তোমার আসা যাওয়া
আমার এই দীন দুয়ারে
তোমার নিত্য আসা-যাওয়া
তবু কেন অশ্রু-ধারে
আকুল-ব্যাকুল পথ চাওয়া৷
বুঝিনা যে তোমার মরম
বিশ্বজুড়ে অপার লীলা
তোমার ভাবে বিভোর এ মন
দিবানিশি সারা বেলা৷৷
- Read more about তোমার আসা যাওয়া
- Log in to post comments
সবাই মিলে' এক সঙ্গে চলার নামই সমাজ। যে পিছিয়ে রয়েছে তাকে ঘৃণা না করে' এগিয়ে আসতে সাহায্য কোরো। এটাই হবে তোমার সমাজ-ধর্ম।
-- শ্রীশ্রী আনন্দমূর্ত্তি
আমার এই দীন দুয়ারে
তোমার নিত্য আসা-যাওয়া
তবু কেন অশ্রু-ধারে
আকুল-ব্যাকুল পথ চাওয়া৷
বুঝিনা যে তোমার মরম
বিশ্বজুড়ে অপার লীলা
তোমার ভাবে বিভোর এ মন
দিবানিশি সারা বেলা৷৷
বিজ্ঞানের বৈশিষ্ট্য হ’ল--- যুক্তি প্রমাণ ছাড়া বিজ্ঞান কোনো কিছুকে বিশ্বাস করে না৷ প্রমাণ আবার তিন প্রকার৷ প্রত্যক্ষ প্রমাণ , অণুমাণ ও শব্দপ্রমাণ৷ প্রত্যক্ষ প্রমাণ অর্থাৎ ইন্দ্রিয়ের সাহায্যে অনুভব করা৷ চোখ দিয়ে দেখা, কান দিয়ে শোণা, নাক দিয়ে গন্ধ সোঁকা, জিহ্বা দিয়ে আস্বাদন গ্রহণ করা ও ত্বক দিয়ে স্পর্শ করে অনুভব করা৷
বর্ষার জল ভরা মেঘের বিদায়, নীল অম্বর মাঝে শুভ্র মেঘের নিরুদ্দেশে ভেসে চলা, ধরার বক্ষে শ্যামের প্লাবন, ভোরের বাতাসে হিমেল ভাব আর শিউলির সুবাস, শিশিরসিক্ত শ্যামল তৃণরাজি বনে বনে কুশ-কাশের সমারোহ---আনে নতুন এক আমেজ৷ প্রকৃতির রূপ বৈচিত্র্যের এই কালিক পরিবর্তনই বুঝিয়ে দেয় শরৎ এসেছে৷ প্রকৃতির এই পরিবর্তন মানুষের হৃদয়েও আনে পরিবর্তন---আনে আনন্দের জোয়ার---উৎসবের মেজাজ৷ ঋষি প্রভাতরঞ্জন সরকার তাঁর রচিত ও সুরারোপিত প্রভাত সঙ্গীতে শরৎ ঋতুর বর্ণনায় বলেছেন---
‘‘শরৎ তোমার সুরের মায়ায় আকাশ-বাতাস মাতালো৷
দূর নীলিমার সুধারাশি ধরার জীবন রাঙালো৷৷’’
আরো একটি গানে বলেছেন,
মাটিতে জন্ম নিয়েছি বলেই তো মাটি আমাদের রক্তে মিশে গেছে৷ কারণ এই মাটিই আমাদের অন্ন, বস্ত্র, শিক্ষা , চিকিৎসা ও বাসস্থানের সকল ব্যবস্থা করছে৷ তাইতো সংস্কৃতে বলা হয়, ‘‘জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্র্গদপি গরীয়সী৷’’ তাই যে মানুষ যেখানে জন্মগ্রহণ করে তার কর্ত্তব্য হলো সেই মাটি ও সেই এলাকার মানুষদের প্রতি তার কৃতজ্ঞ থাকা ও তাদের কল্যাণে আত্মনিয়োগ করা৷
১৫ আগষ্ট৷ প্রতিটি ভারতবাসীর জন্যে আনন্দের দিন কারণ এদিন ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদীদের হাত থেকে দেশ মুক্ত হয়েছিল৷ ভারতের স্বাধীনতার জন্যে সংঘটিত ভাবে প্রথম প্রবল আন্দোলন শুরু হয়েছিল এই বাঙলায়৷ শ্রী অরবিন্দের নেতৃত্বে ইংরেজ শাসকের বঙ্গভঙ্গ প্রস্তাবকে উপলক্ষ্য করে ব্রিটিশ বিরোধী সেই আন্দোলন কাঁপিয়ে দিয়েছিল ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের ভিৎ৷ ব্রিটিশ ম্যাজিস্ট্রেট কিংসফোর্ডের উদ্দেশ্যে বোমা মারতে গিয়ে শহীদ হন ক্ষুদিরাম ও প্রফুল্লচাকী ৷ সেদিন ওই গাড়ীতে কিংসফোর্ড ছিলেন না৷ তাই তিনি বেঁচে গেলেন৷ বোমা মেরে দুই বিপ্লবী পালিয়ে যান৷ ঘটনাটি ঘটে ১৯০৮ সালের ৩০ শে এপ্রিল৷ প্রফুল্ল চাকীকে যখন পুলিশ ধরতে যায়,
বাঙালী ঐক্যকে, বাঙালী জাতীয় সত্তাকে নষ্ট করার এক সুগভীর ষড়যন্ত্র৷ স্বাধীনতার পর থেকেই শুরু হয়েছে৷ এই ষড়যন্ত্র কর্পোরেট মহলের, পুঁজিবাদী সাম্রাজ্যবাদীদেরই এক ষড়যন্ত্র৷ বাঙালীর জাতিসত্তাতে হিন্দু মুসলমান ঐক্য অচ্ছেদ্যভাবে জড়িত৷ ওপার বাঙলায় ১৯৫২ সালে ২১শে ফেব্রুয়ারীর বিখ্যাত ভাষা আন্দোলন ছিল এই ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে স্বতস্ফূর্ত প্রতিবাদ আন্দোলন৷ এই আন্দোলনই পরবর্তীকালে পাকিস্তানের কবল থেকে বাঙলাদেশের স্বাধীনতা ছিনিয়ে এনেছিল৷ এই আন্দোলনই বাংলা ভাষাকে রাষ্ট্রসংঘে স্থান করে দিয়েছে ও এই আন্দোলনের তারিখটিকেই রাষ্ট্রসংঘ আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে ঘোষণা করে বাংলা ভাষাকে মহিমান্বিত করেছে৷
আজ থেকে প্রায় দশ লক্ষ বছর আগে মানুষ সৃষ্টির প্রথম ঊষার আলো দেখে থাকলেও মানব সভ্যতার সূত্রপাত হয়েছিল প্রায় ১৫ হাজার বছর আগে৷ বিবর্তনের পথ ধরে সভ্যতা এগিয়ে চলেছিল৷ প্রায় সাত হাজার বছর আগে প্রথম তারকব্রহ্ম সদাশিবের আবির্ভাব মানব সভ্যতার ইতিহাসে ছিল এক যুগান্তকারী ঘটনা৷ সেদিনের সেই প্রায় অন্ধকারে থাকা আদিম যুগের মানুষকে সদাশিবই প্রথম আলোর সন্ধান দিয়েছিলেন৷ তিনি শিখিয়েছিলেন তন্ত্র যোগ ভিত্তিক আধ্যাত্মিক সাধনা৷ প্রথম ছন্দ, সুর, তাল, লয় সমৃদ্ধ গীত বাদ্য ও সুরসপ্তকের উদ্গাতা ছিলেন তিনিই৷ সদাশিবই দিয়েছিলেন বিবাহ পদ্ধতিও৷ তার আগে সমাজে বিবাহ প্রথা ছিল না৷ সে যুগে মানব-মানবী স্বৈরী-স্বৈরিণী মত ঘুরে ব
মাইক্রোবাইটাম আবিষ্কারক শ্রী প্রভাতরঞ্জন সরকার মাইক্রোবাইটাম তত্ত্ব অনুযায়ী পরমানু ও মাইক্রোবাইটার অবস্থান, গবেষনার জন্য কয়েকটি নির্দেশনা দিয়েছেন৷
প্রাচীনকালে ৪ ধরনের সাহিত্য গ্রন্থ লেখা হত ৷ কাব্য, ইতিবৃত্ত, ইতিহাস পূরাণ৷ বাক্যং রসাত্মক কাব্যং--- ছন্দ, উপমা প্রভৃতি দিয়ে রসাত্মক কাব্যরচনার নাম কাব্য৷ সমাজে যা ঘটছে--- তার হুবুহু পঞ্জীকরণ হ’ল ইতিবৃত্ত৷ কোনো এক রাজন, তাঁর ৪ ছেলে৷ তাদের ছেলে-পুলে তাদের রাজ্য বিস্তার বা জীবনযাত্রার কাহিনী--- এসব ঘটনাপঞ্জীর বিবরণ হ’ল ইতিবৃত্ত৷ ইতিবৃত্ত কিন্তু ‘ইতিহাস’ নয়৷ ইতিবৃত্তের মধ্যে যে অংশ শিক্ষাপ্রদ---সে অংশটাই হল ‘ইতিহাস’৷ আর পুরাণ হ’ল--- লোকশিক্ষার্থে রচিত কল্পিত কাহিনী৷ পুরাণের ঘটনাগুলো কাল্পনিক হলেও তার মাধ্যমে মানুষকে নানান্ শিক্ষা দেওয়া হয়৷ যেমন বলা হয়েছে,
বিশ্বের সকল বাঙালীর নিকট ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর একটি প্রাতঃস্মরণীয় নাম৷ প্রতিটি বাঙালী মাতৃভাষা বাংলায় কথা বলা শেখে মা-বাবা-আত্মীয় পরিজনদের মাধ্যমে ৷ আর বাঙলায় প্রথম আক্ষরিক পরিচিতির জন্যে হাতের কাছে পায় ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর প্রণীত ‘বর্ণপরিচয়’৷ বাঙালী মাত্রেরই বিদ্যাশিক্ষার ভিত্তি রচিত হয় ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের মাধ্যমে৷ তাঁর পিতৃদত্ত নাম শ্রী ঈশ্বরচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়৷ কিন্তু ঈশ্বরচন্দ্রের পদবী হিসেবে আমরা সাধারণতঃ ‘বন্দ্যোপাধ্যায়’ ব্যবহার করি না৷ স্বামীজী বললে যেমন স্বামী বিবেকানন্দকে, কবিগুরু বললে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে, নেতাজী বললে সুভাষচন্দ্র বসুকে আমরা বুঝি---ঠিক তেমনই বিদ্যাসাগর বা