রাষ্ট্রসঙ্ঘে স্বীকৃতি পেল বাংলা ভাষা

গত ১০ই জুন রাষ্ট্র সংঙ্ঘের ৭৬তম সাধারণ অধিবেশনে বহুভাষাবাদের পক্ষে অ্যান্ডোরা ও কলম্বিয়ার আনা প্রস্তাব গৃহীত হয়৷ গৃহী

নিজস্ব সংবাদদাতা

আনন্দমার্গ স্কুলের প্রাক্তন ছাত্রের যুগান্তকারী আবিষ্কার

পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার ছেলে সাবির হোসেন এক বিশেষ ধরণের পাউডার আবিষ্কার করেছেন যা ব্যবহারে খুবই অল্প সময়ের মধ্যে ক্ষতস্থানের রক্তপাত বন্ধ হয়ে যাবে৷ পি.এন.এ.

সুপ্রিম কোর্টে সাতে নেই বাংলা প্রতিবাদে সরব ‘আমরা বাঙালী’

সুপ্রিম কোর্ট তার রায় প্রকাশের মাধ্যম হিসাবে হিন্দী, ইংরাজীর সাথে আরও পাঁচটি ভাষাকে বেছে নিয়েছে৷ তার মধ্যে উড়িয়া, অসমিয়া থাকলেও বাংলা ভাষার স্থান হয়নি নিজস্ব সংবাদদাতা

বিশ্ব পরিবেশ দিবসে আবেদন

‘‘মানুষ যেন মানুষের তরে সবকিছু করে যায়৷

               একথাও যেন মনে রাখে পশুপাখী তার পর নয়

নিজস্ব সংবাদদাতা

প্রভাতসঙ্গীতের ৩৭ বর্ষ পূর্ত্তি প্রসঙ্গে

দাদাঠাকুর

আজ থেকে ৩৬ বছর আগে ১৯৮২ সালের ১৪ই সেপ্ঢেম্বর দেওঘরে শান্ত স্নিগ্ধ পরিবেশে আমাদের পরমশ্রদ্ধেয় বাবা মার্গগুরু শ্রীশ্রীআনন্দমূর্র্ত্তিজ্ প্রভাত সঙ্গীত রচনা শুরু করেন৷ এর আগে কেউ জানতই না যে তিনি সঙ্গীতের সুর, লয়, তাল প্রভৃতি সম্পর্কে সব কিছুই জানেন৷ তিনি কারও কাছ থেকে এই সব শেখেননিও৷ কিন্তু হঠাৎ সবাইকে অবাক করে দিয়ে তিনি সঙ্গীত রচনা শুরু করে দিলেন৷ তাতে সুরও দিলেন তিনি নিজে৷ এই সুর দিয়ে আমাদের দিয়ে গান গাওয়ালেনও৷ বলা বাহুল্য, আমিও সেদিন ওখানেই ছিলুম৷ আমরা আমাদের পরমপ্রিয় বাবার রচিত সঙ্গীত তাঁর সুরেই সমবেত কণ্ঠে গাইছিলুম–

বন্ধু হে নিয়ে চলো, আলোর ওই ঝর্ণাধারার পানে৷৷

প্রভাত  সঙ্গীত ও শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তি

শ্রীজ্যোতির্ময় পাহাড়ী

(পূর্ব প্রকাশিতের পর)

‘দেওঘরের’ আধ্যাত্মিক পরিমণ্ডলে নিম্নের জ্যোতিগীতি দিয়ে প্রভাতসঙ্গীতের  শুভারম্ভ হল,

বন্ধু হে, নিয়ে চলো,

আলোর ওই ঝর্ণাধারার পানে৷৷

আঁধারের ব্যথা আর সয় না প্রাণে৷৷

ঘুমের ঘোর ভাঙ্গানোর গানে গানে৷৷ 

ভারত তথা সমগ্র বিশ্ব আজ ভয়ঙ্কর সংকটের সম্মুখীন একে বাঁচাতে ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টার প্রয়োজন

প্রভাত খাঁ

বর্তমান পৃথিবী এক ভয়ংঙ্কর  অনিশ্চিতের মধ্য দিয়ে এগুচ্ছে৷ সারা পৃথিবী আজ প্রাণদায়ী পানীয় জল, খাদ্য, জ্বালানীর সংকটের মধ্য দিয়ে শুধু এগুচ্ছে তা কিন্তু নয়, সারা পৃথিবীর তাপমাত্রা বাড়ছে৷ বর্তমান ভূমণ্ডলের জল ও স্থলের পরিবর্ত্তন  ঘটতে পারে৷ নিম্ন এলাকাগুলি ডুবে যেতে পারে৷  মানুষের, গাছপালা জীবজন্তুর জীবনে আসতে পারে মারাত্মকভাবে  অস্তিত্ব রক্ষার প্রশ্ণ৷

বিদ্যাসাগরের জন্ম-দ্বিশতবর্ষে বাংলা ও বাঙালীর কথকতা

বীরেশ্বর মাইতি

আজ যদি বিদ্যাসাগর বেঁচে থাকতেন তাহলে তাঁর বয়স হ’ত ২০০ বছর৷ এখন সেপ্ঢেম্বর মাস৷ বিদ্যাসাগরের জন্ম মাস৷ আমরা বঙ্গবাসীরা উঠে পড়ে লেগেছি বিদ্যাসাগরের জন্ম-দ্বিশতবর্ষ উদ্যাপনে৷ ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকার একটি কমিটি গঠন করে বর্ষব্যাপী নানান অনুষ্ঠানের পরিকল্পনা করেছেন৷ গ্রাম থেকে মফঃস্বল, শহর এমনকি মহানগর সর্বত্রই বিদ্যাসাগর বন্দনা চলছে৷ পাঠশালা থেকে বিশ্ববিদ্যালয় কোথাও বাকী নেই বিদ্যাসাগর বিষয়ক আলাপ আলোচনা, তর্ক-বিতর্কের৷

প্রভাত সঙ্গীত--- নবজাগরণের সঙ্গীত

আচার্য সত্যশিবানন্দ অবধূ্ত

পূর্ব প্রকাশিতের পর

ঊনপঞ্চাশ সংখ্যক প্রভাত সঙ্গীত ঘিরে রয়েছে সেই আলোর পথে যাত্রারই সুষ্পষ্ট ও উদাত্ত আহ্বান---

‘ডাক দিয়ে যাই যাই যাই,

আমি ডাক দিয়ে যাই যাই যাই

আলোকের পথ ধরে যারা যেতে চায়

               তাহাদের চিনে নিতে চাই৷৷’

৪৬৯৯ সংখ্যক প্রভাত সঙ্গীত রয়েছে---

‘‘তমসার পরে আশার আলো

পূবাকাশে রঙ এনেছে

‘আর ঘুমায়ো না’ ভুলোক দূ্যলোকে

মানবতা ডেকে চলেছে৷’’

৪৬ নম্বর সঙ্গীতে সঙ্গীতকার নিপীড়িত শোষিত মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে বলেছেন---

‘‘এরা কান্নায় ভাঙ্গা, রুধিরেতে রাঙ্গা

হতাশায় ভাঙ্গা সবহারা

বন্ধু হে, নিয়ে চলো.......

জ্যোতিবিকাশ সিন্হা

বর্তমান পৃথিবীর এক সংকটময় মুহূর্ত্তে মানব সভ্যতা যখন ক্রমশঃ মর্র্মন্তিক পরিণতির দিকে এগিয়ে চলেছে, চতুর্দিকে অস্ত্রের ঝনঝনি, রাসায়নিক-পারমানবিক অস্ত্রের বিষবাষ্প, মানুষের লোভ, অহংকার ও বর্বরতা বিশ্বপিতার সুন্দর সৃষ্টি পৃথিবীর সর্বনাশে উদ্যত--- এই যুগসন্ধিক্ষণে আবির্ভূত মহান দার্শনিক শ্রী প্রভাতরঞ্জন সরকার মানব সমাজের কল্যাণে প্রদান করলেন যুগান্তকারী ‘‘প্রভাত সংগীত’’ যার প্রথম গানটি রচিত হল ১৯৮২ সালের ১৪ই সেপ্ঢেম্বর দেওঘরের মনোরম প্রাকৃতিক ও আধ্যাত্মিক পরিমন্ডলে ঃ

 ‘‘বন্ধু হে নিয়ে চলো,

আলোর ওই ঝর্ণাধারার পানে৷৷

আঁধারের ব্যথা আর সয় না প্রাণে৷৷

প্রভাত  সঙ্গীত ও শ্রীশ্রী আনন্দমূর্ত্তি

শ্রীজ্যোতির্ময় পাহাড়ী

বিবর্তনের ধারা পথ বেয়ে উদ্ভিদ, পশু-পাখীর স্তর অতিক্রম করে পশু-মানব আজকের আধুনিক মানবে পরিণত হয়েছে, পশুমানবরূপে বনে জঙ্গলে বিচরণ  করার সময় পাশবিক বৃত্তির দেহসবর্বস্বতাই ছিল তার চরিত্রের প্রধান বৈশিষ্ট্য৷ তবে সৃষ্টিকর্তা মানুষকে ‘মন’ দিয়েছিলেন যা পশু-পাখীকে প্রদান করেননি৷ কালক্রমে মানুষের শরীরেরও মনের পরিবর্তন হয়েছে৷ ধীরে ধীরে তার বুদ্ধির  বিকাশ ঘটেছে  বিবেকবোধ  জাগ্রত হয়েছে ও ভালমন্দ বিচার  করতে শিখেছে৷ তবুও আজকের মানুষের  মধ্যে জন্মজন্মান্তরের  পশুজীবনের সংস্কার ও অভ্যাস সুপ্ত অবস্থায় বিরাজ করছে৷ অপরদিকে জীবাত্মা যেহেতু পরমাত্মার অংশবিশেষ সেই কারণে মানুষের মধ্যে দেব সুলভ গুণাবলী পরিলক্ষিত হ

এন আর সি--- রাষ্ট্রের মানবিক হওয়া উচিত

প্রভাত খাঁ

গত ১৯৭১ সালের ২৪শে মার্চের  আগে অসমে যাঁরা ভারতীয়  ছিলেন সেই ৩কোটি  ৩০ লক্ষ মানুষকে প্রমান দিতে হয়েছে৷ এই এন.আর.সি খসড়ায় ৪১ লক্ষ মানুষ  বাদ গেছে৷  গত ৩১ শে আগষ্ট তাঁদের  তালিকা  প্রকাশিত হয়েছে৷ এতে সারা অসমে  জনগণের  মধ্যে এক চরম আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে৷ চুড়ান্ত তালিকায় যাদের  নাম বাদ যাবে ---কেন্দ্রীয়  স্বরাষ্ট্র দফতর গত ২০শে আগষ্ট এক বিজ্ঞপ্তিতে ট্রাইব্যুনালে আবেদন করার মেয়াদ ১২০ দিন বাড়িয়েছে৷ জানানো হয়েছে এন.আর.সিতে নাম না থাকলেই তারা বিদেশী নয়, এই বিজ্ঞপ্তিতে অবশ্য মানুষের আতঙ্ক সামান্য পরিমাণেও কাটেনি৷ ২০১৮ সালের জুলাই মাসে  প্রকাশিত খসড়ার পরিপ্রেক্ষিতে অসমের রাজনৈতিক দলগুলির আশঙ্কা ছিল যে

প্রভাত সঙ্গীত---সাংস্কৃতিক বিপ্লবের অগ্রদূত

আচার্য সত্যশিবানন্দ অবধূ্ত

আজকে সারা দেশজুড়ে, শুধু দেশ নয়, সমগ্র মানবসমাজ জুড়েই দেখা দিয়েছে এক ভয়ঙ্কর সাংস্কৃতিক অবক্ষয়৷ সংস্কৃতি কী?