রাষ্ট্রসঙ্ঘে স্বীকৃতি পেল বাংলা ভাষা

গত ১০ই জুন রাষ্ট্র সংঙ্ঘের ৭৬তম সাধারণ অধিবেশনে বহুভাষাবাদের পক্ষে অ্যান্ডোরা ও কলম্বিয়ার আনা প্রস্তাব গৃহীত হয়৷ গৃহী

নিজস্ব সংবাদদাতা

আনন্দমার্গ স্কুলের প্রাক্তন ছাত্রের যুগান্তকারী আবিষ্কার

পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার ছেলে সাবির হোসেন এক বিশেষ ধরণের পাউডার আবিষ্কার করেছেন যা ব্যবহারে খুবই অল্প সময়ের মধ্যে ক্ষতস্থানের রক্তপাত বন্ধ হয়ে যাবে৷ পি.এন.এ.

সুপ্রিম কোর্টে সাতে নেই বাংলা প্রতিবাদে সরব ‘আমরা বাঙালী’

সুপ্রিম কোর্ট তার রায় প্রকাশের মাধ্যম হিসাবে হিন্দী, ইংরাজীর সাথে আরও পাঁচটি ভাষাকে বেছে নিয়েছে৷ তার মধ্যে উড়িয়া, অসমিয়া থাকলেও বাংলা ভাষার স্থান হয়নি নিজস্ব সংবাদদাতা

বিশ্ব পরিবেশ দিবসে আবেদন

‘‘মানুষ যেন মানুষের তরে সবকিছু করে যায়৷

               একথাও যেন মনে রাখে পশুপাখী তার পর নয়

নিজস্ব সংবাদদাতা

সময়োচিত কিছু কথা

বিশ্বদেব মুখোপাধ্যায়

পণ্ডিত ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর মহাশয় আজ থেকে বহু বছর (১৮৬৫সালে)আগেই বর্ণপরিচয়, ২য়খণ্ড বইতে প্রথম পাঠের প্রথমেই কুবাক্য (কুকথা) প্রসঙ্গে লিখেছেন--- ‘‘কখনও কাহাকেও কুবাক্য কহিও না৷ কুবাক্য কহা বড় দোষ৷ যে কুবাক্য কহে কেহ তাহাকে দেখিতে পারে না৷ কুবাক্যই কুকথা৷ বিদ্যাসাগর মহাশয়ের বর্ণপরিচয় পড়েননি এমন বাঙালী হয়তো হাতে গোনা পাওয়া যাবে৷ তিনি বাংলা ভাষা শিক্ষার সঙ্গে সঙ্গে ছোটোদের মধ্যে নীতি শিক্ষা দেবার জন্যই এই ধরনের বাক্যগুলি বর্ণপরিচয়ে লিখে গেছেন৷ অনেকে এই শিক্ষাকে হৃদয় দিয়ে গ্রহণ করেছেন, আবার কেউ কেউ কেবল পড়ার জন্যই শুধু পড়ে গেছে৷ জীবনে এই শিক্ষাকে গ্রহণ করার প্রয়োজন বোধ করে নি৷ বাঙলায় রাজনীতির

প্রগতিশীল তত্ত্ব অনুসারে কৃষি সমস্যার সমাধান করতে হবে

আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত

স্বাধীনতার পর ৭৩ বছর কেটে গেল৷ একটা দেশের পক্ষে সাবালোক হওয়ার জন্য ৭৩টা বছর অনেক বেশী৷ কিন্তু ভারত সামাজিক, অর্থনৈতিক রাজনৈতিক সবদিকেই এখনও নাবালোক--- হামাগুড়ি দিচ্ছে, সামাজিক ভেদ-বিদ্বেষ, অর্থনৈতিক বৈষম্য, রাজনৈতিক সংঘাত দেশকে অধঃপতনের শেষ সীমায় নিয়ে যাচ্ছে ৷ স্বাধীনতার পর থেকে আজ পর্যন্ত কোন সরকারই সামাজিক শান্তি ও একতা রক্ষা করতে ও অর্থনৈতিক বৈষম্য দূর করতে কোন বলিষ্ঠ নীতি গ্রহণ করতে পারে নি৷ আসলে পুঁজিপতিদের অর্থেপুষ্ট রাজনৈতিক দলগুলো যে যখন ক্ষমতায় এসেছে সে তখন পুঁজিপতিদের তুষ্ট করেছে আর নিজের মতো করে  তুঘলকি শাসন চালিয়ে গেছে৷ সামাজিক, অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ধর্ম-সাহিত্য- সংসৃকতি-ভাষানীতি

স্মৃতির অন্তরালে কবি মানকুমারী বসু

কণিকা দেবনাথ

বর্তমান বাংলাদেশের, অবিভক্ত বাঙলার যশোর জেলার সাগরদাঁড়ি গ্রামে দত্ত পরিবারে কবি মান কুমারী বসুর জন্ম ১৮৬৩ সালের ২৫শে জানুয়ারী৷ পিতা আনন্দমোহন দত্ত মাতা শান্তমণি দেবী৷ এই দত্ত পরিবারের সন্তান ছিলেন বাংলা সাহিত্য জগতের আর এক  দিকপাল মাইকেল মধুসূদন দত্ত৷ তৎকালীন সমাজের বাল্যবিবাহ প্রথার  বলি মানকুমারী বসুর বিবাহ হয় মাত্র ১০ বৎসর বয়সে ১৮৭৩ সালে ডাক্তারি পাঠরত খুলনার বিধু-শঙ্কর বসুর সাথে৷ কিন্তু তাঁহার দাম্পত্য জীবন স্থায়ী হয়েছিল মাত্র নয় বছর৷ ১৮৮২ সালে স্ত্রী ও এক কন্যা রেখে বিধূশঙ্কর পরলোক গমন করেন৷ মাত্র ১৯ বৎসর বয়সে মানকুমারী বসু বিধবা হন৷

পুরুলিয়া জেলার জন্ম কথা

পথিক বর

লর্ডকার্জনের বঙ্গভঙ্গের বিরুদ্ধে আন্দোলন ইতিহাসে স্থান পেয়েছে৷ কিন্তু এই বঙ্গভঙ্গকে কেন্দ্র করেই আর একটা আন্দোলনের জন্ম হয়েছিল, যে আন্দোলন চলেছিল দীর্ঘ ৪৪ বছর৷ ১৯১১ সালে ব্রিটিশ শাসক বঙ্গ-ভঙ্গ রোধ করতে বাধ্য হলো৷ কিন্তু চতুর ব্রিটিশ ও কংগ্রেসের হিন্দী লবির চক্রান্তে বাঙালীর বিরুদ্ধে নূতন এক ষড়যন্ত্র শুরু হয়৷ চতুর ব্রিটিশ বাংলা ভাষী অঞ্চল মানভূম সিংহভূম ধলভূম প্রভৃতি বিস্তীর্ন অঞ্চল বিহার ও উড়িষ্যার সঙ্গে যুক্ত করে দেয়৷ ১৯১২ সালে ওই অঞ্চলের বাঙালী জনগোষ্ঠী মূল বাঙলার সঙ্গে যুক্ত  হবার আন্দোলন শুরু করেন৷ সেই সময় কংগ্রেস  অধিবেশনে বাঙলার নেতারা মানভূম প্রসঙ্গ তুললে তৎকালীন কংগ্রেস নেতারা  প্রত

মনের বিকাশ

সত্যসন্ধ্য দেব

স্বামী বিবেকানন্দ বলেছেন–‘‘মানুষের মধ্যে রয়েছে দেবত্বের বীজ, তাই মানুষের জীবনের লক্ষ্য হ’ল বহিঃপ্রকৃতি ও অনন্তঃপ্রকৃতির সঙ্গে সংগ্রমের মাধ্যমে সে অন্তর্নিহিত দেবত্বকে প্রকাশিত করা৷’’

সত্য চিরকালই সত্য

প্রভাত খাঁ

মহাকাব্য বলে তাঁকেই  যেটি কোন মহাকবি জগৎ কল্যাণে লেখেন সেটিই ‘‘সুলললিত বাক্যং ইত্যাহু’’৷ এই বিরাট ভারতবর্ষে লোকশিক্ষার জন্য দুটি মহাকাব্য লিপিবদ্ধ করেন৷ একটি রামায়ণ আর একটি মহাভারত৷ রামায়ণ রচনা করেন মহাকবি বাল্মীকি আর মহাভারত রচনা করেন মহাকবি বেদব্যাস৷ দুটিই প্রাচীন ভারতবর্ষের ভাষা সংসৃকতে লিপিবদ্ধ হয়৷ এই দুটি লোক শিক্ষার কারণেই লিখিত হয়৷ রামায়ণ লিপিবদ্ধ হয় বাল্মীকির দ্বারা, বলা হয় শ্রীরামচন্দ্রের জন্মের বহু বছর পূর্বে৷ তাই শ্রীরামচন্দ্র ছিলেন মহাকবি সৃষ্টি এক পূত আদর্শ চরিত্র শ্রীরামচন্দ্রের তাঁকে নরচন্দ্রিমা বলা হয়৷ শ্রী রামায়ণ গীত হতো গায়কদের  দ্বারা ভক্তবৃন্দের মধ্যে৷ এটি (শ্রীরামায়ণ) স

বাঙালীর বোধহয় কি হবে?

গোবিন্দ মজুমদার

স্বার্থমগ্ণ যে জনবিমুখ বৃহৎ জগৎ হতে, সে কখনো শেখেনি বাঁচিতে৷ কবির এই অমোঘ বানী এই মূহূর্তে বাঙালীর জীবনে কতটা  বাস্তব৷ ত্রিপুরার পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে ‘‘আমরা বাঙালী’’ দল আজ মর্মে মর্মে তা উপলদ্ধি করতে পারছে৷ কাঞ্চনপুরের বাঙালীরা তিলে তিলে মরছে৷ গুলি খেয়ে রাজপথ রক্তে রঞ্জিত করছে৷ গুলি খেয়ে পা খুইয়েছেন একজন৷ পাম্প অপারেটর সুবল দে জি, বি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন৷ দামছড়ার অপহৃত লিটন দেবনাথ বৈরী কবলে৷ মেঘালয়ের বাঙালীদের উপর চলছে খাসিয়াদের অত্যাচার৷ সারা ভারত জুড়ে বিজেপি প্রচার চালাচ্ছে বাঙালীরাই বাংলাদেশী৷ এন.আর.সি, সি.এ.এ, সি.এ.বি এর মতো আইন পাশ করে বর্তমানের কেন্দ্রীয় সরকার বাঙালীদের নাগরিকত্ব হরন

আসুন সবে মিলে রত্নগর্ভা ‘সভ্যতার আদিবিন্দু রাঢ়’কে সুন্দরভাবে গড়ে তুলি

প্রফুল্ল কুমার মাহাত

স্রষ্টার সৃষ্টির প্রথম সূতিকাগৃহ হচ্ছে রাঢ়ভূমি৷ তাই মানবসমাজ  ও সভ্যতার ইতিহাসে রাঢ়ের একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য, মৌলিকত্ব ও ঐতিহ্য রয়েছে৷ মানব সভ্যতার, বিকাশে রাঢ়ের মানুষদের অবদান অপরিসীম, ও অনস্বীকার্য৷ এই রাঢ়ভূমিতেই প্রথম মৃত্তিকার সৃষ্টি হয়েছে, প্রথম অরণ্যভূমির সৃষ্টি হয়েছে, প্রথম ছোট বড় বহু অরণ্যচর প্রাণীর সৃষ্টি হয়েছে, প্রথম মানবশিশুর জন্ম হয়েছে রাঢ়েরই সূতিকাগৃহে৷ রাঢ়ের মাটিতেই প্রথম আগুনের আবিষ্কার ও ব্যবহার হয়েছে, প্রথম চাকার আবিষ্কার হয়েছে, পশুপালনের সূচনা হয়েছে ও প্রথম কৃষিকার্যের প্রচলন হয়েছে৷ এজন্য রাঢ়ের মাটি আমাদের নিকট পূন্যভূমি, আর রাঢ়ের আদিম মানুষেরা আমাদের পূজনীয় পথ প্রদর্শক, মান

প্রভাত সঙ্গীতের স্রষ্টার প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি

খগেন্দ্রনাথ দাস

(পূর্ব প্রকাশিতের পর)

প্রভাত সঙ্গীতের নানা বৈচিত্র্য ছাড়াও অন্য একটি বিস্ময়কর দিক স্রষ্টার প্রতিভা প্রকাশের বয়স৷ ১৯৮২ সনের ১৪ই সেপ্ঢেম্বর সন্ধ্যার সেই মুহূর্তটির আগে পর্যন্ত একথা তেমনভাবে কেই জানতেনই না যে  তিনি একজন গীতিকার ও সুরকার৷ এটা বিস্ময়ের ও অপার রহস্যের বিষয় যে জীবনের প্রথম ছটি দশক সঙ্গীতের এই অনন্য প্রতিভা, সঙ্গীতের এক দুর্র্বর স্রোতস্বিনী ধারাকে কেন ও কীভাবে গোপন রেখেছিলেন?

অচেনা শরৎ

জ্যোতিবিকাশ সিনহা

প্রকৃতির রঙ্গমঞ্চে শরতের আবির্ভাব অপরূপ সৌন্দর্যে বিধৃত, উৎসবের মাধুর্যে মণ্ডিত৷ সুনীল আকাশে ভেসে চলা খণ্ড খণ্ড মেঘের  ভেলা, মাঝে মধে এক টুকরো কালো মেঘের আনাগোনা, হঠাৎ এক পশলা ঝিরঝিরে বৃষ্টি, মেঘ রোদ্দুরের লুকোচুরি, মাঠেঘাটে রাশি রাশি  কাশফুলের চামরদোলা, গাছের পাতায় ঘাসের গায়ে জমে থাকা শিশির বিন্দুতে সূর্য কিরণের ঝিকিমিকি, বাতাসে শিউলির সুবাস--- শরতের এই মোহময়ী অনন্য পরিবেশের পরশে মানুষের মন হয় আনন্দের স্পন্দনে উদ্বেলিত৷ বাংলা ও বাঙালীর সঙ্গে শরতের রয়েছে সুগভীর সম্পর্ক৷ শরতকালেই অনুষ্ঠিত হয় বাঙালীর সার্বজনীন উৎসব---দুর্র্গেৎসব, জগদ্বাত্রী পূজা, শ্যামা ও দীপাবলী৷ দীর্ঘদিনের প্রস্তুতি ও পরিশ্