ঘুর্ণী, মালদহ, শিয়ালদহ ও সল্টলেক–নামগুলি কেমন করে হ’ল

ৰাঙলার একটি ৰৃহৎ অংশ জলের দেশ৷ এই দেশের যে সমস্ত অঞ্চলে বড় বড় নদী বয়ে গেছে সে সমস্ত অঞ্চলে কোথাও কোথাও নদী বাঁক নিয়েছ

বাংলা বানান সংশোধন

অসংস্কৃতি– ‘সংস্কৃতি’র বিপরীত শব্দ ‘অপকৃতি’ চলতে পারে, তবে ‘অপসংস্কৃতি’ চলতে পারে না৷ কারণ ‘সংস্কৃতি’ (সম্–কৃ  ক্তিন্

রাষ্ট্রসঙ্ঘে স্বীকৃতি পেল বাংলা ভাষা

গত ১০ই জুন রাষ্ট্র সংঙ্ঘের ৭৬তম সাধারণ অধিবেশনে বহুভাষাবাদের পক্ষে অ্যান্ডোরা ও কলম্বিয়ার আনা প্রস্তাব গৃহীত হয়৷ গৃহী

নিজস্ব সংবাদদাতা

আনন্দমার্গ স্কুলের প্রাক্তন ছাত্রের যুগান্তকারী আবিষ্কার

পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার ছেলে সাবির হোসেন এক বিশেষ ধরণের পাউডার আবিষ্কার করেছেন যা ব্যবহারে খুবই অল্প সময়ের মধ্যে ক্ষতস্থানের রক্তপাত বন্ধ হয়ে যাবে৷ পি.এন.এ.

চরম অচলাবস্থার যুগে তারকব্রহ্মের আগমন ও লক্ষ্য সম্বন্ধে দু’চারকথা

প্রভাত খাঁ

প্রকৃত মানুষ হতে হলে দীক্ষা গুরু অত্যাবশ্যক যিনি আধ্যত্মিকতা লাভে শিক্ষা দান করেন৷ কথায় আছে সপ্ত পিতা ও পঞ্চমাতা৷ যার মাধ্যমে মানুষ আত্মিক উন্নতির পথ পায় ও সার্থক মানুষ হওয়ার সুযোগ পায়৷ নিজেকে জানাই হলো আসল আত্মজ্ঞান৷ তাই পরমাত্মা বাবা এসেছিলেন বিশ্ব জগৎ-এর গ্রহ গ্রহান্তরে ঘুরতে ঘুরতে এই পৃথিবীতে মানুষ ও অন্যান্য প্রাণী ও গাছপালা যাতে শান্তিতে ও আনন্দের মধ্যে বাস করতে পারে তারই পথের সন্ধান দিতে৷ তাই তাঁর আগমন স্বেচ্ছায়৷ এই কারণে তিনি তাঁর আনন্দমার্গ প্রচারক সংঘ প্রতিষ্ঠা করেন ১৯৫৫ সালে জানুয়ারী মাসের প্রথম দিকে৷ সেই সালের জানুয়ারী মাসের প্রথমদিকে সেই জামালপুরে যেখানে তিনি কর্মসূত্রে বাস করত

জাত পাত ও সাম্প্রদায়িক বিভেদ মানবধর্মের শিক্ষা নয়

প্রাউটিষ্ট

বর্তমানে ধর্মের নামে নানান ধরণের গোঁড়ামী, জাত–পাতের ভেদ ও সাম্প্রদায়িক বিভেদ ও বিদ্বেষ চলছে৷ এগুলিকে ধর্মের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ বলে বলা হচ্ছে৷ তা কিন্তু মোটেই ঠিক নয়৷

আবার সম্প্রতি সংবাদে প্রকাশ কোথাও কোথাও ধর্মের নামে শিশুবলি পর্যন্ত হচ্ছে কিন্তু এগুলির কোনটাই প্রকৃত ধর্ম নয়৷ কোনরকম যুক্তিহীন, অমানবিক কার্যকলাপের সঙ্গে ধর্মের কোনও সংযোগ থাকতে পারে না৷

সকল হিংসা-দ্বেষ ও ধর্মমত ভুলে এই মুহূর্তে দরকার ‘আমরা বাঙালী’ -- এই পরিচয়

সুকুমার সরকার

এই মুহূর্তে সমগ্র ভারতবর্ষে সবচেয়ে বেশি বিপদে আছে বাঙালি জাতি৷ বাঙালি জাতির ভাগ্যে এই বিপদের সূচনা হয়েছিল দেশভাগের অনেক আগে থেকেই৷ বিশ্ব উপনিবেশবাদী ইংরেজ জাতি ভারতবর্ষের মাটিতে পা রেখেই বুঝতে পেরেছিলেন বাঙালি জাতির শৌর্য-বীর্যের কথা৷ তাই তাঁরা সিপাহী বিদ্রোহ দমনের মধ্য দিয়ে মূলত বাঙালি জাতির দমন শুরু করেছিলেন৷ এবং ক্রমান্বয়ে বাঙলা ও বাঙালির দানা ছাটার কাজ শুরু করে দেন৷ তারই ফলশ্রুতিতে ১৮৮৭ খ্রিস্টাব্দে সুবা বাঙ্গালা ভেঙে বাঙলা, বিহার, উড়িষ্যা বিভক্ত করণ৷ ১৯০৫ খ্রিস্টাব্দে বঙ্গভঙ্গ করা৷ এবং ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দে দেশ ভাগ করে বাঙালিকে হীনবল দুর্বল করে দেওয়া৷ এ ইতিহাস আমরা সকলেই জানি৷ আর এই ইতিহাস

দেশ ও জনগণকে বাঁচাতে এই অরাজক দলতান্ত্রিক সরকারের পরিবর্তন জরুরী

প্রভাত খাঁ

দীর্ঘ ৭৮ বছর ধরে বিরাট দেশ এই যে ভারত যুক্তরাষ্ট্র একটা দেশ নয় নানা ভাষাভাষীর জনগোষ্ঠীর দেশের সম্মেলন যুক্তরাষ্ট্র৷ অর্থাৎ প্রতিটি রাষ্ট্রের স্বাধীনতা আছে তাই কেন্দ্রে দলতান্ত্রিক সরকার যার অর্থ দল এর মানেই হচ্ছে দলাদলি ও ঝগড়া পরস্পরের সঙ্গে যখন যেথায় যে দল শাসনে থেকে সুবিধা ভোগ করে তারা চায় না তার দল গদী হারাক! তারজন্য তাদের কথাবার্র্তটা এতই চড়া ও অহংকার প্রসূত হয় সেটা শাসকদের মুখের ভাষা শুনলেই বোঝা যায়৷ কারণ দেশের নাগরিক সবাই বোকা নয়!

শহীদ বিপ্লবী দীনেশ গুপ্ত

পত্রিকা প্রতিনিধি

৭ই জুলাই, ১৯৩১সাল৷ শেষ রাতের অন্ধকার ধীরে ধীরে সরে যাচ্ছে৷ আলিপুর সেন্ট্রাল জেলের বন্দিরা কেমন নিস্তব্ধ, নীরব৷ ম্লান মুখগুলো অব্যক্ত যন্ত্রণায় ভারাক্রান্ত৷ আর কিছুক্ষণ পরেই চিরদিনের মত চলে যাবে তাঁদের সহবন্দি বিপ্লবী দীনেশ গুপ্ত৷ পরাধীন দেশের বিদেশি সাম্রাজ্যবাদী শাসকের বিচারে তাঁর ফাঁসি৷ পরাধীন দেশের নাগরিকদের বিদেশি অত্যাচারী শাসকের বিরুদ্ধে মুখ খোলা নিষেধ৷ আর উনি মুখ খোলেননি, মহাকরণের অভ্যন্তরে গিয়ে বিদেশি শাসকের কোমর ভেঙে দিয়ে এসেছে৷ এইরকম বিপদজনক ছেলেকে বাঁচিয়ে রাখাও বিপদ৷ তাই বিচারের প্রহসনে ফাঁসির দন্ডই বরাদ্দ হয়েছে তার জন্য৷

সামাজিক অপরাধের দায় সাহিত্য সংস্কৃতির জগৎকেও নিতে হবে

আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত

কসবার ঘটনা নিয়ে শুধু শাসক পুলিশ প্রশাসনের দিকে আঙুল তুললে হবে না৷ যুব সমাজকে সঠিক পথের দিশা দেখানোর একটা দায় কবি সাহিত্যিক শিল্পীদেরও আছে৷ তারা কি সেই দায়ীত্ব পালন করছে!

গণ–র্থনীতিকে সার্থক করে তুলতে হবে সমবায়ের মাধ্যমে

প্রভাত খাঁ

ব্যষ্টি নিয়ন্ত্রিত ও রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত উৎপাদন ব্যবস্থাই অদ্যাবধি পৃথিবীর অর্থনৈতিক ব্যবস্থাকে ও মূলতঃ বন্টন ব্যবস্থাকে পরিচালিত করছে৷ এদের যথাক্রমে ধনতান্ত্রিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থা ও রাষ্ট্রনিয়ন্ত্রক সাম্যবাদী অর্থনৈতিক ব্যবস্থা বলা হয়৷

আজ এই দুটি উৎপাদন ও বন্টন ব্যবস্থাই শোষণের হাতিয়ার হিসাবে চিহ্ণিত হচ্ছে৷

সারা পৃথিবীতে চলছে চরম অর্থনৈতিক শোষণ৷ বর্ত্তমানে ধনতান্ত্রিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থাই সর্বত্র স্বনামে ও বেনামে কাজ করে চলেছে৷ এই দুই ক্ষেত্রেই শ্রমিক, বুদ্ধিজীবী নানাভাবে আর্থিক দিক থেকে শোষিত হচ্ছে৷

প্রাউট প্রসঙ্গে

প্রাউটিষ্ট

একটা মানুষ অন্যের মুখের গ্রাস কেড়ে নেবে, এটা তো উচিত নয়৷ সুতরাং মানুষ যাতে একটা বিধিসম্মতভাবে তার সমস্ত সম্পদ নিজেদের মধ্যে মিলে মিশে ভাগ করে কাজে লাগাতে পারে তার একটা ব্যবস্থা দরকার ছিল যা এর আগে কোন মহান পুরুষ করে নি৷... এই না করার জন্যে সমাজ জীবনে যে অনুপপত্তি থেকে গিয়েছিল, সেই অনুপপত্তির জন্যেই মানুষের যত দুঃখ কষ্ট ভোগ চলছিল৷...

সমাজ–সভ্যতা–সংস্কৃতির অবক্ষয়–শিক্ষার ত্রুটি

আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত

জাতিগঠনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হ’ল শিক্ষা৷ আজ যে সারা দেশ জুড়ে অসংখ্য আর্থিক দুর্নীতি, নারী–লাঞ্ছনা, পারিবারিক হিংসা ও হত্যা সহ অজস্র অপরাধের ঘটনা ঘটছে এ সবের পেছনে অন্যতম প্রধান কারণ হচ্ছে শিক্ষার ব্যবস্থার ত্রুটি৷ প্রতি বছর তো লক্ষ লক্ষ যুবক–যুবতী স্কুল কলেজের গণ্ডী পেরিয়ে কর্মক্ষেত্রে ঝাঁপিয়ে পড়ছে৷ এই স্কুল কলেজগুলিই প্রধানতঃ মানুষ তৈরীর কারখানা৷ মানুষের মধ্যে সদ্বৃত্তির মূল্যবোধের জাগরণের প্রাথমিক দায়িত্ব এই স্কুল–কলেজের৷ এই স্কুল কলেজের শিক্ষাব্যবস্থা বর্তমানে যে এই প্রাথমিক দায়িত্ব পালন করছে না–সে সম্পর্কে বোধহয় কেউই দ্বিমত হবেন না৷ মূল্যবোধভিত্তিক শিক্ষা বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থা

দীঘায় জগন্নাথ ধাম

সুভাষপ্রকাশ পাল

দীঘা রেলস্টেশন ও নবনির্মিত জগন্নাথ মন্দিরের মধ্যবর্তী স্থানে অবস্থিত দীঘা আনন্দমার্গ আশ্রম (মার্গগুরু বাসভবন), মার্গীয় বিভিন্ন কর্মসূত্রে আমাকে মাঝে মাঝেই দীঘা আশ্রমে আসতে হয়, এক বৎসরের অধিক সময় ধরে দেখছি জগন্নাথ মন্দির তৈরীর কাজ চলছে যা এখন জগন্নাথ ধাম এই নামে পরিচিত লাভ করছে, বাসরাস্তার পাশেই ইট, কাঠ, বালি, সিমেন্ট, পাথর ইত্যাদি যত্রতত্র ছড়ানো ছিটানো অবস্থায় থেকেছে, পাকা রাস্তা খোঁড়া হয়েছে, নূতন রাস্তাঘাট, পার্ক ইত্যাদি তৈরী হয়েছে৷ অবশেষে গত ৩০শে এপ্রিল,২০২৫ মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী ও অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে বহুচর্চিত জগন্নাথ মন্দিরের উদ্বোধন ঘটা করে অনুষ্ঠিত হল, সমুদ্র