রাষ্ট্রসঙ্ঘে স্বীকৃতি পেল বাংলা ভাষা

গত ১০ই জুন রাষ্ট্র সংঙ্ঘের ৭৬তম সাধারণ অধিবেশনে বহুভাষাবাদের পক্ষে অ্যান্ডোরা ও কলম্বিয়ার আনা প্রস্তাব গৃহীত হয়৷ গৃহী

নিজস্ব সংবাদদাতা

আনন্দমার্গ স্কুলের প্রাক্তন ছাত্রের যুগান্তকারী আবিষ্কার

পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার ছেলে সাবির হোসেন এক বিশেষ ধরণের পাউডার আবিষ্কার করেছেন যা ব্যবহারে খুবই অল্প সময়ের মধ্যে ক্ষতস্থানের রক্তপাত বন্ধ হয়ে যাবে৷ পি.এন.এ.

সুপ্রিম কোর্টে সাতে নেই বাংলা প্রতিবাদে সরব ‘আমরা বাঙালী’

সুপ্রিম কোর্ট তার রায় প্রকাশের মাধ্যম হিসাবে হিন্দী, ইংরাজীর সাথে আরও পাঁচটি ভাষাকে বেছে নিয়েছে৷ তার মধ্যে উড়িয়া, অসমিয়া থাকলেও বাংলা ভাষার স্থান হয়নি নিজস্ব সংবাদদাতা

বিশ্ব পরিবেশ দিবসে আবেদন

‘‘মানুষ যেন মানুষের তরে সবকিছু করে যায়৷

               একথাও যেন মনে রাখে পশুপাখী তার পর নয়

নিজস্ব সংবাদদাতা

মনের স্বাস্থ্য রক্ষায় সবুজ প্রাকৃতিক পরিবেশ অত্যন্ত উপকারী

ডাঃ আলমগির

মানসিক স্বাস্থ্য রক্ষায় সবুজ প্রাকৃতিক পরিবেশ অত্যন্ত উপকারী৷ দিনে পাঁচ মিনিটের জন্যে হলেও সবুজ ঘাসে আচ্ছাদিত মাঠে বা পার্কে যান ও হাল্কা শরীর চর্চার মাধ্যমে আপনার মনকে সতেজ করে তুলুন৷ সবল করে তুলুন মানসিক স্বাস্থ্যকে৷ সম্প্রতি প্রকাশিত এক সমীক্ষা থেকে এ তথ্য জানা গেছে৷ সবুজ ঘাসের ওপর পাঁচ মিনিট হাঁটা বা শরীরচর্চা মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি বিধানে সহায়তা করে৷ সেইসঙ্গে বাড়িয়ে তোলে ব্যষ্টি আত্মমর্যাদাবোধও৷ সমীক্ষায় বলা হয়েছে নীতিনির্ধারকদের উচিত হবে, পার্ক বা ময়দানে বেশী সময় কাটানোর জন্যে মানুষকে অনুপ্রাণিত করা৷ আলেক্স বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা বলেছেন যে, প্রতিদিন নিয়ম করে একটু হাঁটা, বাগান করা,

বিজন সেতুর পৈশাচিক হত্যাকাণ্ড প্রসঙ্গে

আচার্য ত্র্যম্বকেশ্বরানন্দ অবধূত

পূর্ব প্রকাশিতের পর

সাংবাদিক ও সম্পাদকদের ধিক্কারও  ওদের হিসেবে গোলমাল করে দিয়েছিল---

‘‘পাশেই থানা৷ তারা গুজবের কথা জানত, অথচ তারা প্রস্তুত ছিল না৷ নির্বিকার ছিল৷ মুখ্যমন্ত্রীই পুলিশ মন্ত্রী৷ যেমন তিনি বিদ্যুৎমন্ত্রীও৷ আর কতদিক দিয়ে আমাদের জীবনে অন্ধকার নামাবেন, মুখ্যমন্ত্রী মশাই ’’?              (সম্পাদকীয় আজকাল)৷

‘‘যাঁর নামে বিজন সেতুর নাম তিনি না ছিলেন বিপ্লবী, না ছিলেন মন্ত্রী, তবু মানুষের ডাকে সাড়া দিয়ে নিজের জীবন উৎসর্গ করেছিলেন৷ আপনাদের নিস্ক্রিয়তায় সেই সেতু আজ কলঙ্কিত৷ ধিক্ ধিক্ ধিক্৷’’        (সম্পাদকীয় আজকাল)৷

বিশ্ব প্রেম

আচার্য গুরুদত্তানন্দ অবধূত

এ বিশ্বের সামূহিক সুখই আমার সুখ, সামূহিক দৈন্যই আমার দৈন্য  সামূহিক হাসিই আমার সরসতা, সামূহিক ব্যপ্তিই  আমার বিশালতা, সামূহিক প্রীতিই আমার আত্মীয়তা, সামূহিক কল্যাণই আমার জীবনব্রত৷ এ বিশ্বের শ্রমজীবী মজুর, কর্ষক, দুঃসাহসী তেজস্বী ক্ষত্রিয়,উন্নতধী বুদ্ধিজীবী বিপ্র, বিষয়জীবী বৈশ্য, সবার শরীরেই বইছে একই রক্তধারা, সবার অন্তরেই একই মর্মবেদনা, অতৃপ্তির বেদনায় সবাই ভারাক্রান্ত, অপার ভালোবাসার স্নেহ মাধুর্যের পরশ সকলেরই কাম্য৷

ভারতীয় গণতন্ত্র এখন কোন পথে?

জগদীশ মন্ডল

যাঁরা দেশ-দশের কথা ভাবেন, যাঁরা দেশের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক  ও সামাজিক পরিস্থিতি কোনদিকে যাচ্ছে তাঁরা  আজ তা  ভাবতে বসেছেন৷  কারণ ,১৯৪৭ সালের ১৫ই অগাষ্ট দ্বিজাতিতত্ত্বের ভিত্তিতে ভারত ভাগ হয়ে রাজনৈতিক স্বাধীনতা লাভ  করল, ১৯৫০ সালের ২৬শে জানুয়ারী স্বাধীন ভারতের সংবিধান গৃহীত হলো আর ১৯৪৯ সালে ১৫ই অক্টোবর ব্রিটিশের  করদ রাজ্য ত্রিপুরা পূর্ব সিদ্ধান্ত  মোতবেক ভারতে যোগ দিল--- কিন্তু আজও ভারতে সঠিক গণতন্ত্র  স্থাপিত হয়েছে কি?

বাঙালির ভাষা সংস্কৃতি ও অর্থনৈতিক  সমৃদ্ধির ক্ষেত্রে অশনি  সংকেত

সুকুমার সরকার

শাসন-শোষণের ক্ষেত্রে বিদেশি পুঁজিবাদ  যা দেশীয় পুঁজিবাদও তা৷ স্বাধীনতা পূর্ব ভারতবর্ষ ছিল বিদেশি পুঁজিবাদীদের অধীন আর স্বাধীনতা উত্তর ভারতবর্ষ দেশীয় পুঁজিবাদীদের  খপ্পরে৷ দুইয়েরই ক্ষতিকারক  প্রভাব সমান৷ ব্রিটিশ শাসকেরাও অর্থ শোষণ করে বিদেশে নিয়ে যেত দেশীয় শোষকরাও দেশীয় শাসকদের সহায়তায় অর্থশোষণ করে বিদেশে নিয়ে যাচ্ছে৷ তা হলে তফাৎ কোথায়?

বিজন সেতুর পৈশাচিক হত্যাকাণ্ড প্রসঙ্গে

আচার্য ত্র্যম্বকেশ্বরানন্দ অবধূত

পূর্ব প্রকাশিতের পর

অথচ ১৯৬২ সালে যখন চীন ভারত দখল করতে ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ল তখন সেই কাজে চীনের কম্যুনিষ্টরা যাতে সফল হয় সেই জন্যে  ভারতের কম্যুনিষ্টরা ভারতের জনগণকে বোঝাবার চেষ্টা করলো--- চীন আক্রমণকারী নয়, ভারতই আক্রমণকারী, চীন শুধু তার জবাব দিচ্ছে৷

---এই হচ্ছে কম্যুনিষ্টদের ভারত প্রেমের বহর৷ আর ওরাই আজ আওয়াজ তুলেছে ‘‘আনন্দমার্গীরা ভারত বিদ্বেষী’’!

আজকের সমস্যা সমাধানে প্রাউট

মোহন সরকার

বিশ্ববিখ্যাত সংবাদ সংস্থা ‘অক্সফ্যামে’র সমীক্ষায় প্রকাশ, বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ৮ জনের কাছে যে সম্পদ আছে, তা গোটা পৃথিবীর অর্দ্ধেক অর্থাৎ প্রায় সাড়ে তিনশ’ কোটি মানুষের সম্পত্তির সমান৷ ভারতেও বিত্তবান্ ১ শতাংশ মানুষের কাছে যে সম্পদ আছে তা আছে ভারতের মোট  জনসংখ্যার  ৫৮ শতাংশ  মানুষের  কাছে৷

রবীন্দ্র–আদর্শ ও আমরা

সত্যসন্ধ দেব

আমরা প্রতি বছরের  মত এবারেও খুব ঘটা করে রবীন্দ্র জয়ন্তী পালন করেছি৷ রবীন্দ্রনাথের কবিতা আবৃত্তি, রবীন্দ্র–সঙ্গীত, রবীন্দ্র রচনা নিয়ে গুরুগম্ভীর বত্তৃণতা কোনোটারই খামতি নেই৷ বরং রবীন্দ্রসঙ্গীতগুলোর্ যেগুলি সুস্পষ্টভাবে ঈশ্বরপ্রেম সম্বন্ধীয় সেগুলিকে বেমালুম স্ত্রী–পুরুষের প্রেমের সঙ্গীত হিসেবে টিভি– সিরিয়্যালে ব্যাপক ভাবে ব্যবহার করে কথায় কথায় রবীন্দ্র প্রীতির নিদর্শন দেওয়া হচ্ছে৷ পাড়ায় পাড়ায় রবীন্দ্রসঙ্গীতের বন্যা বইছে৷ কিন্তু ওই সঙ্গীতগুলির অন্তর্নিহিত ভাব  অনুভব করার চেষ্টা প্রায় কেউই করেন না এটা বলাই বাহুল্য৷ এই ভাবে রবীন্দ্র–ভাব, রবীন্দ্র–আদর্শকে ভুলেই আমরা রবীন্দ্রপ্রীতির উচ্ছ্বাস দেখাচ

বাঙলার প্রাণধর্ম রক্ষা করতে হবে

মনোজ দেব

‘‘একই ভৌগোলিক পরিবেশে, একই ঐতিহাসিক ও সাংসৃকতিক আবেষ্টনীর মধ্যে যাদের জন্ম ও লালন-পালন, সেই জনগোষ্ঠী অপর জনগোষ্ঠী থেকে ভিন্নতর গোষ্ঠীগত বৈশিষ্ট্য অর্জন করে৷ পরবর্তীকালের এই গোষ্ঠীগত বৈশিষ্টগুলোর সমগ্র জনগোষ্ঠীর অভ্যন্তরীণ ভাবধারার সঙ্গে এমনভাবে মিশে যায় যে এতে করে একটা জাতীয় স্বভাব তৈরী হয়৷ তা দিয়েই একটা গোটা জাতির মানস-প্রবণতা, বাহ্যিক আচরণ, জীবন ও সমাজের প্রতি তাদের দৃষ্টিভঙ্গি---এককথায় একটি বিশেষ জাতীয় দৃষ্টিকোণ গড়ে ওঠে---যা সেই জাতিকে অন্য জাতি থেকে এক পৃথক বৈশিষ্ট্য দান করে৷

বাঙলা তথা ভারতের সামনে সমূহ বিপদ ঃ মোকাবিল করতে হবে কীভাবে?

আচার্য সর্বাত্মানন্দ অবধূত

গত ১লা বৈশাখ বাঙলা নববর্ষের দিনে শ্রদ্ধেয় প্রভাতরঞ্জন সরকারের ‘বাঙলা ও বাঙালী’ পুস্তকের ‘বাঙলার নববর্ষ’ প্রবন্ধটি (৪ঠা এপ্রিল ১৯৮০ প্রদত্ত) পড়তে পড়তে এক জায়গায় চোখ আটকে গেল৷ অনেক মূল্যবান কথা বলার পর শেষের দিকে তিনি বলেছেন---‘‘আজ নতুন করে শপথ নিতে হবে---এই নতুন বছরটা তারা কীভাবে সফল করে তুলবে, নিজেদের অস্তিত্বকে কীভাবে আরও প্রাণবান, প্রাণোচ্ছল করে তুলবে, তার কর্মপন্থা নির্ধারণ করতে হবে৷’’ সত্যি তো বাঙালী জনগোষ্ঠী কত প্রাচীন৷ এর এক উজ্জ্বল ঐতিহাসিকতা রয়েছে, অনেকগুলি বৈশিষ্ট্যে বৈশিষ্ট্যবান বাঙালী---নিজস্ব ভাষা, উচ্চারণ রীতি, লিপি, নিজস্ব পোষাক ও পোষাক পড়ার পদ্ধতি, নিজস্ব দায়াধিকার ব্যবস্থা,