রাষ্ট্রসঙ্ঘে স্বীকৃতি পেল বাংলা ভাষা

গত ১০ই জুন রাষ্ট্র সংঙ্ঘের ৭৬তম সাধারণ অধিবেশনে বহুভাষাবাদের পক্ষে অ্যান্ডোরা ও কলম্বিয়ার আনা প্রস্তাব গৃহীত হয়৷ গৃহী

নিজস্ব সংবাদদাতা

আনন্দমার্গ স্কুলের প্রাক্তন ছাত্রের যুগান্তকারী আবিষ্কার

পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার ছেলে সাবির হোসেন এক বিশেষ ধরণের পাউডার আবিষ্কার করেছেন যা ব্যবহারে খুবই অল্প সময়ের মধ্যে ক্ষতস্থানের রক্তপাত বন্ধ হয়ে যাবে৷ পি.এন.এ.

সুপ্রিম কোর্টে সাতে নেই বাংলা প্রতিবাদে সরব ‘আমরা বাঙালী’

সুপ্রিম কোর্ট তার রায় প্রকাশের মাধ্যম হিসাবে হিন্দী, ইংরাজীর সাথে আরও পাঁচটি ভাষাকে বেছে নিয়েছে৷ তার মধ্যে উড়িয়া, অসমিয়া থাকলেও বাংলা ভাষার স্থান হয়নি নিজস্ব সংবাদদাতা

বিশ্ব পরিবেশ দিবসে আবেদন

‘‘মানুষ যেন মানুষের তরে সবকিছু করে যায়৷

               একথাও যেন মনে রাখে পশুপাখী তার পর নয়

নিজস্ব সংবাদদাতা

বাঙলাদেশে আনন্দমার্গের ধর্মমহাসম্মেলন

গত ১৯, ২০, ২১শে এপ্রিল, ২০১৯ বাঙর্লদেশের দিনাজপুর জেলার অন্তর্গত মুকুন্দপুরে সি.ভি.এ ট্রেনিং সেণ্টারে আনন্দমার্গের ধর্মমহাসম্মেলন অনুষ্ঠিত হ’ল৷ এটি হ’ল বাঙলাদেশের বার্ষিক ধর্ম মহাসম্মেলন৷ এই… নিজস্ব সংবাদদাতা

বিদ্রোহী বাঙলা : অত্যাচারী কাজীর বিরুদ্ধে শ্রীচৈতন্যদেবের গণবিদ্রোহ

সুকুমার সরকার

শ্রীচৈতন্যদেবের আবির্ভাব মূলত ধর্মীয় প্রেক্ষাপটে৷ কিন্তু সমাজ সচেতনতা ও গণজাগরণেও তাঁর ভূমিকা কিছু মাত্র কম ছিল না৷ বরং তৎকালীন সমাজ-সামাজিকতার প্রশ্ণে গণজাগরণ ও গণ-বিদ্রোহের ক্ষেত্রে তাঁকে বলিষ্ঠ নেতৃত্বকারীও বলা যায়৷ আর তাঁর বলিষ্ঠতার পেছনে মূল প্রেরণা ছিল ওই বিদ্রোহী বাঙালি সত্তা৷ বাঙালি জাতি যে চির বিদ্রোহী, তা যেকোনো প্রেক্ষাপটেই হতে পারে৷ হোক তা ধর্মীয় ভাবে, কিংবা সামাজিক ভাবে, কিংবা রাষ্ট্রনৈতিকভাবে৷ যখন যেখানে যেভাবে প্রয়োজন পড়েছে বাঙালি তার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেছে নিজেদের অধিকার, স্বাধীকার ও প্রাণধর্ম বজায় রাখতে৷ সেই ধারাতেই শ্রীচৈতন্যদেবের বিদ্রোহ৷ আর এই বিদ্রোহের রূপ ছিল কীর্তন সহ

স্মরণিকা

* শত্রু শক্তিশালী হলে লুকিয়ে প্রাণ রক্ষা করাই শ্রেয়৷

* শত্রুর সঙ্গে যুদ্ধে নামার আগে নিজের এবং তার শক্তি সম্বন্ধে ভালো করে জেনে নেওয়া উচিত৷

* শক্তিমান হলেই দুর্বলের সঙ্গে শত্রুতা করা বুদ্ধিমানের পরিচয় নয়৷

* দুষ্টের দমন, শিষ্টের পালন, মানীকে মান্য করা, গুরুজনের সেবা করা, আর ধর্মে অবিচল ভক্তি রাখাই মানুষের কর্তব্য৷

* আত্মরক্ষার্থে বিষহীন সাপকেও ফণা তুলে তেড়ে যেতে হয়৷        ---পঞ্চতন্ত্রর নীতি

 

আপ্তবাক্য

‘‘ ...কুযুক্তির  ধবজাধারীরা ধর্মের ভেক ধরে নিপীড়িত  মানুষ-সমাজকে  বোঝাতে চায় যে তাদের এই অর্থকৃচ্ছতাপ্রসূত  লাঞ্ছনা, অন্নাভাব, বস্ত্রাভাব, চিকিৎসাভাব, গ্রীষ্মে রোদে পোড়া, শীতে কুঁকড়ে  জমে মরা এগুলো সমস্তই  নাকি বিধিলিপি পূর্বকৃত কর্মের প্রতিক্রিয়া৷ কিছুদিন পূর্বে জনৈক    কোটিপতিকে কোন একটি  সভায় বলতে শুণেছিলুম যে আজকের  সমাজে  গীতার কর্মবাদ ভালভাবে প্রচার করা  দরকার কারণ এই কর্মবাদকে নাকি ভালভাবে বুঝতে  পারলে ডাষ্টবিনের  এই নিপীড়িত নরকঙ্কালের  দল  তাদের দুর্দশার  জন্য আর পুঁজিবাদীগণকে দোষ দেবে না তারা সহজ ভাবেই তাদের দুদৈবকে মেনে নেবে৷                             

আকাশ তরঙ্গঃ বাঙ্গালা ভাষার ইতিহাসে সবথেকে বড় চিটিংবাজির দিন ২১ শে ফেব্রুয়ারি

গোলাম মোস্তফা বাংলার শিক্ষক হলেও কঠিন পাকিস্তানপন্থী ছিলেন এবং পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা উর্দু করার পক্ষে ছিলেন। মৌলানা আকরাম খান বাংলাকে পৌত্তলিকদের ভাষা মনে করতেন। লীগ সরকারের চাপে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতীক থেকে "শ্রী" শব্দটি বাদ গিয়েছিল, ওটা নাকি পৌত্তলিকতার প্রতীক। মজার কথা, এই আকরাম খান ভাষা আন্দোলনের নেতৃত্ব দেন। 

শোষণ মুক্তির পথ নীতিবাদীদের নবজাগরণ ধান্দাবাজদের ভণ্ডামী নয়

প্রভাত খাঁ

ভারত যুক্তরাষ্ট্রের যে সংবিধান সেটি পৃথিবীর বিশেষ কয়েকটি দেশের সংবিধানের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি নিয়েই মূলতঃ তৈরী হয়৷ তৎকালীন ভারতবর্ষের জ্ঞানীগুণী ব্যষ্টি নিয়ে  একটি কমিটি ঘটন করে নানা আলোচনার পর এটির সৃষ্টি হয়৷ তাই এই সংবিধান বিরাট ও জটিল৷ এই সংবিধানের মধ্যে অনেক কিছু আছে যা দেশকে উন্নতির  দিকে নিয়ে যেতে পারে৷ কিন্তু দুর্ভাগ্য আমাদের তা হলো যাদের  হাতে এটি পড়েছে তারা এই মর্যাদা দিতে পারে নি সংকীর্ণ দলীয় স্বার্থেই৷ তাই এর শতাধিকবার বিভিন্ন ধারার পরিবর্ত্তন ও পরিবর্দ্ধন ঘটেছে বিশেষ বিশেষ স্বার্থান্বেষীদের  সংকীর্ণ স্বার্থে৷  শব্দটির অর্থবোঝা বড়ই কঠিন৷ আর নির্বাচন হলো  পবিত্র দায়িত্ব পালনের এক

আগামী প্রজন্মের ভবিষ্যত একমাত্র প্রাউট

হরলাল দেবনাথ

পরমপুরুষ আমার পিতা পরমা প্রকৃতি মাতা পৃথিবী আমার স্বদেশ মানুষ আমরা সবাই ভাই-বোন৷ পৃথিবীর যাবতীয় সম্পদ পরমপুরুষ বা ঈশ্বরের সম্পদ, স্থান, কাল,পাত্র বিচার করে সম্পদ ভোগের অধিকার সবার সমান৷ পৃথিবীর সম্পদ আমার সম্পদ, আমার সম্পদ পৃথিবীর সম্পদ৷ এরজন্যে বিধিসম্মতভাবে  মিলেমিশে ভোগ করার জন্য প্রশাসনিক স্তরে এইরূপ মননশীলতার নেতৃত্ব তৈরী হতে হবে৷ আর এই সেই নেতৃত্ব তৈরী হওয়ার জন্য সামাজিকক্ষেত্রে বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে আধ্যাত্মিক শিক্ষার পরিবেশ চালু করতে হবে৷ তা যদি করা যায়, তাহলে মানুষের মধ্যে সৎ ভাবাদর্শ গড়ে উঠবে নেতৃত্বও সঠিক পথে পরিচালিত হবে৷ বর্তমান সমাজের  অমানবিক পরিবেশের পরিবর্তন হবে৷ প্রাউ

অমর ২১শে

একর্ষি

২০২৩’র ২১শে ফেব্রুয়ারি, ১৯৫২-র’ ভাষা শহীদ দিবস৷  বঙ্গভাষী আমরা৷ সেই ভাষা শহীদদের স্মরণ করি কৃতজ্ঞ-শ্রদ্ধার্ঘ্যচিত্তে, জানাই শত কোটি প্রণাম৷ বাঙালী জীবন ধারায় এ এক দিগ্‌দর্শন (মাইল ষ্টোন)৷ কিন্তু দুর্র্গেৎসব -ঈদ-বড়দিন-পৌষ উৎসবের মত’ ২১শে ফেব্রুয়ারি, ১৯শে মে কে উৎসবের ‘ঠিক আছে’ গোছের ‘হালকা মেজাজে’ নামিয়ে আনা হয়েছে৷ পূর্ববঙ্গ ছাড়া বৃহত্তর বঙ্গের সর্বত্র কি বাংলাভাষা  অফিস-আদালত, সরকারী-বেসরকারী কাজে ও বাঙালী জীবন  চর্যায় সর্বত্র আবশ্যিক ও বাধ্যতামূলক হয়েছে কি?

স্মরণিকা

* জীবনে যদি বড় দুঃখ পাও, সে দুঃখ লিখে রেখে যেও উত্তরকালের জন্য৷ সিনসিয়ার দুঃখের কাহিনী চিরদিন অমর থাকবে, কিন্তু তা চিরদিন লোকের মনে বল দেবে৷ পূর্ণ অন্ধকার অমাবস্যার পরই শুক্লপক্ষে চাঁদ ওঠে---দুঃখের রাত্রিতেই তারা খুব উজ্জ্বল হয়৷

* প্রকৃতির একটা বৈশিষ্ট্য এই যে, নির্জন স্থানে প্রকৃতির এই রূপ মনে নতুন ধরনের  অনুভূতি ও চিন্তা এনে দেয়৷

*সমাজের বাস্তব পটভূমিতে যে রসশিল্প রচিত হয়, শিল্পীমানসের প্রকাশ-ভূমি যাহা, তাহাই সাহিত্য৷

                                      ---বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়

আপ্তবাক্য

‘‘সর্বদাই মনে রাখতে হবে অর্থের মূল্য ব্যবহারে৷ তোমার ঘরে তোমার প্রয়োজনের অতিরিক্ত অর্থ সঞ্চিত হ’লে ব্যবহার  না থাকায় তা’ মূল্যহীন হ’য়ে যায়৷ যতটা অর্থকে  তুমি মূল্যহীন করে  ফেলছ একজন বুভুক্ষু-বিবস্ত্র মানুষের প্রতি তুমি সেই পরিমাণ অবিচারও করে ফেলেছ৷ তোমার মূল্যহীন টাকাগুলো অন্যকে  ব্যবহারের সুযোগ দিয়ে সেগুলোকে মূল্যবান করে নিতে  হবে৷ তাই বলি যারা পার্থিব সম্পদের অন্যতম বিনিময়-মাধ্যম এই অর্থের উচিত ব্যবহার জানে না প্রকৃতপক্ষে তারা সমাজদ্রোহী৷             

                                        ---শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকার

আগামী নির্বাচনে সচেতন নাগরিকদের দায়িত্বশীলতা

প্রভাত খাঁ

বামফ্রন্ট আমলে রাত্রে আমি থাকতাম নোতুন পৃথিবী পত্রিকা কার্যালয়ে৷ হঠাৎ স্থানীয় থানার একজন সাবইন্সপেক্টর  কয়েকজন পুলিশ নিয়ে রাত্রে অফিসে আসেন৷ তখন অনেক রাত আমি একটি বড়ো টেবিলে সবেমাত্র শুয়েছি৷ তখন ওনারা এসে  দরজা খুলতে বলেন৷ আমি খুলে দিই৷ তিনি কার্যালয় সার্চ করতে এসেছেন রাজ্য সরকারের নির্দেশে৷ তখন ছিল বামেদের রাজত্ব৷ আমি জিঙ্গাসা করি কি কারণে এসেছেন তদন্ত করতে৷ তখন তিনি বলেন সরকারের নির্দেশ তাই এসেছি৷ আর বলেন একটি কথা তা হলো আপনারা শাসনে এলে আপনাদের  আদেশে ও আমরা আসবো তদন্ত করতে৷ তিনি ভালো করে খুঁজে পেতে চলে গেলেন আমাদের ধন্যবাদ দিয়ে৷ সেটা ছিল বামেদের শাসন৷ আজ শাসনে এসেছেন তৃণমূল দল৷ এখন সকলে