রাষ্ট্রসঙ্ঘে স্বীকৃতি পেল বাংলা ভাষা

গত ১০ই জুন রাষ্ট্র সংঙ্ঘের ৭৬তম সাধারণ অধিবেশনে বহুভাষাবাদের পক্ষে অ্যান্ডোরা ও কলম্বিয়ার আনা প্রস্তাব গৃহীত হয়৷ গৃহী

নিজস্ব সংবাদদাতা

আনন্দমার্গ স্কুলের প্রাক্তন ছাত্রের যুগান্তকারী আবিষ্কার

পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার ছেলে সাবির হোসেন এক বিশেষ ধরণের পাউডার আবিষ্কার করেছেন যা ব্যবহারে খুবই অল্প সময়ের মধ্যে ক্ষতস্থানের রক্তপাত বন্ধ হয়ে যাবে৷ পি.এন.এ.

সুপ্রিম কোর্টে সাতে নেই বাংলা প্রতিবাদে সরব ‘আমরা বাঙালী’

সুপ্রিম কোর্ট তার রায় প্রকাশের মাধ্যম হিসাবে হিন্দী, ইংরাজীর সাথে আরও পাঁচটি ভাষাকে বেছে নিয়েছে৷ তার মধ্যে উড়িয়া, অসমিয়া থাকলেও বাংলা ভাষার স্থান হয়নি নিজস্ব সংবাদদাতা

বিশ্ব পরিবেশ দিবসে আবেদন

‘‘মানুষ যেন মানুষের তরে সবকিছু করে যায়৷

               একথাও যেন মনে রাখে পশুপাখী তার পর নয়

নিজস্ব সংবাদদাতা

অর্থনীতির বেহাল দশা---সঙ্কটে নাকাল কেন্দ্র

পথিকবর

উগ্র জাতীয়তাবাদকে হাতিয়ার করে নির্বাচনী বৈতরণী পার হয়েছে দ্বিতীয় মোদি সরকার৷ স্বদেশীয়ানায় এতটাই উন্মত্ত ছিল যে কোনোরকম বিরুদ্ধ সমালোচনা হলেই তাকে দেশদ্রোহী আখ্যা দেওয়া হয়েছে৷ কোনো বিরোধী নেতা-নেত্রীকেই রেহাই দেওয়া হয়নি৷

উগ্রজাতীয়তাবাদ যেমন সংসদীয় রাজনীতিতে জয়ের হাতিয়ার তেমনি  ফ্যাসিষ্ট পঁুজিপতিদেরও শোষণের যন্ত্র এই উগ্র জাতীয়তাবাদ৷ কিন্তু জনগণকে ভাত কাপড়ের যোগান দিতে একেবারেই অকর্মন্য৷

রাষ্ট্রায়াত্ত মূল কারখানা গুলিকে বিলগ্ণীকরণ করাটা  উন্নয়ণশীল গণতান্ত্রিক দেশে মারাত্মক ক্ষতিকারক

প্রভাত খাঁ

বর্তমানে যে প্রশ্ণটা সর্বাগ্রে সাধারণ জনগণের  দৃষ্টিগোচর হচ্ছে সেটা হলো এদেশের দলীয় শাসকগণ ‘‘গণতন্ত্র’’ শব্দটির কী সত্যই অর্থ আত্মস্থ  করতে পেরেছেন? গণতন্ত্রের মানে তাঁরা বোঝেননি৷ তাই দীর্ঘ ৭২ বছরের শাসনে সবচেয়ে বেশী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন ও হচ্ছেন হতভাগ্য জনগণই৷ আর রাজনৈতিক দলের নেতারা সব কিছুতে জল ঘোলা করে নিছক সেই ঘোলা জলে  নিজেদের দলীয় স্বার্থকেই রক্ষা করতে বদ্ধপরিকর৷

সবার উপরে মানুষ সত্য

জ্যোতিবিকাশ সিন্হা

মানুষ সামাজিক জীব, তাই সমাজের সকলের সঙ্গে মিলেমিশে আনন্দ-বেদনা ভাগ করে নিয়ে একসাথে চলায় প্রয়াসী৷ জীবনের চলার পথে এই স্বাভাবিক ছন্দটা যখন বিঘ্নিত হয় অথবা কোন ঘটনা আমাদের সমাজ-ভাবনার শিকড়টা ধরে ঝাঁকিয়ে দেয়---তখনই আমাদের মনে ও সমাজ জীবনে  এর বিরূপ প্রভাব পড়ে৷ এইরকমই একটি ঘটনার ভিডিও কয়েকদিন আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে ও জনসমক্ষে এসেছে৷ ভিডিওতে দেখা যায়, ফুল দিয়ে সাজানো একটি মৃত দেহ দড়ি বেঁধে নদীর ওপরের সেতু থেকে নীচে নামিয়ে দিচ্ছেন কয়েকজন মানুষ ও পরে নদীর ধারে সেই মৃত দেহের সৎকার করা হয়৷ ঘটনাটি ঘটে গত ১৭ই আগষ্ট শনিবার৷ সেইদিন তামিলনাড়ুর ভেলোর জেলার বানিয়ামবাড়ি অঞ্চলে স্থানীয় নারায়ণপূরম দল

আজ এই যুগসন্ধিক্ষণে আমাদের কর্তব্য

আচার্য সত্যশিবানন্দ অবধূ্ত

বর্তমান যুগে কি সামাজিক, কি অর্থনৈতিক, কি রাজনৈতিক, কি সাংসৃক্তিক, কি মানসাধ্যাত্মিক – সর্বক্ষেত্রেই দেখা দিয়েছে দারুণ বিপর্যয়৷ সবাইকে সঙ্গে নিয়ে এক সঙ্গে এগিয়ে চলার নাম সমাজ৷ (সমানম্ এজতি ইতি সমাজঃ)৷ কিন্তু  আজ এই সহযোগিতার ভাব, এই সহমর্মিতার ভাবের সম্পূর্ণ অভাব৷ আজ জাত–পাত–সম্প্রদায় প্রভৃতি নানান সংকীর্ণতা, পারস্পরিক বিদ্বেষ, অসহিষ্ণুতা, পারস্পরিক লড়াই মানব সমাজকে ধ্বংসের অতল গহ্বরের সামনে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে৷ অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে মুষ্টিমেয় মানুষের বিপুল ঐশ্বর্য ও চরম বিলাসিতার পাশাপাশি বিরাজ করছে চরম অভাব–দারিদ্র্য, যদিও বিশ্বের সমস্ত সম্পদের প্রকৃত মালিক বিশ্বস্রষ্টা, আর বিশ্বের সবাই তাঁরই

দেশকে সাম্প্রদায়িক দলবাজী থেকে বাঁচাতে আজ সৎ নীতিবাদী তরুণ-তরুণীদের সমাজ সেবায় এগিয়ে আসতেই হবে

প্রভাত খাঁ

ভারতবর্ষের বুকে সাম্প্রদায়িকতাকে উষ্কে দিয়ে দেশভাগের মানসিকতাকে হাতিয়ার করেই ১৯৪৭ সালে ইংরেজ সরকার নিছক রাজনৈতিক স্বাধীনতা দিয়ে যায় দেশকে৷ তারপর যা ঘটে চলেছে তার করুণ ইতিবৃত্তের সাক্ষী দেশবাসী! সেই কুফলের জ্বলন্ত নিদর্শন হলো ৩৭০ ধারার বিলুপ্তি৷ এতো বছর লেগে  গেল হতভাগ্য দেশের৷ সেদিন  বেশ কিছু রাজনৈতিক দল নিছক দলীয়  স্বার্থে এই দেশভাগকে সমর্থন করে৷ তারও পরিণতি দেখেছে  দেশবাসী৷

নেতাজীর সমন্বয়বাদ ও প্রাউটের সংশ্লেষণাত্মক মানবতাবাদ

আচার্য সত্যশিবানন্দ অবধূত

নেতাজীর চিন্তাধারার মূল কথা হ’ল–সমন্বয়বাদ৷ তিনি বলেছেন, ‘‘That synthesis is called by the writer samyavad—the Indian word, which means literally—the Doctrine of Synthesis or equality’’—(Indian Struggle by Netaji).

স্বাধীনতার ৭২ বছর পরেও দেশবাসীর নূ্যনতম প্রয়োজনপূর্ত্তির নিশ্চিততা অধরা একমাত্র সমাধান প্রাউট

জ্যোতিবিকাশ সিন্হা

‘‘মুক্তির মন্দির সোপানতলে

কত প্রাণ হ’ল বলিদান,

লেখা আছে অশ্রুজলে’’

কত প্রাণ হ’ল বলিদান,

লেখা আছে অশ্রুজলে’’

জয় করে তবু ভয় কেন তোর যায়না

আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত

স্বাধীনতার পর ৭৩ বছর অতিক্রান্ত৷ কিন্তু আজও দেশীয় ফ্যাসিষ্ট পুঁজিপতি ও তাদের পোষ্য রাজনৈতিক নেতাদের নেতাজী আতঙ্ক তাড়া করে বেড়াচ্ছে৷ একটা কথা পরিস্কার---১৯৪৫ সালের ১৮ই আগষ্ট তাইহোকু বিমানবন্দরে কোনও বিমান দুর্ঘটনা ঘটেনি৷ সুতরাং ওই দিন বিমান দুর্ঘটনায় নেতাজীর মৃত্যু একটি আষাঢ়ে গল্প মাত্র৷ তাইওয়ান সরকারও নেতাজীর অন্তর্ধান রহস্য উদ্ঘাটনে গঠিত মুখার্জী তদন্ত কমিশনের কাছে জানিয়েছেন ওই দিন তাইহোকুতে কোনও বিমান দুর্ঘটনাই ঘটেনি৷ ভারত সরকারের হাতে আজ পর্যন্ত এমন কোন তথ্য প্রমাণ নেই যে তাইহোকু বিমান দুর্ঘটনায় নেতাজী মারা গেছেন৷

স্বাধীনতার ৭২ বছরে অর্থনৈতিক শোষণ গণতন্ত্রকে প্রহসনে পরিণত করেছে

মনোজ দেব

ভারতের সামাজিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থা পুঁজিতান্ত্রিক৷ প্রশাসন ব্যবস্থা গণতান্ত্রিক৷ মিশ্র অর্থনীতির এ এক ‘সোনার পাথরবাটি’৷ ভারতবর্ষকে বিশ্বের বৃহত্তম গতণন্ত্র বলে বড়াই করা হয়৷ কিন্তু স্বাধীনতার ৭২ বছর  পর দেশের চেহারা দেখলেই বোঝা যায় গণতন্ত্র এখানে এক বিরাট ভাঁওতা৷ গণতন্ত্র সম্পর্কে বলা হয়ে থাকে জনগণের দ্বারা, জনগণের জন্যে, জনগণের সরকার৷ কিন্তু পুঁজিতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থায় ভারতের গণতন্ত্রকে বলা যায়---বৈশ্যদের দ্বারা, বৈশ্যদের জন্যে, বৈশ্যের সরকার৷ জনগণ এখানে ভোট দেবার যন্ত্র মাত্র৷ রাজনৈতিক দল, আমলাতন্ত্র, প্রচারমাধ্যম, শিক্ষা-সংসৃকতি, পুলিশ-প্রশাসন এমনকি খেলার মাঠও বৈশ্য শোষকের কালো হাতের নিয়