June 2022

বধিরতার নিরাময়

লক্ষণ ঃ এই রোগে আক্রান্ত হবার প্রথমের দিকে রোগী কাণে ভোঁ–ভোঁ শব্দ শোণে ও ক্রমশঃ অনান্য সমস্ত শব্দই রোগীর কাছে অস্পষ্ট হয়ে যেতে থাকে৷

কারণ ঃ জন্মগত কারণ ব্যতিরেকে বধিরতা নিজে কোন রোগ নয়–অন্য রোগের প্রতিক্রিয়া মাত্র৷ তাই এ রোগের অজস্র কারণ থাকতে পারে৷

১) অতিরিক্ত কুইনাইন বা অন্য কোন বিষ ঔষধ রূপে দীর্ঘকাল ব্যবহার করলে শ্রবণশক্তি হ্রাসপ্রাপ্ত হয় বা স্তম্ভিত হয়ে যায়৷

২) পুষ্টিকর খাদ্যের অভাবে পৌঢ়ত্বে বা বার্দ্ধক্যে অনেক লোকের শ্রবণযন্ত্রের স্নায়ুপুঞ্জ দুর্বল হয়ে পড়ে ও তার ফলে বধিরতা দেখা দেয়৷

পাতিনেবুর উপকারিতা

নিজস্ব প্রতিনিধি
  •  দু’ চা চামচ নেবুর রস দু’ চা চামচ আদার রস মিশিয়ে তাতে একটু চিনি মিশিয়ে খেলে বদহজমজনিত সব রকমের পেট ব্যথা সারে৷
  • শোওয়ার সময় গরম জলে নেবুর রস খেলে সর্দি সারে৷ কিছুদিন ধরে এইভাবে খেলে পুরোনো সর্দিও সেরে যায়৷
  •  অল্প নেবুর রস মধুর সঙ্গে মিশিয়ে চেটে খেলে প্রবল কাসি সেরে যায়৷ হাঁপানির আক্রমণও তৎক্ষণাৎ থেমে যাওয়ায় আরাম পাওয়া যায়৷
  •  নেবুর রস আঙ্গুলে লাগিয়ে দাঁতের মাড়িতে মালিশ করলে দাঁত থেকে রক্ত পড়া বন্ধ হয়৷
  •  নেবুর রসে মধু মিশিয়ে বাচ্চাদের চাটিয়ে দিলে বাচ্চাদের দুধ তোলা বন্ধ হয়৷
  •   নেবুর রসে চিনি ও জল মিশিয়ে একমাস ধরে রাত্তিরে শোয়ার আগে খেলে বহু পুর

বেদব্যাস

‘কৃষ্ণ’ শব্দের একটি অর্থ হ’ল মহর্ষি বেদব্যাস৷ মহর্ষি বেদব্যাস প্রয়াগে গঙ্গা–যমুনার সঙ্গমস্থলের নিকটে যমুনা থেকে উত্থিত একটি কৃষ্ণ দ্বীপে জালিক–কৈবর্ত্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন৷ যমুনা নদীর নিকটস্থ মৃত্তিকা হ’ল কৃষ্ণ কর্পাস মৃত্তিকা (ব্ল্যাক কটন সয়েল)৷ এই জন্যে যমুনার জলকেও কালো রঙের বলে মনে হয়৷ যমুনার যে চরটিতে মহর্ষি ব্যাস জন্ম গ্রহণ করেন সেটিরও ছিল কৃষ্ণমৃত্তিকা৷ ভারতের ইতিহাসে ব্যাস নামে কয়েক জনই খ্যাতনামা পুরুষ জন্মগ্রহণ করেছিলেন (উত্তর মীমাংসার বাদরায়ণ ব্যাস)৷ তাঁদের থেকে পৃথক করার জন্যে এঁকে বলা হত কৃষ্ণদ্বৈপায়ণ ব্যাস অর্থাৎ কালো রঙের দ্বীপের অধিবাসী ব্যাস৷ এই কৃষ্ণদ্বৈপায়ণ ব্যাস মহাভার

হোগ্লা / বেরা / দিন্দা

দক্ষিণ বাংলায় প্রাচীনকালে হোগ্লা দিয়েই ম্যাড়াপ তৈরী করা হত৷ দক্ষিণ বাংলার নোনা জলে এককালে আপনা থেকেই প্রচুর হোগ্লা গাছ জন্মাত৷ ইংরেজরা যখন এদেশের দখল নিয়েছিলেন তখন দক্ষিণ বাংলায় বিশেষ করে খুলনা (তখন যশোরের অন্তর্গত ছিল), ২৪ পরগণা (তখন নদীয়ার অন্তর্ভুক্ত ছিল) ও মেদিনীপুর (তখন নাম ছিল হিজলী) হোগলা ও গোল গাছে ভর্ত্তি ছিল৷ ওই হোগ্লা ও গোলপাতা দিয়ে কেবল যে ম্যাড়াপ বা মণ্ডপ তৈরী হত তাই–ই নয়, দরিদ্র মানুষের ঘরও তৈরী হত৷ দক্ষিণ বাংলার নাবিকেরা যখন সমুদ্র যাত্রা করতেন তখন যেমন তাঁরা সঙ্গে করে জালা–ভর্ত্তি মিষ্টি জল নিয়ে যেতেন তেমনি নিয়ে যেতেন হোগলার স্তুপ যা শুধু নৌকোতেই নয় ভিন্ন দেশের, ভিন্ন মাটিতে

অভিলাষ

কৌশিক খাটুয়া

তোমার নামে তোমার গানে

রয়েছি বিভোর,

অন্ধকারের উৎস হতে সূর্য রাঙা ভোর৷

সকল জড়তা আবিলতা ফেলি

বরাভয়ে নির্ভয়,

মানব জীবন সার্থকতায় চিরন্তন এ সফর৷

 

বহুকাল ধরে অন্ধ বিবরে

ছিলুম মোহাচ্ছন্ন,

জড়-বন্ধনে সুখ-সন্ধানে

হতে চেয়েছিনু ধন্য৷

সমুখে দাঁড়ায় দু’হাত বাড়ায়ে কৃপা কর বিধাতা,

চিনিতে পারিনি বুঝিতে পারিনি

তুমিই পরিত্রাতা৷

 

ছিলুম অতলে সংস্কার বলে অহেতুকি কৃপা লভি,

চির সত্যের শ্বাশ্বতবাণী দেরি করে অনুভবি৷

কোথা থেকে আসি কোথা যেতে হবে

তোমার দেখানো পথে,

বৈশাখী পূর্ণিমা

সুকুমার রায়

বৈশাখী পূর্ণিমার এই পুণ্যদিনে

স্মরণ করিগো মোরা মনে প্রাণে

এসেছিলে প্রভু তুমি সকলের তরে

জীব উদ্ধারের লাগি নবরূপ ধরে৷

জন্ম জন্মান্তরের কোন পুণ্যফলে

পরম ভাগ্যবতি জননীর কোলে

শুভদিনে শুভক্ষণে ১৩২৮ সনে

তন্দ্রাহারা সবাই যবে বন্দিত ভূবনে৷

এসেছিল বৈশাখ রঞ্জিত সাজে

আকাশ বাতাস যেন নবীন রাগে

নিরন্তর চেয়েছিল ধরাবাসী মনে

বরণ করিতে তোমায় বিশ্বজনে৷

 

গণ্ডারের খড়গ বা শৃঙ্গ

প্রণবকান্তি দাশগুপ্ত

সংবাদে জানা গেছে, অসমের ওরাং জাতীয় উদ্যানে চোরা শিকারীরা অপ্রাপ্ত বয়স্ক একটি জীবিত গণ্ডারের খড়গ বা শৃঙ্গ কেটে নিয়েছে৷

প্রসঙ্গতঃ জানা দরকার, ‘‘প্রাচীন মানুষের ধারণা ছিল গণ্ডারের শৃঙ্খজাত ঔষধ মানুষকে পুনযেরৌবন দান করে৷ তাই লুকিয়ে চুরিয়ে গণ্ডার-হত্যার অপচেষ্টা সব যুগেই হয়েছে ও আজও হয়ে চলেছে৷... গণ্ডার শৃঙ্গের ঔষধীয় গুণ কোন প্রমাণিত সত্য বা তথ্য নয়৷ একটা ভুল ধারনার বশবর্ত্তী হয়ে একটা নিরীহ জীবকে নিঃশেষ করে দেওয়া বীভৎস ব্যাপার নয় কি৷’’ (শ্রী প্রভাতরঞ্জন সরকারের আমাদের প্রতিবেশী পশু ও পক্ষী’’)

 

হরিণ নয়, উট পাখি

প্রণবকান্তি দাশগুপ্ত

দলের  দুর্নীতি-পরায়ণ নেতাদের উদ্দেশে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সম্প্রতি বলেছেন, আত্মগোপন করে দুর্নীতি করা যায় না৷ এ প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, হরিণ যেমন মুখটা লুকিয়ে রেখে ভাবে আমার পেছনটা আর ফের দেখতে পাচ্ছে না, আমার শরীরটা কেউ দেখতে পারছে না, কিন্তু শরীরটা তো সবটাই বাইরে আছে, মুখটা তো শুধু ঢাকা আছে৷

চেন টানায় আক্‌লমন্দের বিপত্তি

‘ষম্‌’ ধাতুর একটি অর্থ হ’ল কোন একটি সত্তায় নিজেকে মিশিয়ে দেওয়া অথবা নিজের মধ্যে কোন একটি সত্তাকে মিশিয়ে নেওয়া৷ অনেকের মধ্যে থেকে যে নিজেকে ধীরে ধীরে অনেকের মধ্যে মিশিয়ে নেওয়া৷ অনেকের মধ্যে থেকে যে নিজেকে ধীরে ধীরে অনেকের মধ্যে মিশিয়ে দিতে থাকে ও অনেকের মধ্যে নিজের বৈশিষ্ট্য প্রতিষ্ঠা করতে থাকে তাকে আমরা ৰাংলায় ৰলি ‘সেরা’৷ এই ‘ষম্‌’ (গুপ্ত যুগ থেকে  ‘সম্‌’ ৰানান চলে আসছে) ধাতু  ‘ড’ প্রত্যয় করে যে ‘ষ’ শব্দ পাচ্ছি তার একটি অর্থ প্রশংসার্থেই চলৰে--- নিন্দার্থে চলৰে না৷ তার মানে খারাপ হিসেৰে সবাইকে যে টেক্কা দিচ্ছে তার জন্যে ‘ষ’ শব্দটি ব্যবহার করা চলৰে না৷ এই ‘ষ’ শব্দটি স্ত্রীলিঙ্গবাচক৷

প্রাউটের দৃষ্টিকোন থেকে বাঙলায় শোষণের স্বরূপসাম্রাজ্যবাদী শোষণ

এরপরে সাম্রাজ্যবাদী শোষণ৷ সাম্রাজ্যবাদী শোষণের ক্ষেত্রে শোষকরা রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতাকে পরিপূর্ণভাবে অর্থনৈতিক শোষণের কাজে লাগায়৷ প্রকৃতপক্ষে ৰাঙলার ওপর সাম্রাজ্যবাদী শোষণের যুগ শুরু হয়েছে মুঘল সম্রাট আকবরের যুগ থেকে৷ ‘আইন–ই আকবরী’তে উল্লেখ আছে ৰাঙলাকে মুঘল বাহিনীতে ২৩,৩০১ সংখ্যক অশ্বারোহী, ৮,০১,১৫৯ সংখ্যক পদাতিক, ৪৪০০ সংখ্যক নৌকা, ৪২৬০টি কামান ও ১০৮টি হাতি জোগান দিতে হত৷ যুদ্ধে যে ক্ষয়ক্ষতি হত তা ৰাঙলাকে পূরণ করতে হত৷ বিশাল মুঘল বাহিনীকে রসদ যোগাত ৰাঙলা৷ যুদ্ধের ব্যয়–ভারের একটা বিপুল অংশ ৰাঙলার ঘাড়ে চাপানো থাকত৷ দাক্ষিণাত্যে আওরঙ্গজেবের মারাঠা দমনে