July 2019

মানুষের কর্তব্য

এই যে শরীর, এই যে মন, এ সবের জন্যে তো অর্থের, অন্ন–বস্ত্রের আবশ্যকতা আছে ঠিক কথা৷ মানুষ অর্থোপার্জনের চেষ্টা করবে, ঘরবাড়ী, জমি–জায়গার জন্যে চেষ্টা করবে৷ এ সবই ঠিক৷ কিন্তু যখন এই চেষ্টা করবে, চেষ্টা করার সময় মনে এই ভাবনা রাখতে হবে যে, ‘‘আমি এই সব পাওয়ার জন্যে চেষ্টা করছি এইজন্যে যে এ সব আমার আধ্যাত্মিক সাধনার সহায়ক হবে৷ এই সব জাগতিক বস্তুর লাভের উদ্দেশ্যে এ সবের সাধনা করছি না৷’’ মানুষ যখন নিজের স্থূল ভাবকে সূক্ষ্মভাবে রূপান্তরিত করতে থাকবে, তখন ক্রমশঃ সে বৈয়ষ্টিক ভাবনার দ্বারা পরিচালিত না হয়ে সামূহিক ভাবনার দ্বারা পরিচালিত হতে থাকবে৷

বাঙলার সম্ভাবনা

শিরোনামে লিখিত বিষয়ের ওপর প্রাউট প্রবক্তা শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকার তাঁর বিভিন্ন পুস্তকে যা বলেছেন, সেগুলিকে সংকলিত করে’ তুলে ধরেছেন বিশিষ্ট প্রাউটিষ্ট আচার্য ত্র্যম্বকেশ্বরানন্দ অবধূত৷

বস্ত্র উৎপাদন

আঁশ তৈরীর যেখানে  যে ধরণের কাঁচামাল পাওয়া যায়, ও যেখানে যে ধরণের জলবায়ু সেখানে সেই ধরণের পোষাক মানুষ পরে থাকে৷ বাঙালীস্তানের পটভূমিতে এই ব্যাপারটা দেখা যেতে পারে৷

বাঙালীস্তানে মূলতঃ চার ধরণের কাঁচামাল পাওয়া যায়–তুলো, তুঁতজাত রেশম,  তুঁতজাত নয় এমন রেশম ও অন্যান্য৷

তুলো

দেশজুড়ে তীব্র জলসংকট ঃ সমাধান কোনপথে

আচার্য সত্যশিবানন্দ অবধূ্ত

সারাদেশ জুড়ে তীব্র জলসংকট দেখা দিয়েছে৷  ভারতের ‘নীতি আয়োগ’-এর রিপোর্ট বলছে, দিল্লি, বেঙ্গালুরু, চেন্নাই, হায়দ্রাবাদ সহ ২১ টি শহরের ভূগর্ভস্থ জল আগামী বছরই প্রায় শেষ হতে চলেছে৷

নীতি আয়োগের রিপোর্ট, প্রতি বছর প্রায় ২ লক্ষ মানুষের মৃত্যু হচ্ছে পানীয় জলের অভাবে৷  আর আগামী ২০৩০ সালে ভারতেব প্রায় ৪০ শতাংশ মানুষ তীব্র পানীয় জলের সংকটের  সম্মুখীন হবে৷

দায়িত্বজ্ঞান, কর্তব্যবোধ ও নব্যমানবতাবাদ

জ্যোতিবিকাশ সিন্হা

দায়িত্ব ও কর্তব্য এই দুইটি ছোট শব্দ ব্যষ্টি জীবন, সমাজজীবন রাষ্ট্র তথা বিশ্বের ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ৷ এই দুটি ভাব জাগ্রত থাকলে ব্যষ্টি বা সমষ্টি যে কোন পর্যায়েই চরম উন্নতি সাধন সম্ভব, আবার এগুলির অভাবে ভয়ঙ্কর পরিণামও অনিবার্য৷ পশ্চিমবঙ্গ সহ সারা দেশের ঘটনাপ্রবাহ, এমনকি সমগ্র বিশ্বের অশান্ত পরিস্থিতির জন্যেও এই দুইটি বিষয়ের প্রতি অবহেলা বা অবমাননা বহুলাংশে দায়ী৷

ভারতের যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোকে ভাঙার অশনি সংকেত

মুসাফির

এবারের লোকসভা নির্বাচনের পর ২০শে জুন প্রথম অধিবেশনে শাসক বিজেপি দলের তৈরী করা ভাষণ পাঠ করেন রাষ্ট্রপতি প্রথাগতভাবে৷ এতে বিগত সরকারের কাজের ফিরিস্তি পাঠ করে বিজয়ী সদস্যদের জ্ঞাত করেন৷

ফেসবুক, ওয়াটসআপ, ইন্টারনেট ঃ মানস-অর্থনৈতিক শোষণের  নব ছলাকলা

সুকুমার সরকার

একবিংশ শতাব্দীর সবচেয়ে বড় বিপদ পুঁজিবাদের মানস-অর্থনৈতিক শোষণ৷ এর সূক্ষ্ম জাল এমনভাবে বিস্তৃত, যা সাধারণ মানুষ তো দূরে থাক, তথাকথিত বুদ্ধিজীবী থেকে শুরু করে  পুঁজিবাদ বিরোধী কমিউনিষ্ট, ধর্মমতের ধবজাধারী মোল্লা, পাদ্রি, পুরোহিতেরা পর্যন্ত এর জালে জড়িয়ে যাচ্ছে৷ মোল্লা, পাদ্রি, পুরোহিতেরা তো চিরকালই জেনে বা না জেনে স্বার্থান্বেষীদের সমর্থন করে চলে৷ প্রশ্ণ আসতে  পারে, কমিউনিষ্টরা পুঁজিবাদীদের  ক্ষপ্পরে পড়লো কী করে?--- এটা আসলে পুঁজিবাদীদের মানস-অর্থনৈতিক শোষণের কৌশল৷

আমরা বাঙালী দলের পক্ষ থেকে নগর উন্নয়ন মন্ত্রী তথা কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিমের নিকট কলকাতার সমস্ত সাইনবোর্ড বাঙলার লেখার জন্যে স্মারকলিপি প্রদান

গত ২৪শে জুন আমরা বাঙালী দলের পক্ষ থেকে কলকাতা শহরের সমস্ত দোকানের সাইনবোর্ড, ব্যবসা, বাণিজ্য সংক্রান্ত কাগজপত্র, বিজ্ঞাপন, রাস্তার নাম, বাড়ির নাম ও নম্বর, পার্কের নম্বর ইত্যাদির ক্ষত্রে বাংলা ভাষা ও বাংলা লিপির বাধ্যতামূলক ব্যবহারের জন্যে পশ্চিমবঙ্গের নগর উন্নয়নমন্ত্রী তথা কলকাতা কর্পোরেশনের মেয়র মাননীয় ফিরহাদ হাকিমের হাতে স্মারকলিপি প্রদান করেন সংঘটনের কেন্দ্রীয় সচিব বকুল চন্দ্র রায় ও তাঁর সাথে ছিলেন কেন্দ্রীয় প্রচার ও জনসংযোগ সচিব উজ্জ্বল ঘোষ, কেন্দ্রীয় সাংঘটনিক সচিব খুশীরঞ্জন মণ্ডল, বাঙালী মহিলা সমাজের পক্ষ থেকে অনিতা চন্দ ও গোপা শীল৷

ভারত গৌরব  ডাঃ বিধানচন্দ্র রায়

বরুণ বন্দ্যোপাধ্যায়

ডাঃ বিধানচন্দ্র রায়, ভারতের ইতিহাসে এক স্মরণীয় ও বরনীয় নাম৷ তিনি ছিলেন গণদেবতার  পূজারী, বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃতী বিদ্যার্থী, যসস্যী চিকিৎসা বিজ্ঞানী, যোগ্য অধ্যাপক, আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফেলো ও কলকাতা কর্পোরেশনের অল্ডারম্যান ও মেয়র  বঙ্গীয় ব্যবস্থাপক সভার সদস্য, চিকিৎসক, সমাজ সেবক, শিক্ষাবিদ ও সফল মুখ্যমন্ত্রী৷ এককথায় তিনি এক কিংবদন্তি  ব্যাষ্টিত্ব, যাঁকে নিয়ে আমাদের গর্বের অন্ত নেই৷ তাঁর চারিত্রিক গুণাবলী আমাদের প্রতিনিয়ত  বিস্মিত, প্রাণিত ও উজ্জীবিত করে৷

যোগ একদিবসের জন্যে নয়, সমগ্র জীবনের সুদৃঢ় ভিত্তি

মোহন সরকার

এক কথায় যোগ শরীর, মন ও আত্মার বিকাশের পথ৷ শরীরের বিকাশ মানে হ’ল শরীরের সমস্ত সম্ভাবনার সদব্যবহার করা, সোজা কথায় শরীরকে সর্বদা সুস্থ রাখা৷ যোগ মূলত আধ্যাত্মিক৷ যোগ মানে জীবাত্মার সঙ্গে পরমাত্মার সংযোগ, মনের সঙ্গে আত্মার সংযোগ৷ তাই যোগী বলতে গেলে তাঁদের বোঝায় যারা উচ্চতম আধ্যাত্মিক মার্গে রয়েছে, যাঁদের আত্মোপলব্ধি হয়েছে, তবে উচ্চ আধ্যাত্মিক মার্গে উঠতে গেলে শরীরটাকেও সুস্থ রাখতে হবে, তাই যোগ সাধনায় শরীরকে সুস্থ রাখার জন্যে বিভিন্ন যোগাসনের ব্যবস্থা রয়েছে৷ রোগ হলে তো ভালভাবে সাধনা করা সম্ভব নয়, তাই রোগ যাতে না হয় তার জন্যেই  এই ব্যবস্থা৷ যেমন, নিয়মিত কিছু কিছু আসন অভ্যাস করলে ও নিয়মমতো চললে শর

কেন নিরামিষ ভোজন করা বাঞ্ছনীয়

পূর্ণানন্দ রায়

ইংরাজীতে একটা প্রবাদ বাক্য আছে,‘‘If wealth is lost, nothing is lost, is health is lost something is lost, if character is lost, everything is lost’’ অর্থাৎ ধনসম্পত্তি হারালে কিছু ক্ষতি নাই, স্বাস্থ্য হারালে কিছু হারাল, কিন্তু চরিত্র হারালে সবই গেল৷ স্বামী বিবেকানন্দের মূল মন্ত্র ছিল---‘তোরা চরিত্রবান হ৷’