ্রেট ডিপ্রেসনের পথে ভারতসহ সমগ্র বিশ্ব
- Log in to post comments
সবাই মিলে' এক সঙ্গে চলার নামই সমাজ। যে পিছিয়ে রয়েছে তাকে ঘৃণা না করে' এগিয়ে আসতে সাহায্য কোরো। এটাই হবে তোমার সমাজ-ধর্ম।
-- শ্রীশ্রী আনন্দমূর্ত্তি
পূর্ব প্রকাশিতের পর
শীতে পর্যাপ্ত পরিমাণে জল পান করলে বিভিন্ন রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়৷ আমাদের শরীরে যাবতীয় দূষিত পদার্থ রেচন আকারে ছেঁকে বের করে দেওয়া কিডনির কাজ৷ দীর্ঘদিন জমে থাকা পদার্থ কিডনিতে অতি ছোট ক্ষুদ্র পাথর আকার ধারণ করে থাকে৷ ধীরে ধীরে বড় আকার হয় ও কিডনি শরীরের ফিল্টারের কাজ করে তা বাধাপ্রাপ্ত হয় ও ধীরে ধীরে বন্ধ হয়ে যায়৷ মহিলাদের তুলনায় পুরুষদের কিডনিতে পাথরের প্রবণতা বেশী৷ যারা শুষ্ক অঞ্চলে বাস করেন তাদের ক্ষেত্রে পাথর হওয়ার প্রবণতা বেশী ও তা জীবনের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়৷ শীতকালে প্রতিটি মানুষই জল কম খান৷ শীতে ঠাণ্ডা আবহাওয়ার দরুণ ও আবহাওয়া শুষ্ক বলে শরীর থেকে তরল পদার্থ বেশী নির্গত হয় তাই গ্রীষ্ম
আজ ভারতের শাসন ব্যবস্থা জন্মের পর থেকে ভয়ংকর এক দলীয় শাসনে চরমব্যর্থ ও পঙ্গু হয়ে পড়ায় দেশ এগোনো তো দূরের কথা নিম্নগামী হয়ে পড়েছে সবদিক থেকে৷ শাসকগণ কি রাজ্য আর কি কেন্দ্রে মোটেই -উন্নতির পথে এগুচ্ছে না৷ বরং যা ছিল সর্বক্ষেত্রে দেশ পিছিয়ে পড়ছে৷
দেশের উন্নতিটা যে হচ্ছে সেটা বিচার হয় দেশের সাধারণ জনগণের জীবনযাপনের মান কতটা উন্নত হয়েছে তার দিকে বিচার করে৷ দেশের মুষ্টিমেয় ধনীব্যষ্টিদের কতটা আর্থিক উন্নতি হয়েছে তার বিচার করে নয়৷
রাজনীতি সেদিন আজকের মত স্বার্থের তরী বেয়ে রাজক্ষমতা ভোগের পেছনে ছুটতো না৷ সেদিনের রাজনীতি ছিল দেশের জন্যে, দশের কল্যাণের জন্যে জীবনাদর্শে উজ্জীবিত, উৎসর্গীকৃত৷ পরাধীন ভারতবর্ষে বাঙলার রাজনীতি তাই ছিল৷ বাঙলার কথাই বললাম কারণ স্বাধীনতার জন্যে স্বর্গীয় হাসি মুখে নিয়ে ফাঁসীর মঞ্চে নির্ভয়ে গিয়ে দাঁড়াবার হিম্মত অবশিষ্ট ভারতে ক’জনেরই বা ছিল?
একদিকে আন্তর্জাতিক অর্থভাণ্ডাড়ের চেয়ারম্যান ক্রিষ্টলিনা জর্জিভা যেমন বলেছেন, আমেরিকা, চীন, জাপান, ব্রাজিল,ভারত সহ বিশ্বের উন্নত এবং উন্নয়ণশীল দেশগুলির অর্থনীতি ঝিমিয়ে পড়েছে, তেমনি রাষ্ট্রসংঘের বর্তমান মহাসচিবও বলেছেন, বিগত দশ বছরের তুলনায় ব্যাপক সংকটের মুখে পড়েছে রাষ্ট্রসংঘের অর্থব্যবস্থা৷ তা এমনই সংকটাপন্ন যে রাষ্ট্রসংঘকে প্রায় দশহাজার কর্মী ছেঁটে ফেলতে বাধ্য করছে৷ বিশ্বর্থনীতির এই চলচিত্রই বলে দিচ্ছে বর্তমান বিশ্ব চরম এক অর্থনৈতিক মন্দার দিকে ধাবিত! হচ্ছে কী হয়েইছে চরম এক অর্থনৈতিক মন্দা সমগ্র বিশ্বের অর্থনীতিকে গ্রাস করেছে৷
৭২ বছর ধরে এই যুক্তরাষ্ট্রে চলছে নামকেওয়াস্তে গণতন্ত্র (?) পশ্চিমী শক্তি ইংরেজ সরকার সাম্প্রদায়িকতার ভিত্তিতে সেই অখণ্ড ভারবর্ষকে টুকরো টুকরো করে চিরকালের মতো এই বিরাট দেশকে অভিশপ্ত করেই রেখে গেছে৷ আর এখানে যারা শাসনের নামে লাঠি ঘোরাচ্ছে তারা কেউই প্রকৃত দেশসেবক নয় নয়, কারণ প্রকৃত দেশসেবক হলে জননী স্বরূপা এই দেশমাতাকে কখনো টুকরো টুকরো করে রক্তাক্ত করত না৷ প্রকৃত দেশসেবকগণ, যাঁরা আজও জীবিত আছেন তাঁরা দেশের বর্ত্তমান পরিস্থিতি দেখে অত্যন্ত মর্মাহত৷ দেশের পূর্ণ স্বাধীনতার জন্য তাঁরা একদিন সংগ্রাম করেছেন৷ কিন্তু চক্রান্ত কারীরা চিরকালের মতো এদেশে আগুণ জ্বালিয়ে রাখতে জঘন্য সাম্প্র
নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে দিল্লীতে মাত্রাতিরিক্ত দূষণের ফলে এমন অবস্থা যে দিল্লী থেকে মানুষ দলে দলে শহর ছাড়ছেন৷ রাস্তায় মাক্স পরা মানুষের ভিড়, স্কুল বন্ধ, বাচ্চা ছেলেমেয়েরা ঘর থেকে বাইরে যাচ্ছে না৷ দিনের বেলাতেই চতুর্দিকে অন্ধকার৷ ধূলি ও ধোঁয়াতে ভরে গেছে বাতাস৷ শ্বাসকষ্টের রোগ নিয়ে হাসপাতালে রোগীর ভিড়৷ সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিরা দিল্লী, পঞ্জাব, উত্তরপ্রদেশ ও হরিয়ানা সরকারকে এমনকি কেন্দ্রীয় সরকারকে তীব্র ভৎর্সনা করেছেন৷ তারা বলছেন প্রতি বছর এমনই হচ্ছে৷ অথচ সরকারের কোনও হেলদোল নেই৷ এই দূষণের সবচেয়ে বড় কারণ পার্শ্ববর্তী রাজ্যগুলিতে এই সময় ফসলের অবশিষ্টাংশ (খড়) ক্ষেতেই ব্যাপকভাবে পুড়িয়ে ফেলা হচ্
রাজ্য রাজনীতিতে হঠাৎ গজিয়ে ওঠা কিছু নেতা এক-এক সময় কাণ্ডজ্ঞানহীন মন্তব্য করে বসেন৷ সব সময় যে অজ্ঞতার কারণে এই ধরণের কথাবার্ত বলেন তা নয়, বরং এটা তাদের রাজনৈতিক কৌশল৷ প্রচারের আলোতে আসার জন্যে ইচ্ছাকৃত ভাবেই অশালীন অভব্য মন্তব্য করেন৷ অনেক সময় অবাস্তব আজগুবি কথা বলে বাজার মাত করে যাতে আসল সমস্যা থেকে মানুষের মন সরে যায়৷ চারিদিকে হৈ-চৈ পড়ে যায়৷ সংবাদ মাধ্যমে প্রচার চলতে থাকে৷ কাণ্ডজ্ঞানহীন নেতা এক ধরণের আত্মতৃপ্তিতে আপ্লুত হয়ে পড়েন৷ কিন্তু অপরিণামদর্শী এই নেতারা বোঝেন না, তার একটা মন্তব্য যে কোনও সময় জনমানসে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে না, অনেক অঘটন ঘটিয়ে অনেক অনাসৃষ্টি বাধায়৷
বর্তমানে আমরা এক মারাত্মক পরিস্থিতির মধ্যে হাজির হয়েছি৷ সেটা বেশ বোঝা যায় বর্তমানে রাজনৈতিক , সামাজিক, অর্থনৈতিক দিক থেকে চরম বিপর্যয়ের মধ্যে দেশ অবস্থান করছে৷
বর্তমান যুগে সারা পৃথিবীর রাষ্ট্রনেতা ও নেত্রীদের স্মরণে রাখা অত্যন্ত জরুরী তা হ’ল এই ভূমণ্ডলে বড় বড় প্রাণী জীবন সংগ্রামে বাঁচবে না, কারণ তাদের থাকা ও খাওয়ার সংকট দেখা দিয়েছে৷ তাই জঙ্গলের হাতি লোকালয়ে এসে মৃত্যুবরণ করছে৷ ঠিক তার পাশাপাশি ছোট ছোট দেশ বাঁচবে না যদি তারা প্রতিবেশী রাষ্ট্রের সঙ্গে সুসম্পর্ক স্থাপন করে মৈত্রী বন্ধনে আবদ্ধ না হয়৷