বাংলা বানান সংশোধন

অসংস্কৃতি– ‘সংস্কৃতি’র বিপরীত শব্দ ‘অপকৃতি’ চলতে পারে, তবে ‘অপসংস্কৃতি’ চলতে পারে না৷ কারণ ‘সংস্কৃতি’ (সম্–কৃ  ক্তিন্

রাষ্ট্রসঙ্ঘে স্বীকৃতি পেল বাংলা ভাষা

গত ১০ই জুন রাষ্ট্র সংঙ্ঘের ৭৬তম সাধারণ অধিবেশনে বহুভাষাবাদের পক্ষে অ্যান্ডোরা ও কলম্বিয়ার আনা প্রস্তাব গৃহীত হয়৷ গৃহী

নিজস্ব সংবাদদাতা

আনন্দমার্গ স্কুলের প্রাক্তন ছাত্রের যুগান্তকারী আবিষ্কার

পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার ছেলে সাবির হোসেন এক বিশেষ ধরণের পাউডার আবিষ্কার করেছেন যা ব্যবহারে খুবই অল্প সময়ের মধ্যে ক্ষতস্থানের রক্তপাত বন্ধ হয়ে যাবে৷ পি.এন.এ.

সুপ্রিম কোর্টে সাতে নেই বাংলা প্রতিবাদে সরব ‘আমরা বাঙালী’

সুপ্রিম কোর্ট তার রায় প্রকাশের মাধ্যম হিসাবে হিন্দী, ইংরাজীর সাথে আরও পাঁচটি ভাষাকে বেছে নিয়েছে৷ তার মধ্যে উড়িয়া, অসমিয়া থাকলেও বাংলা ভাষার স্থান হয়নি নিজস্ব সংবাদদাতা

মানস–র্থনৈতিক শোষণ ঃ মুক্তির একমাত্র উপায় প্রাউট

সুকুমার রায়

পৃথিবী ঘুরে চলেছে একই অক্ষরেখার ওপর৷ এক একটি একই দ্রাঘিমা প্রতিদিন সূর্যকে প্রদক্ষিণ করে এগিয়ে চলেছে৷ এই চলমানতায় ঋতুবৈচিত্র্য আসে বটে, তবে তা ঘুরে ফিরে প্রতিবছর একইভাবে আসে বলে মানুষ ভুলে যায় পৃথিবীর এই চলমানতা সামনে না পেছনে না কি একইভাবে একঘেয়েমিভাবে ঘুরে চলেছে৷ বোধের এই দূরতিগম্যতাই মানুষের মানসিক শোষণের কারণ৷

বৈচিত্র্যের মধ্যে অগ্রগামীতার সুর শুনতে পান কম মানুষই৷ বেশিরভাগ মানুষ তাকিয়ে থাকেন পেছনের দিকে৷ আর সেইটাই শাসক শোষকের পুঁজি, এই পেছনের দিকে তাকিয়ে থাকা মানুষগুলো৷

মহান ব্যক্তিদের অধিকারী বাবা সাহেব আম্বেদকরের স্মরণে

প্রভাত খাঁ

আমরা আজ বয়েসে কিছুটা প্রবীন তাই দেখা যাচ্ছে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের দায়িত্ব জ্ঞানহীন আচরণ যা আমাদের সত্যিই লজ্জিত করে৷ পবিত্র লোকসভায় বেশ কিছুটা আত্মহংকারীর মতো সংসদের মর্যাদাহানি করে কাজ করেন নিছক পদের লোভে ক্ষমতার মোহে৷ সংসদে আসার আগে নির্র্বচনে জয়ী হতে জনগণের কাছে দেওয়া প্রতিশ্রুতি এরা সহজেই ভুলে যায়৷ সংসদে বসে সেকথা মনে করার প্রয়োজন বোধ করেন না৷

মানবতার মুক্তিমন্ত্র প্রাউট

প্রাউটিষ্ট

প্রগতিশীল উপযোগ তত্ত্ব, ইংরাজীতে প্রোগ্রেসিভ ইউটিলাইজেশন থিয়োরী, সংক্ষেপে প্রাউট ত্নব্জপ্সব্ভব্ধগ্গ৷ এই তত্ত্বের প্রবক্তা আধুনিক যুগের শ্রেষ্ঠ দার্শনিক শ্রীপ্রভাত রঞ্জন সরকার৷

কর্মীদের সংযত করুন খালেদা জিয়া

প্রভাত খাঁ

আজ সারা পৃথিবীটাই যেন হয়ে দাঁড়িয়েছে এক বিরাট পরিবার৷ কিন্তু আমাদের দুর্ভাগ্যে প্রায় সব দেশের ভাগ্য যাদের হাতে তারা যেন সবকিছু বুঝেও ক্ষমতার মোহে অহমিকার দাস হয়েই একদিকে যেমন যুদ্ধ যুদ্ধ খেলায় মেতেছে  আর  গণতন্ত্রের  গণতন্ত্রের নামাবলি গায়ে জড়িয়ে রাজনৈতিক ভণ্ডামীতে আত্মঘাতী কাজে মত্ত৷ তাই বলতে বাধ্য হচ্ছি যে এই পৃথিবীর  বুকে  যে এক বিরাট  ভূখণ্ড এশিয়ার  বুকে আছে সেই অতীতের, ভারতবর্ষ, তাকে সেই অহংকারে মত্ত হয়ে সাম্রাজ্যবাদী শক্তি ইংরেজ নিজেদের স্বার্থে কুৎসিত সাম্প্রদায়িকতার ভিত্তিতে ভাগ করে দুটো দল সেই কংগ্রেস ও মুসলীমলীগের দুই দল কে দুটো দেশ উপহার দিয়ে গেল৷ দেশভাগ  হলো বটে কিন্তু দু’দলের ঘৃ

উন্নতির সোপান

পত্রিকা প্রতিনিধি

মানুষের অস্তিত্ব ত্রিস্তরীয়---শারীরিক, মানসিক ও আত্মিক৷ মানুষের উন্নতি মানে এই ত্রিস্তরীয় সামঞ্জস্যপূর্ণ উন্নতি৷ এই সামঞ্জস্যপূর্ণ উন্নতি যদি না থাকে তাহলে উন্নতির পরিবর্তে অবনতি হবে৷ বর্তমানে বিজ্ঞান-প্রযুক্তির হাত ধরে বা আধুনিকতার ছাপ মেরে যে বিপুল উন্নতির বড়াই আমরা করি এই তথাকথিত উন্নতি যে অনেক জটিল প্রশ্ণের সম্মুখে আমাদের দাঁড় করিয়ে দিয়েছে, তা আজ কেউ অস্বীকার করতে পারবেন না৷ তার কারণ একটাই৷ বাড়ী, গাড়ী, রাস্তা-ঘাট, পোষাক-পরিচ্ছদ, নানান্‌ সুস্বাদু খাওয়া-দাওয়া এসবের জাঁকজমকের পাশাপাশি দুর্নীতি, যৌন কেলেঙ্কারী, মানবিকতার অভাব, শোষণ, খুন-জখম এসব

আর কোনও উপধর্মের সংঘাত নয়, প্রাউটের পতাকা তলে এক হয়ে প্রগতিশীল সমাজতন্ত্রের পথে চলতে হবে

প্রাউটিষ্ট

পৃথিবীর বুকে বহু মনীষী এসেছেন৷ তাঁদের মহান বাণীকে বিকৃত করে খণ্ড ক্ষুদ্র ব্যষ্টি স্বার্থ চরিতার্থ করতে কিছু চালাক লোক নিজেদের সংকীর্ণ মতবাদকে তাঁদের বাণী হিসাবে চালিয়ে চলেছে৷ সেই কারণে নানা মতবাদে আজ পৃথিবী ভারাক্রান্ত হয়ে এক ভয়ংকর জ্বলন্ত অগ্ণিকুণ্ডের আকার ধারণ করেছে৷ সব কিছু যেন জ্বলে পুড়ে ছাই হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে৷ এই অগ্ণিগর্ভ অবস্থায় যিনি এলেন ও সমগ্র বিশ্বের মানুষ সহ জীবজন্তু, গাছপালাকে নোতুন করে অভয় বাণী দিয়ে গেলেন ও কিভাবে তারা সকলে সার্থকভাবে বিকশিত হবে তার পথ দেখিয়ে গেলেন তিনিই হলেন মহাসম্ভূতি শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী ওরফে শ্রদ্ধেয় শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকার৷ তিনি ঘোষণা করলেন যে পৃথিব

বিভেদ ভুলে অর্থনৈতিক উন্নতির জন্যে নতুন করে ভাবতে হবে

প্রভাত খাঁ

যদি গভীরভাবে চিন্তা করা যায় তাহলে অবাক হতে হয় এই বিশাল ভারত দীর্ঘ ৭৭ বছরের মধ্যে কোথায় গিয়ে দাঁড়িয়েছে!

প্রকৃত ধর্ম মানুষে মানুষে বিভেদ মানে না, কোনরকম অন্ধবিশ্বাস, কুসংস্কারও মানে না

পত্রিকা প্রতিনিধি

বর্তমানে ধর্মের নামে নানান ধরণের গোঁড়ামী, জাত–পাতের ভেদ ও সাম্প্রদায়িক বিভেদ ও বিদ্বেষ চলছে৷ এগুলিকে ধর্মের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ বলে বলা হচ্ছে৷ তা কিন্তু  মোটেই ঠিক নয়৷

আবার সম্প্রতি সংবাদে প্রকাশ কোথাও কোথাও ধর্মের নামে শিশুবলি পর্যন্ত হচ্ছে কিন্তু এগুলির কোনটাই প্রকৃত ধর্ম নয়৷ কোনরকম যুক্তিহীন, অমানবিক কার্যকলাপের সঙ্গে ধর্মের কোনও সংযোগ থাকতে পারে না৷

সাধনা

দাদাঠাকুর

ছোট্ট ভাইবোনেরা, তোমরা সবাই ছাত্র–ছাত্রা, প্রতিদিন তোমাদের বিদ্যালয়ের পাঠ শিখতে পড়তে হয়৷ তোমরা কোন একটা পাঠ বার বার পড়, আবার কিছুক্ষণ পরে ভুলে যাও, তাই না বিদ্যালয়ের পড়া সহজে তোমাদের মনে থাকতে চায় না৷ অথচ যখন টেলিবিসনে কোনও কাহিনী দেখ বা কোনও গল্প শোন বা পড় তখন সেটা তোমাদের অনেকদিন মনে থাকে৷ কেন এমন হয় বলতে পার কি না, এর কারণ হলো তোমার মনের একাগ্রতা৷ যখন তুমি কোন কিছু মনোযোগের সঙ্গে পড়ো বা শোনো বা দেখো তখন সেটা তোমার মনে থাকে৷ কিন্তু যখন চঞ্চল মনে কোন কিছু পড়ো, দেখো বা শোনো তখন তা আর মনে থাকে না৷

নব আদর্শে---সবে হোক উজ্জীবিত

জ্যোতিবিকাশ সিন্‌হা

মনুষ্য জাতির ইতিহাসে দেখা গেছে যখনই কোন মহাপুরুষ, মনীষী, সমাজ সংস্কারক, নূতনের বার্তাবহ মানুষের কল্যাণে, নিপীড়িত মানবতার সংকট মোচনে অগ্রণী ভূমিকা গ্রহণ করেছেন, জ্ঞানের আলোকবর্ত্তিকা ঊধের্ব তুলে ধরেছেন তখনই অন্ধকারের পিশাচেরা, ভাবজড়তার ধবজাধারীরা নিজেদের সর্বনাশের আতঙ্কে যূথবদ্ধভাবে তার বিরোধিতা করেছে, চক্রান্ত করেছে---এমনকি ছলে-বলে-কৌশলে তাদের হত্যার ষড়যন্ত্রও করেছে৷ প্রাচীন যুগের সেই সদাশিবের সময় থেকেই একই ধারাপ্রবাহ বয়ে চলেছে৷ পাহাড়ে-পর্বতে ছড়িয়ে-ছিঁটিয়ে থাকা মানুষজনকে এক সূত্রে গেঁথে, বিবাহ ব্যবস্থার প্রচলন করে’ মানব সমাজকে একটা বিধিবদ্ধ রূপ