রাষ্ট্রসঙ্ঘে স্বীকৃতি পেল বাংলা ভাষা

গত ১০ই জুন রাষ্ট্র সংঙ্ঘের ৭৬তম সাধারণ অধিবেশনে বহুভাষাবাদের পক্ষে অ্যান্ডোরা ও কলম্বিয়ার আনা প্রস্তাব গৃহীত হয়৷ গৃহী

নিজস্ব সংবাদদাতা

আনন্দমার্গ স্কুলের প্রাক্তন ছাত্রের যুগান্তকারী আবিষ্কার

পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার ছেলে সাবির হোসেন এক বিশেষ ধরণের পাউডার আবিষ্কার করেছেন যা ব্যবহারে খুবই অল্প সময়ের মধ্যে ক্ষতস্থানের রক্তপাত বন্ধ হয়ে যাবে৷ পি.এন.এ.

সুপ্রিম কোর্টে সাতে নেই বাংলা প্রতিবাদে সরব ‘আমরা বাঙালী’

সুপ্রিম কোর্ট তার রায় প্রকাশের মাধ্যম হিসাবে হিন্দী, ইংরাজীর সাথে আরও পাঁচটি ভাষাকে বেছে নিয়েছে৷ তার মধ্যে উড়িয়া, অসমিয়া থাকলেও বাংলা ভাষার স্থান হয়নি নিজস্ব সংবাদদাতা

বিশ্ব পরিবেশ দিবসে আবেদন

‘‘মানুষ যেন মানুষের তরে সবকিছু করে যায়৷

               একথাও যেন মনে রাখে পশুপাখী তার পর নয়

নিজস্ব সংবাদদাতা

শারীরিক সুস্থতায় পজেটিভ মাইক্রোবাইটামের ভূমিকা

শ্রী সমরেন্দ্রনাথ ভৌমিক

শারীরিক সুস্থতা ও রোগমুক্ত শরীরের জন্যে পজেটিব মাইক্রোবাইটামের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ৷ মাইক্রোবাইটাম আবিষ্কারক মহাপ্রাজ্ঞ শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকার বলেছেন---প্রাণের উৎস হ’ল মাইক্রোবাইটাম৷ এই মাইক্রোবাইটাম তিন প্রকারের হয়৷ এরা হ’ল (১) পজেটিব মাইক্রোবাইটাম বা মিত্র মাইক্রোবাইটাম৷ (২) নেগেটিব মাইক্রোবাইটাম বা এনিমি মাইক্রোবাইটাম৷ (৩) নিরপেক্ষ মাইক্রোবাইটাম৷ এই তিন প্রকার মাইক্রোবাইটামের মধ্যে পজেটিব মাইক্রোবাইটামকে কোনও মানুষ কিংবা কোন মহাপুরুষ এমনকি কোনও সাধক বা অতি মানবও তৈরী করতে পারে না৷ শুধুমাত্র পরমপুরুষ তথা সদ্‌গুরুই এই মাইক্রোবাইটাম তৈরী করতে পারে৷ পরমপুরুষ সৃষ্ট মাইক্রোবাইটাম মানব মন

এক দেশ---এক ভাষা, এক দল বাস্তববোধহীন চিন্তা

মনোজ দে

একথা রূঢ় বাস্তব---ভারতবর্ষের অভ্যন্তরেই আজ বিচ্ছিন্নতার সুর৷ তাই রাষ্ট্রের কর্ণধারদের সংহতির কথা চিন্তা করতেই হবে৷ ঐক্যের পথ খুঁজে বের করতেই হবে৷ কিন্তু শুধু রোগ জানলেই হবে না৷রোগের কারণও জানতে হবে৷ নতুবা ভুল ঔষধ প্রয়োগে হিতে বিপরীত হবে৷

ভারতবর্ষ একটি যুক্তরাষ্ট্র৷ এই যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোয় নানা ভাষাভাষীর জনগোষ্ঠী আছে৷ তাদের আচার-আচরণ, পোশাক-আশাক, চাল-চলনে অনেক পার্থক্য আছে৷ এই পার্থক্যই ভারতবর্ষকে এক নতুন বৈশিষ্ট্য দিয়েছে৷ তাই বলা হয়ে থাকে বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্য৷ তাই রাষ্ট্র নেতাদের এই বৈচিত্র্যের পৃথক বৈশিষ্ট্য বজায় রেখেই ঐক্যের পথ খুঁজতে হবে৷ পৃথক বৈশিষ্ট্যের বিনাশ ঘটিয়ে নয়৷

সীমাহীন অর্থনৈতিক শোষণ থেকে বাঁচাতে পারে - প্রাউটের বিকেন্দ্রিত অর্থনৈতিক পরিকল্পনা

প্রভাত খাঁ

দীর্ঘ ৭৬ বছর পরেও আমাদের ভাবতে হচ্ছে স্বাধীন দেশের নাগরিক হয়ে দেশের সিংহভাগ মানুষের বেঁচে থাকার জন্য যে পাঁচটি জিনিষের অত্যধিক প্রয়োজন, তারা পাচ্ছে না৷ আজও অনেকের ক্ষুধা নিয়ে জন্ম হচ্ছে পথে ঘাটে, আর মরতে হচ্ছে সেই পথে ঘাটে অবহেলিত পশু- পক্ষীদের মত৷  পাশাপাশি ভারতের মত বিরাট দেশে যৎসামান্য মুষ্টিমেয় কিছু ধনী ভাগ্যবানরা দেশের সম্পদের সিৎহভাগের মালিক৷

স্মরণিকা

পত্রিকা প্রতিনিধি

* বনের পাখির চেয়ে পিঞ্জরের পাখিটাই বেশি ছট্‌ফট্‌ করে৷

* নারীর মূল্য নির্ভর করে পুরুষের স্নেহ সহানুভূতি ও ন্যায়ধর্মের ওপর৷

* একটা বড় নাম দিলেই কোন জিনিস সংসারে বড় হয়ে যায় না৷

সমস্ত রমণীর অন্তরে নারী বাস করে  কিনা তাহা  জোর করিয়া বলা অত্যন্ত দুঃসাহসের কাজ৷ কিন্তু নারীর চরম সার্থকতা যে মাতৃত্বে এ কথা বোধ করি গলা বড়ো করিয়াই প্রচার করা যায়৷       ---শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়

আপ্তবাক্য

পত্রিকা প্রতিনিধি

‘‘সমাজের আসল ব্যাধিটার দিকে মানুষ এখনও চোখ মেলে চাইছে না৷  সংঘ বা সমিতিগুলো বিভিন্ন বৃত্তি-জীবীরা গড়ে তুলেছে সম্পূর্ণ ব্যষ্টিগত বা গোষ্ঠীগত স্বার্থের প্রেরণায়৷ তাই এ জাতীয় সমস্যাগুলোর, শুধু এই জাতীয় সমস্যাই বলি কেন, জগতের প্রতিটি সমস্যা সমাধানের ব্যাপারে মানুষ কেবল নিজেদের দিকেই তাকাচ্ছে৷ নীচের তলাকার মানুষের পানে চাইছে না৷ যে ওপরে আছে তাকে নামাবার কাজে যতটা শক্তি ব্যয়িত হচ্ছে, যে নীচে আছে তাকে তুলবার কাজে তার শতাংশের একাংশও ব্যয়িত হচ্ছে না, এইটাই সবচাইতে               দুঃখের কথা৷’’ (কঃপ্রাঃ১মখণ্ড                        ---শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকার

বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থার সর্বনাশা বিষবাষ্প

শ্রী প্রফুল্ল কুমার মাহাত

মানুষ হচ্ছে অমৃতের সন্তান অর্থাৎ ঈশ্বরের শ্রেষ্ঠ সৃষ্টি৷ তাই সৃষ্টিকর্তা তার মধ্যে সঞ্চারিত করে দিয়েছেন বোধ, বুদ্ধি, বিবেক, বোধি, ইত্যাদি অজস্র মানবিক গুণাবলী ও মূল্যবোধের অফুরন্ত সম্ভাবনার সম্ভার৷ তারই বলে মানুষ জাতি আজ মানুষ অভিধায় ভূষিত৷ এই প্রভূত সম্ভাবনার কথা স্মরণ করিয়ে দিতেই স্বামী বিবেকানন্দ শিক্ষার সংজ্ঞায় বলেছেন– ‘‘ড্রস্তুব্ভন্তুত্রব্ধন্প্ ন্ব্দ ব্ধড়ন্দ্ব প্পন্দ্বুন্ন্দ্রন্দ্বব্দব্ প্সন্দ্র ব্ধড়ন্দ্ব হ্মন্দ্বব্জন্দ্রন্দ্বন্ত্ প্তব্জন্দ্ব্ত্রস্তুম্ভ নু ত্ত্ত্রু.’’ অর্থাৎ মানুষের মধ্যে অন্তর্নিহিত সুপ্ত সকল সম্ভাবনাকে বিকশিত করার নামই হচ্ছে শিক্ষা৷ তারই মডেল স্বরূপ তিনি বেলুড় মঠে রা

যুক্ত রাষ্ট্রীয় কাঠামোকে মান্যতা দিয়ে ন্যায় ও সত্যের ভিত্তিতে দেশ শাসিত হোক

প্রভাত খাঁ

স্মরণে রাখা অত্যাবশ্যক তা হলো ধর্ম ও ধর্মমত এক নয়৷ তাই ভারত হলো প্রকৃত সনাতন ধর্মের দেশ৷ তাই ভারতের ঋষিগণ বলতেন, হে অমৃতেরসন্তানগণ- ভূমাকে লাভ করাই জীবনের লক্ষ্য৷ তাই মানুষের মধ্যে ভেদাভেদ নেই, সবাই এক পরমব্রহ্ম-এরই সন্তান৷ কিন্তু বৈচিত্র্যের মধ্যেই ঐক্য, তাই ভারত সব ধর্মমতকে  মান্যতা দিয়ে থাকে৷ তাই ভারতের সংবিধান ধর্মমত নিরপেক্ষ৷ কিন্তু দেশ ভাগ করে নেতারা মারাত্মক ক্ষতি করে গেছে মানুষের সেই ঐক্য ও সংহতিতেই আঘাত করে৷ ভারত যুক্তরাষ্ট্রে তাই মানবিক মূল্যবোধকে অগ্রাধিকার  দিতেই হবে৷ জাতি, ধর্মমত, বর্ণ নির্বিশেষে সবাই ভারতের সন্তান৷ এটা শাসকদের মনে প্রাণে মেনে নিয়েই দেশ শাসন করতে হবে৷ 

রবীন্দ্রনাথ, ঊনিশে মে ও বাংলাভাষা

সুকুমার সরকার

বঙ্গভঙ্গ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে ভীষণভাবে পীড়া দিয়েছিল৷ তাই বঙ্গভঙ্গের বিরুদ্ধে সকল বাঙালীকে একত্রিত করতে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর প্রচলন করেছিলেন ‘রাখি বন্ধন’ উৎসবের৷ যা আজও পালিত হয়ে থাকে৷ তবে কালক্রমে বঙ্গভঙ্গ কিন্তু হয়েই গেছে৷ সেই ভাঙ্গা বাংলার গানও লিখে গেছেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর৷

                ‘‘মমতাবিহীন কালস্রোতে

                বাংলার রাষ্ট্রসীমা হতে

                নির্বাসিতা তুমি

                সুন্দরী শ্রীভূমি–’’

আপ্তবাক্য

‘‘...ব্যষ্টিগত বা সমষ্টিগত ক্লেশের যেটা বস্তুতান্ত্রিক অংশ সেটা সামাজিক সুবিচার বা সমতার দ্বারা অনায়াসেই সমাধান করা যেতে পারে৷ এজন্যে অন্যের কৃতকর্মকে বা অন্যের দৈবকে ধিক্কার দেওয়া বৃথা৷  বস্তুত অন্যের ক্লেশ দেখে তার পূর্বকৃত কর্মের দোহাই-পাড়া কায়েমী স্বার্থের মনোভাব ছাড়া আর কিছুই নয়...৷’’

                                                  (কঃ প্রাঃ প্রথম খণ্ড)

                                                ---শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকার