November 2021

কৃষ্ণনগর আনন্দমার্গ স্কুলে পালিত হল ৩৯তম প্রভাতসঙ্গীত দিবস

বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষা ব্রহ্মচারিনী সমর্পিতা আচার্যার উদ্যোগে কৃষ্ণনগর শ্যাঁকড়া পাড়া আনন্দমার্গ স্কুলে স্বারম্বড়ে পালিত হল ৩৯তম প্রভাত সঙ্গীত দিবস৷ বিশ্ববন্দিত মহান দার্শনিক ও সঙ্গীত গুরু শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকার রচিত ও সুরারোপিত প্রভাত সঙ্গীত, অবলম্বনে নৃত্য, সমবেত সঙ্গীত, সমবেত নৃত্য, প্রভাত সঙ্গীত আবৃত্তির মধ্যে দিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়৷ শিশু সদনের শিল্পী মামনি বিশ্বাস, পুর্ণতা সরকার, অনুপ্রিয়া দেব, আভা দেব, শুভ্রা সরকার, সোনালী বিশ্বাস, রাজ বিশ্বাস, প্রমুখ অনুষ্ঠানে অংশ গ্রহণ করেন৷ কৃষ্ণনগর রাওয়া সঙ্গীত শিল্পী সনৎ মৃধা, পূর্ণিমা বিশ্বাস, ও বিশিষ্ঠ রাওয়া সঙ্গীত শিল্পী তাপসী মুখার্জী রাওয়া নৃত্

রাণীহাটীতে খাদ্য বিতরণ

গত ১৫ই আগষ্ট হাওড়া রাণীহাটিতে ভলেন্টিয়ার সোশ্যাল সার্ভিস ও গার্লস ভলেন্টিয়ারের পক্ষ থেকে রাণীহাটি বাজারে খুচরো সবজি বিক্রেতাদের রান্না করা খাদ্য বিতরণ করা হয়৷ ভুক্তিপ্রধান সুব্রত সাহা ও আনন্দমার্গ প্রচারক সঙ্ঘের নারী কল্যাণ বিভাগের হুগলী ডায়োসিস সচিব অবধূতিকা আনন্দরুপলীনা আচার্যা সমগ্র অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন৷

মার্গীয় বিধিতে শ্রাদ্ধ

গত ৭ই সেপ্ঢেম্বর আলিপুরদুয়ারের বিশিষ্ট আনন্দমার্গী নরহরি রায় পরলোক গমন করেন৷ গত ১৫ সেপ্ঢেম্বর আনন্দমার্গে চর্যাচর্য বিধি মেনে তাঁর শ্রাদ্ধানুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়৷ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন ডায়োসিস সচিব ভক্তিনিষ্ঠানন্দ অবধূত৷ শ্রাদ্ধানুষ্ঠানের তাৎপর্য ব্যাখ্যা করে বক্তব্য রাখেন আচার্য নির্মলশিবানন্দ অবধূত৷

কৃষ্ণনগরে আনন্দমার্গ আয়োজিত মেডিকেল ক্যাম্প

গত ৪ঠা সেপ্ঢেম্বর ২০২১ শনিবার নদীয়া জেলার কৃষ্ণনগর সন্নিহিত আনন্দ- নগর গ্রামে নদীয়া জেলা আনন্দমার্গ সেবাদল কর্তৃক একটি মেডিকেল ক্যাম্পের আয়োজন করা হয়৷ উক্ত মেডিকেল ক্যাম্পে সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ডাঃ প্রশান্ত দত্ত মহাশয়ের উদ্যোগে গ্রামের শতাধিক দুঃস্থ মানুষকে বিনামূল্যে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা করা ও ঔষধ দেওয়া হয়৷ তাঁকে এ কাজে সহযোগিতা করেন কৃষ্ণনগর আনন্দমার্গ স্কুলের অধ্যক্ষা ব্রহ্মচারিনী সমর্পিতা আচার্যা, পুর্নতা দেব সহ আরও অনেকে৷ স্থানীয় জনসাধরণের মধ্যে আনন্দমার্গ সম্পর্কে আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন প্রবীন আনন্দমার্গী গৌরাঙ্গ ভট্টাচার্য৷

শ্যাঁকড়া পাড়া আনন্দমার্গ স্কুলে ‘জন্মাষ্টমী’ উপলক্ষ্যে অনুষ্ঠান

গত ৩০শে আগষ্ট সোমবার শ্রীকৃষ্ণের জন্মদিন ‘‘জন্মাষ্টমী’’ উপলক্ষ্যে কৃষ্ণনগর শ্যাঁকড়া পাড়া আনন্দমার্গ স্কুলে একটি সুন্দর অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষা ব্রহ্মচারিনী সমর্পিতা আচার্যা৷ বিশ্ববন্দিত মহান দার্শনিক ও সঙ্গীত গুরু শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকার রচিত সুরারোপিত প্রভাত সঙ্গীতের শ্রীকৃষ্ণ বিষয়ক  প্রভাত সঙ্গীত গুলির ওপর সঙ্গীত ও নৃত্য পরিবেশন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিশুসদনের শিশু শিল্পীরা৷ স্থানীয় রাওয়া শিল্পীরাও এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন৷ মিলিত সাধনার  পরে উপস্থিত সবাইকে মিলিত আহারে আপ্যায়িত করেন বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষা৷

‘আমরা বাঙালী’র জলপাইগুড়ি জেলায় ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের জন্মদিন পালন

গত ১২ই আশ্বিন (২৬শে সেপ্ঢেম্বর) শ্রেষ্ঠ শিক্ষাগুরু ও  ও মনুষ্যেত্বর প্রতিমুর্ত্তি পণ্ডিত ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর মহাশয়ের জন্মদিনটি জলপাইগুড়ি জেলার কদমতলা মোড়ে ‘আমরা বাঙালী’ দলের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধার সঙ্গে পালন করা হয়৷ প্রথমে ‘আমরা বাঙালী’ কর্মীরা পুষ্পার্ঘ দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন ও এই দিনটিকে  শিক্ষক দিবস হিসেবে ঘোষণা করার দাবীতে কদমতলা মোড়ে এক মহতী পথসভা করেন৷ এই সভায় বক্তব্য রাখেন খুশীরঞ্জন মণ্ডল, বিনয় সরকার, হরেন্দ্রনাথ রায়, মহিম সরকার, হরেন্দ্রনাথ সরকার ও তেজেন্দ্র মণ্ডল৷ বক্তারা বলেন রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারকে জাতীয় শিক্ষক দিবস হিসাবে এই দিনটিকে ঘোষণা করতে হবে৷ কারণ পণ্ডিত ঈশ্বরচন্দ্র বিদ

ছাঁচি কুমড়ো বা চাল কুমড়ো

Benincasa cerifera Savi.

পরিচয় ও প্রজাতি ঃ ছাঁচি কুমড়ো সাধারণতঃ মাটিতে হয় না৷ ঘরের চালাতে বা মাচাতে এই লতানে গাছটাকে তুলে দিতে হয়৷ এর জন্যে ছাঁচি কুমড়োকে গ্রাম–ৰাংলায় অনেকে চালকুমড়োও ৰলেন৷ এরও তিনটি ঋতুগত প্রজাতি রয়েছে৷ বর্ষাতী চালকুমড়োকে অবশ্যই মাচায় অথবা ঘরের চালে তুলে দিতে হয়৷ শীতের প্রজাতির ছাঁচি কুমড়োকে মাটিতেই ৰেড়ে যেতে দেওয়া হয়৷ তবে কেউ ইচ্ছে করলে মাচায় তুলে দিতে পারেন৷ গ্রীষ্মকালীন চালকুমড়ো মাটিতেই ৰেড়ে যেতে থাকে৷ (একেও) কেউ ইচ্ছে করলে মাচায় তুলে দিতে পারেন৷ তবে বর্ষাতী চালকুমড়োকে মাচায় তুলে দিতেই হবে, নইলে পোকার আক্রমণে ফলটি নষ্ট হবেই.....গাছও নষ্ট হবে৷

বাঙলার সঙ্গে সিংহল ও কেরলের যোগসূত্র

সে আজ অনেকদিন আগেকার কথা৷ সেটা সম্ভবতঃ খ্রীষ্টপূর্ব ৫৩৪ সাল৷ রাঢ়ের রাজকুমার বিজয় সিংহ জলপথে সিংহলে আসেন–সঙ্গে নিয়ে আসেন সাত শত–র মত অনুচর৷ তখন রাঢ়ের রাজধানী ছিল সিংহপুর (বর্তমানে হুগলী জেলার সিঙ্গুর)৷ আর বন্দর ছিল সিংহপুরেরই নিকটবর্তী একটি স্থানে৷ পরবর্তীকালে সেই স্থানটির নাম হয়ে যায় সিংহলপাটন (স্থানটি সিঙ্গুরেরই কাছে)৷ বিজয় সিংহ লঙ্কা জয় করেন৷ তিনি ও তাঁর অনুচরেরা স্থায়ীভাবে লঙ্কায় বসবাস করেন৷ এঁরাই হলেন বর্তমান সিংহলী জনগোষ্ঠীর পূর্ব–পুরুষ৷ এই সিংহলীরা চালচলনে রীতিনীতিতে, আচারে ব্যবহারে বাঙালীদের খুবই নিকট৷ মুখাবয়ব বাঙালীদের মতই৷ কথা না বললে কে বাঙালী কে সিংহলী চেনা দায়৷ সিংহলী ভাষা বাংলা

নিবেদন

শ্রী প্রণবকান্তি দাসগুপ্ত

আমার সকল অঙ্গ

                                তোমার সঙ্গ চায় গো

আমার অষ্ট অঙ্গ 

                                লুটায় তোমার পায়  গো৷

                অজ্ঞানতার অন্ধকারে

                                হাত বাড়িয়ে ধরবো কারে

আমি যাকেই ধরি

                                সেই তো সরে যায় গো৷

আমার সকল অঙ্গ

                                তোমার সঙ্গ চায় গো৷

আমার সবাই ছেড়ে

                                যাবেই চলে জানি গো৷

আমি সুখের আশায়

                                মিছেই তাদের টানি গো৷

জলছবি

বিভাংশু মাইতি

বৃষ্টি জলে টল মল করে

পথ-ঘাট নদী-নালা

ভাসছে জলে আবর্জনা

কালির গলার মালা৷

করোনাকালে অথই জলে

গরীবের সংসার

নুন আনতে পান্তা ফুরোয়

চারদিকে হাহাকার৷

মুনাফাখোরের গোঁফে তা

দ্বিগুন হবে দাম

জোঁকের মত রক্ত চুষে

বলবে জয় শ্রীরাম৷

শাসকদল বেচে দেবে

দেশেরই সম্পদ

বলবে কী আর করা যাবে

আসে যদি বিপদ৷

ভাসছে মানুষ, ভাসছে পশু

ভাসছে গোটা দেশ

শাসক-শোষক দল বেঁধে

করলো সব নিঃশেষ৷

জাগো মানুষ জাগো

কালনিদ্রা ভাঙ্গো

নোতুন ধরা গড়তে হবে