July 2022

মানব সভ্যতার ত্রিবেণী সঙ্গম

একর্ষি

পৃথিবীর বুকে অন্যান্য প্রজাতির জীবের মত মানুষও এক বিশেষ প্রজাতির (স্পেসিস্‌) জীব৷ এই মানুষের সভ্যতার কথা বলতে গেলে, ‘মানুষ’ ও ‘সভ্যতা’ ব্যাপারে কিছুটা ধারণা দরকার৷ কিন্তু সবার আগে একটা কথা, এই মানুষ নামক বিশেষ প্রজাতির জীবের নাম ‘মানুষ’ হল কেন? এটাও তো ভাববার কথা!

ভারতের ৪৪টি জনগোষ্ঠীর সার্বিক কল্যাণে অঞ্চলভিত্তিক বিকেন্দ্রিত অর্থনৈতিক পরিকল্পনা গড়তে হবে

এইচ এন মাহাতো

ভারতের স্বাধীনতার আন্দোলনের মূলতঃ সূত্রপাত হয়েছিল সিপাই বিদ্রোহ থেকে৷ এছাড়াও ছোটোখাটো ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলন তার আগে হলেও সাংঘাতিকভাবে জনমানসে তা দানা বাঁধেনি৷ তাই তাকে স্বাধীনতার আন্দোলন বলে ধরা হোতো না, যেমন চুয়ার বিদ্রোহ, নীল বিদ্রোহ, রানী রাসমণির নদীর মাছ ধরা নিয়ে জল কর বিদ্রোহ ইত্যাদি৷ ১৮৫৭ সালে সিপাই বিদ্রোহের সূত্রপাত হয়েছিলো কলকাতার ব্যারাকপুর সেনা ছাউনি থেকে লাহোর সেনা ছাউনি পর্যন্ত প্রায় শতাধিক ভারতের ব্রিটিশ সেনা ছাউনিতে৷ ভারতীয় ব্রিটিশ বিরোধী সেনাদল ব্রিটিশ সেনাদের উপর একই সময়ে গুলি বর্ষনের মাধ্যমে আক্রমণ  শুরু করে৷ এর ফল স্বরূপ পক্ষে বিপক্ষে প্রচুর সেনা হতাহত হয়৷ এর মূল প্রেরণা

‘‘অগ্নিপথ’’ ভারতবর্ষকে অগ্ণিগর্ভ করে তুলবে না তো?

সুকুমার সরকার

প্রকল্পের ঘোষণাতেই অনেকটা অগ্ণিগর্ভ হয়ে উঠেছে ভারতবর্ষ৷ মাত্র চার বছরের জন্য চাকরি৷ তারপর অনিশ্চিত ভবিষ্যত৷ অথচ এই চার বছর সেনার যাবতীয় ট্রেনিং ও অস্ত্র প্রশিক্ষণ সবই দেওয়া হবে৷ চার বছর পর সেনা থেকে অবসর৷ অবসরের সময় এককালীন কিছু অর্থ দেওয়া হবে৷ কোনো পেনশন নেই৷ সেনা থেকে অবসরের পর সরকারি ও বেসরকারি নিয়োগক্ষেত্রে অগ্রাধিকারের প্রতিশ্রুতি৷ তারপর আবার তরুণ-তরুণী নিয়োগ৷ যাঁদের বয়স ১৭-২১ বছরের মধ্যে হতে হবে৷ অর্থাৎ অগ্ণিপথ প্রকল্পে চাকরিপ্রাপ্ত অগ্ণিবীররা একুশ থেকে পঁচিশ বছরের মধ্যে আবার একটি অনিশ্চিত ভবিষ্যতের মধ্যে পড়ে যাবেন৷ এই আশঙ্কাতেই অগ্ণিগর্ভ হয়ে উঠেছে ভারতবর্ষ৷ প্রকল্প চালু করতে পুঁজিবাদ

বাঙালী জাতির অতীত বর্তমান ও ভবিষ্যৎ

প্রফুল্ল কুমার মাহাত

মহান দার্শনিক সমাজগুরু ও সমাজসংস্কারক শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকারের অমোঘ ও অব্যর্থ বাণী দিয়েই এই প্রবন্ধের উপক্রমনিকা শুরু করছি৷ তিনি বলেছেন---‘‘আমরা পৃথিবীর,পৃথিবী আমাদের দেশ আরও ভালো ভাবে বলতে গেলে বিশ্বব্রহ্মাণ্ডই আমাদের দেশ৷ এই বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের এক কোণে পৃথিবী নামে যে ছোট গ্রহটা আছে সেই পৃথিবীর এককোণে বাঙালী নামে যে জনগোষ্ঠী আছে সেই জনগোষ্ঠীও অতীতের অন্ধকার থেকে এগোতে এগোতে তার অন্ধকারের নেশা শেষ হয়ে গেছে৷ তার জীবনে নোতুন সূর্যদয় এসেছে, এবার তাকে এগিয়ে চলতে হবে৷ চলাটাই তার জীবনধর্ম মরমের ভ্রুকুটিকে উপেক্ষা করে এগিয়ে চলবার মতো প্রাণশক্তি তার যথেষ্ট আছে’’৷ মানবমুক্তি

রাজ্যে করোনার প্রকোপ বাড়ছে

রাজ্যে করোনা সংক্রমণের হার প্রতিদিন বাড়ছে৷ এই অবস্থায় স্বাস্থ্য দপ্তর চতুর্থ টেউয়ের আশঙ্কা করছে৷ কিন্তু জনসাধারণের মধ্যে করোনা স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার কোন আগ্রহ দেখা যাচ্ছে না৷ মাস্ক, স্যানিটাইজেশন কোন কিছুরই ব্যবহার নেই বললেই হয়৷ ট্রেনে বাসে অধিকাংশ মানুষই মাস্কহীন৷ সরকার থেকে এখনও সেভাবে কোন উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য৷

শিলিগুড়িতে মহামিছিলের ডাক বাঙালী ছাত্রযুব সমাজের

বাঙালী ছাত্রযুবসমাজের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্যা অর্পিতা মণ্ডল এক প্রেসবার্র্তয় জানান--- অসাংবিধানিক জিটিএ চুক্তি বাতিলের দাবীতে ও বাঙলা ভাগের প্রতিবাদে শিলিগুড়িতে মহামিছিলের ডাক দিয়েছে বাঙালী ছাত্রযুব সমাজ৷ তিনি বাঙালী জাতির এই মহাসংকটে দলমত নির্বিশেষে সকল শ্রেণীর বাঙালী জনগোষ্ঠীকে এই মহামিছিলে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানান৷

"বন্যাক্রান্ত অসমের মানুষের পাশে সকলে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিন" -- বাঙালী ছাত্র যুব সমাজ

সাম্প্রতিক বিধ্বংসী বন্যায় বন্যাক্রান্ত অসম। ১৩০ জনের উপর মানুষ মারা গেছে । ২৫ লক্ষ্যের বেশি বন্যাক্রান্ত হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমান বেড়েই চলেছে । রাস্তায় নৌকাই এখন চলাচলের ভরসা। এই কঠিন পরিস্থিতিতে ত্রাণ বন্টনে সরকারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন বাঙালী ছাত্র-যুব সমাজের কেন্দ্রীয় সচিব তপোময় বিশ্বাস ।

জনপ্রতিনিধিরা জনচক্ষুর আড়ালে কেন?

মহারাষ্ট্রে গণতন্ত্রের প্রহসন নাটকের অন্তিম পর্বে এসে পৌঁচেছে৷  এই প্রতিবেদন লেখার সময় পর্যন্ত৷ সুপ্রিম কোর্টের রায় আস্থা ভোটের পক্ষে যাওয়ার পর আর দেরি করেন নি উদ্বব ঠাকরে৷ সপুত্রক রাজ্য পালের কাছে গিয়ে ইস্তফা দিয়ে আসেন৷  নূতন সরকার ঘটন এখন সময়ের অপেক্ষা অর্থ ও রাজশক্তির বলে গণতন্ত্রকে প্রহসনে পরিণত করে ক্ষমতার হাত বদলের আরও একটি অধ্যায় রচিত হলো মহারাষ্ট্রে৷

শিবসেনা নেতা একনাথ সিন্ধে উদ্ববের বিরুদ্ধে তার ক্ষোভের কারণ না জানিয়েই রাজ্য ছেড়ে বহুদূরে অসমের বিলাস বহুল হোটেলে দলবল নিয়ে আশ্রয় নেয়৷ প্রশ্ণ এখানেই?

উমানিবাস গার্লস হোমে সেনকো গোল্ডের উদ্যোগ

গত ২৮শে জুন ২০২২ ‘‘সেনকো গোল্ড এণ্ড ডায়মণ্ড’’ কলকাতা জুয়েলারী কোম্পানির দুজন প্রতিনিধি আনন্দনগর উমানিবাস গার্লস হোমের সি.এস.আর প্রোজেক্ট রিভিউর জন্যে আসেন৷ হোমের মেয়েদের সঙ্গে কথা বলেন তাদের পাঁচ বছরের ভবিষ্যত পরিকল্পনা, বর্তমান যে পরিবেশে ওরা রয়েছে এ সম্বন্ধে লিখতে বলা হয়৷ শ্রেণী অনুযায়ী তিনটি গ্রুপ করা হয়৷ প্রত্যেক গ্রুপের নামকরণ, গ্রুপ লিডার ওরা নিজেরাই ঠিক করে৷ ১ম থেকে ৪থ শ্রেণী পর্যন্ত গ্রুপের নামকরণ, গ্রুপ লিডার ওরা নিজেরাই ঠিক করে৷ ১ম থেকে ৪থ শ্রেণী পর্যন্ত গ্রুপের নামকরণ করে অঞ্জলী,৮ম শ্রেণীর গ্রুপের নামকরণ করে স্পন্দন, সিনিয়র যারা কলেজে পড়ে তাদের গ্রুপের নামকরণ করে পুষ্পাঞ্জলি৷ গ্র

আনন্দনগরে সেমিনার

গত ২৪,২৫,২৬ শে জুন,২০২২ ত্রি-দিবসীয় আনন্দনগর ফার্ষ্ট ডায়োসিস সেমিনার মিলিত প্রভাতসঙ্গীত, কীর্ত্তন, ঈশ্বর প্রণিধান ও বিভিন্ন বিষয়ে আলোকপাতের মাধ্যমে সমাপ্ত হয়েছে৷ সেমিনারের আচার্য বীতমোহানন্দ অবধূত (১) ইষ্ট ও আদর্শ (২) মানব সমাজ এক ও অবিভাজ্য (৩) জীবন, মৃত্যু ও সংস্কার (৪) ষোড়শ বিধির গুরুত্ব ও আবশ্যকতা আর আচার্য মোহনানন্দ অবধূত ‘‘অর্থনীতিতে গতিতত্ত্ব’’ বিষয়ের উপর বিশদ আলোচনা করেন৷ তিনদিনের এই সেমিনারে তাত্ত্বিক আলোচনা ছাড়া প্রত্যহ কীর্ত্তন,প্রভাত সঙ্গীত ও মিলিত ঈশ্বর প্রণিধান হয়৷