অনন্তের পথে......
‘‘তোমারই অনন্ত কাননে
ক’রি কুসুম চয়ন
তোমারই রাঙা শ্রীচরণে
সেবকের বিনম্র তর্পণ৷ ’’
- Read more about অনন্তের পথে......
- Log in to post comments
সবাই মিলে' এক সঙ্গে চলার নামই সমাজ। যে পিছিয়ে রয়েছে তাকে ঘৃণা না করে' এগিয়ে আসতে সাহায্য কোরো। এটাই হবে তোমার সমাজ-ধর্ম।
-- শ্রীশ্রী আনন্দমূর্ত্তি
‘‘তোমারই অনন্ত কাননে
ক’রি কুসুম চয়ন
তোমারই রাঙা শ্রীচরণে
সেবকের বিনম্র তর্পণ৷ ’’
গঙ্গাসাগরে মকরসংক্রান্তির মেলায় লক্ষ লক্ষ পুণ্যার্থী ভিড়৷ পশ্চিমবঙ্গ ছাড়াও বিহার, উত্তরপ্রদেশ, হরিয়ানা, রাজস্থান থেকে কাতারে কাতারে ভারতের বিভিন্ন রাজ্য থেকে, এমনকি সাগরপার থেকেও কাতারে কাতারে মানুষ গঙ্গাসাগরে স্নান করতে এসেছেন৷ অনেকে সারা জীবন ধরে সঞ্চয় করে সেই সঞ্চিত অর্থ নিয়ে, অনেকে জমি–জমা গোরু–বাছুর বিক্রি করে সেই টাকা নিয়ে, অনেকে ধার কর্য করে গঙ্গাসাগরে এসেছেন সংক্রান্তির স্নান করতে৷
‘‘তোমরা মনে কোরোনা যে, আজ এই আদালতেই এ মামলার শেষ৷ মানব ইতিহাসের বিরাট বিচারালয়েও এই মামলার শুনানী চলবে চিরকাল৷
একদিন যখন তোমাদের সমস্ত বিচার-বিতর্ক নীরব হয়ে যাবে, যখন আজকের এই আন্দোলন ও উত্তেজনার কোনও চিহ্ণই অবশিষ্ট থাকবে না এবং আজ যিনি আসামী হয়ে তোমাদের সামনে দাঁড়িয়েছেন, তিনিও পৃথিবী থেকে চলে যাবেন, সেদিন সেই অনাগত যুগের মানুষ এই অরবিন্দকেই স্মরণ করবে, দেশপ্রেমের কবি বলে৷ মানবতার উপাসক বলে সমগ্র পৃথিবী তাকেই দেবে সেদিন পুষ্পাঞ্জলী৷
আজ যে বাণী প্রচারের জন্য তিনি অভিযুক্ত হয়েছেন, সেদিন সেই বাণীর তরঙ্গ দেশ-দেশান্তরের মানুষের অন্তরে মহাভাবের প্রতিধবনী জাগিয়ে তুলবে৷’’
উটকো বাঙালী সংঘটনের নামে নৈহাটীতে একটি অবাঙালী যুবকের সঙ্গে যে আচরণ হয়েছে তা কোনমতেই সমর্থনযোগ্য নয়৷ কিন্তু এই আচরণের যাঁরা বিরুদ্ধাচারণ করছে তাদেরও বাঙালী প্রেম কতটা সে বিষয়ে সন্দেহ আছে৷ এরা কারা? এই দু’পক্ষের লোকেদের আচরণই সন্দেহজনক৷ সন্দেহ হয় এই পক্ষবিপক্ষ একই পক্ষ নয়তো? হয়তো এরা দু’পক্ষই বাঙালী আবেগকে বিপথে চালিত করতে চায় বা প্রকৃত বাঙালী চেতনাকে ঘুম পাড়িয়ে রাখতে এহ পক্ষ-বিপক্ষের নাটক৷ নৈহাটীতে অনুষ্ঠিত পক্ষপন্থীরা বাঙলা প্রেমের নামে একটি বিশেষ দলের বিরুদ্ধাচরণ করছে ও এর পেছনে রাজ্যের শাসক দলের প্রচ্ছন্ন মদত আছে৷
বর্তমান এই বৈশ্য তথা পুঁজিবাদী নিয়ন্ত্রিত সমাজে যদি প্রাচীন মুণি-ঋষিরা বেঁচে থাকতেন তবে তাঁরা অবশ্যই বলতেন---সবার উপরে মানুষ সত্য, / তাহার উপরে বেকারত্ব৷ হ্যাঁ, আজকের বিশ্বে বেকারত্ব একটা বিষাক্ত জ্বালা ও জটিলতর সমস্যা৷ দেশে, রাজ্যে, শহরে, গ্রামে সর্বত্র কিছু থাক বা না থাক বেকার বিরাট আকার ধারণ করে আছে৷ আর তা দিনকে দিন ৫জি গতিতে বেড়ে চলেছে৷ যে গতি বর্তমান ভারতে সবচেয়ে বেশী৷ অর্থাৎ বর্তমান মোদী জমানায় ভারতে বেকারত্ব ও অর্থনৈতিক মন্দা চরম বিপজ্জনক আকার ধারণ করেছে৷ যা সম্প্রতি সাবেক আর বি আই-এর গভর্ণর রঘুরাম রাজন স্বীকার করে বলেছেন, ভারতের বর্তমানে সবচেয়ে বড় সমস্যা হল বেকারত্ব৷ তাছাড়া আন্তর্জা
পরমপুরুষের হাজার হাজার নাম৷ পরমপুরুষ অনন্ত, তাঁর লীলাও অনন্ত আর তাঁর গুণও অনন্ত৷ লোকে সাধারণভাবে বলে যে হরি অনন্ত, হরি কথাও অনন্ত তাঁর অনন্ত গুণাবলীর জন্যে তাঁর অনন্ত নাম৷ এক-একটি নামে তাঁর বিশেষ বিশেষ ভাব নিহিত আছে৷ যেমন পরমপুরুষের এক নাম গোবিন্দ৷ এর মানে হ’ল যিনি সমগ্র সৃষ্টিকে জানেন, সমগ্র সৃষ্টি যার নখদর্পণে---তিনি হলেন গোবিন্দ৷ তেমনি তাঁর এক নাম মাধব৷ যিনি প্রকৃতির শক্তির স্বামী অর্থাৎ নিয়ন্ত্রক৷ মা-মানে প্রকৃতিশক্তি আর ধব মানে স্বামী৷ সাধবা মানে যার স্বামী বর্তমান বা জীবিত৷ তেমনি কেশব, মধুসূদন, বাসুদেব প্রভৃতি৷ লোকে শ্রীকৃষ্ণের অষ্টোত্তর শতনাম জপ বা পাঠ করেন৷ শুধু ওই অষ্টোত্তর হতনাম হ
সাম্প্রদায়িক বিভেদের গর্ভে জন্ম নেয় পাকিস্তান৷ তথাকথিত দেশপ্রেমিক নেতাদের ক্ষমতার মোহ, অন্ধ বাঙালী বিদ্বেষ ও নেতাজী আতঙ্ক দেশভাগ তথা বাঙলা ভাগের অন্যতম কারণ৷ সাম্প্রদায়িক বিভেদ একটা অজুহাত মাত্র৷ দেশবন্ধু অনেক আগেই গত হয়েছেন৷ বয়সের সীমা অতিক্রম করেননি রবীন্দ্রনাথও৷ আতঙ্ক একটাই---সুভাষ! দেশীয় পুঁজিপতি ও বিদেশী রাজশক্তির সঙ্গে হাত মিলিয়ে সুভাষকেও দেশছাড়া করা গেছে৷ কিন্তু বিদেশে গিয়েও যেসব কাণ্ড বাধাল! আস্ত একটা রাষ্ট্রীয় বাহিনী নিয়ে ব্রিটিশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ!
ভারত যুক্তরাষ্ট্র এক বিশাল দেশ৷ এর প্রায় ১ লাখ ১৬ হাজার ৫২১টির অধিক পঞ্চায়েত আছে৷ আর প্রায় ১১ লাখ ৬৫ হাজার ২১০টিরও অধিক গ্রাম আছে৷ সেই অনুপাতে বিভিন্ন স্থানের ভৌগোলিক পরিবেশ এক নয়, মরুভূমি, পার্বত্য এলাকা, অসমানতা, সমতলভূমি, বনাঞ্চল, উর্বর, অনুর্বর ভূমি আছে৷ বিভিন্ন এলাকার নানা প্রাকৃতিক কারণে নানা ধরণের বনজ, কৃষিজ, খনিজ সম্পদ আছে৷ নানা ভাষাভাষীর ভাইবোনেরা তাদের পরিবার-পরিজন নিয়ে কালাতিপাত করেন৷ প্রতিটি পঞ্চায়েত ও গ্রামকে আর্থিক দিক থেকে স্বয়ংভর করে’ গড়ে তোলার লক্ষ্যেই কংগ্রেসী আমলে ব্লক উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়৷ আঞ্চলিক ভিত্তিতে ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত পরিকল্পনাকে যদি জোর দেওয়া হয় তাহলে ম
মানুষের অস্তিত্ব ত্রিস্তরীয়---শারীরিক, মানসিক ও আত্মিক৷ মানুষের উন্নতি মানে এই ত্রিস্তরীয় সামঞ্জস্যপূর্ণ উন্নতি৷ এই সামঞ্জস্যপূর্ণ উন্নতি যদি না থাকে তাহলে উন্নতির পরিবর্তে অবনতি হবে৷ বর্তমানে বিজ্ঞান-প্রযুক্তির হাত ধরে বা আধুনিকতার ছাপ মেরে যে বিপুল উন্নতির বড়াই আমরা করি এই তথাকথিত উন্নতি যে অনেক জটিল প্রশ্ণের সম্মুখে আমাদের দাঁড় করিয়ে দিয়েছে, তা আজ কেউ অস্বীকার করতে পারবেন না৷ তার কারণ একটাই৷
ঋতু পরিবর্তনের সাথে সাথে প্রকৃতির বুকেও আসে পরিবর্তন৷ আর তার প্রভাব মানুষের মনে প্রত্যক্ষ ভাবেই অনুভূত হয়৷ গ্রীষ্মের দাবদাহের পর বর্ষার একঘেয়েমি মানুষের মনকে করে তোলে বিষণ্ণ্৷ এরপর শরতের ফুরফুরে শীতল বাতাস, ঝকঝকে রোদ্দুর, মাঝে মাঝে এক পশলা বৃষ্টির ছঁোয়া আর নীল আকাশে ফালি ফালি মেঘের ভেসে যাওয়া মানুষের মনকে ভারমুক্ত, হালকা করে দেয়৷ প্রকৃতির কোলে কাশফুলের হিন্দোল সূর্যকিরণে ঘাসের পাতায় শিশিরের ঝিকিমিকি, হাওয়ায় শিউলির সুবাস মানুষের মনে আনন্দের আবেশ ছড়িয়ে দেয়৷ এই শরতের আনন্দময় পরিবেশ বাঙালীর জীবনে নিয়ে আসে বাঙলা তথা ভারতের সর্ববৃহৎ উৎসব---শারদোৎসব৷ বাঙালী ও ভারতীয় সমাজে শারদোৎসবের প্রভাব সুদূরপ