July 2019

অসমে এন.আর.সি তালিকা থেকে আরও  লক্ষাধিক নাম বাদ

অসমের নাগরিকপঞ্জীর নূতন তালিকা থেকে আবার লক্ষাধিক বাঙালীর নাম বাদ পড়ল৷ আগে ৪০ লক্ষ ৭হাজার  ৭০৭ জনের  নাম বাদ পড়ে গিয়েছিল৷ এবার তার সঙ্গে আরও ১ লক্ষ ২হাজার ৪৬২ জনের নাম বাদ পড়ল৷ অর্থাৎ মোট বাদ পড়ল ৪১,১০,১৬৯ জনের  নাম৷

বলা বাহুল্য, অসমের উগ্র অসমীয়াদের সন্তুষ্ট করতেই এইভাবে  অসমে  স্থায়ী বসবাসরত  লক্ষ লক্ষ মানুষকে  বিদেশী বলে চিহ্ণিত করা হচ্ছে৷

দলীয় কর্মীদের কাটমানি ফেরতের নির্দেশকে কেন্দ্র করে সারা রাজ্যজুড়ে অশান্তি

গত ১৮ই জুন কলকাতার নজরুল  মঞ্চে পুরসভার নির্বাচিত দলীয় প্রতিনিধিদের  সভায় মুখ্যমন্ত্রীর বিভিন্ন জনহিতকর প্রকল্পে  দলীয় কর্মীদের কাটমানি নেওয়ার বিরুদ্ধে  সরব হওয়াকে কেন্দ্র করে গোটা রাজ্যজুড়েই অশান্তি শুরু হয়ে গেছে৷ মুখ্যমন্ত্রীর এই  নির্দেশকে  হাতিয়ার  করে বিজেপি  কর্মীরা রাজ্যজুড়ে জনসাধারণকে বিক্ষোভ  আন্দোলনে সামিল করার কর্মসূচী নিয়েছে৷ তাই বিভিন্ন স্থানে সরকারী  বিভিন্ন  প্রকল্পে কাটমানি ফেরতের দাবীতে জনসাধারণ তৃণমূল নেতাদের  বিরুদ্ধে বিক্ষোভ জানাচ্ছে, কোথাও বা তাঁদের বাড়ীতে  হামলা করছে৷ গত ২৩ শে জুন বর্ধমান জেলার মঙ্গলকোটের  চানক পঞ্চায়েতের উপপ্রধান রীণা চক্রবর্তীর বাড়ীতে বিক্ষুদ্ধ জনসাধ

কলকাতা সহ বিভিন্ন স্থানে আনন্দমার্গের সেমিনার

গত ২১, ২২ ও ২৩শে জুন কলকাতায় আনন্দমার্গের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আনন্দমার্গের সেমিনার অনুষ্ঠিত হ’ল৷ এটি ছিল আনন্দমার্গের প্রথম ডায়োসিস স্তরীয় সেমিনার৷ এই সেমিনারে আলোচনার বিষয় ছিল, ‘সামাজিক মূল্য ও মানবিক মৌলনীতি’, ‘আনন্দপ্রাপ্তির পথ’, ‘ষড়দোষাঃ পুরুষেণেহ হন্তব্যাঃ’ ও ‘আদর্শ সংবিধানের জন্যে প্রয়োজনীয় উপাদান’৷ সেমিনারে উক্ত বিষয়গুলির ওপর বিস্তারিত আলোচনা করেন আচার্য চিতিবোধানন্দ অবধূত ও অবধূতিকা আনন্দ চিতিসুধা আচার্যা৷ এই সেমিনারটির ব্যবস্থা- পনায় ছিলেন আচার্য মোহনকৃষ্ণানন্দ অবধূত ও কলকাতার ভুক্তিপ্রধান শ্রীমতী সুনন্দা সাহা৷

আন্তর্জাতিক যোগ দিবসে যোগবিদ্যা বিষয়ে আলোচনা ও প্রশিক্ষণ

কলকাতা ঃ গত ২১শে জুন সকালবেলায় ইন্দিরা গান্ধী জাতীয় মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোগে কলকাতার প্রসিদ্ধ সত্যপ্রিয় রায় বি.এড কলেজের সভাগৃহে যোগবিদ্যা ও যোগ প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়৷ এই অনুষ্ঠানের প্রধান বক্তা ছিলেন আনন্দমার্গ প্রচারক সংঘের প্রবীণ সন্ন্যাসী আচার্য কাশীশ্বরানন্দ অবধূত৷ প্রবীণ আচার্য তাঁর বক্তব্যে বলেন, এই অমূল্য বিদ্যার আদিগুরু হলেন যোগেশ্বর শিব৷ প্রায় সাত হাজার বছর পূর্বে মানব জাতির সর্বাঙ্গীন কল্যাণের উদ্দেশ্যে শিব এই মহাবিদ্যার প্রবর্ত্তন করেন৷ তিনি তাঁর পুত্র ভৈরব, কন্যা ভৈরবী, ভরত, ধনন্তরী সহ তখনকার সাধারণ মানুষকে এই বিদ্যা শিক্ষা দিয়েছিলেন৷ শিবের এই যোগবিদ্যা অভ্যাস

‘‘জয় বাংলা’’-বাংলার জয়

জ্যোতিবিকাশ সিন্হা

২০১৯ এর লোকসভা নির্বাচনে জয়ী সাংসদদের লোকসভায় শপথ গ্রহণের সময় পশ্চিমবঙ্গ থেকে নির্বাচিত অধিকাংশ সাংসদ বাংলায় শপথ গ্রহণ করেন ও শপথের আগে বা পরে তাঁরা বিভিন্ন জয়ধবনিসূচক শব্দবন্ধও উচ্চারণ করেন৷ যদিও নিয়মানুযায়ী শপথের জন্যে নির্দিষ্ট বয়ানের অতিরিক্ত শব্দবন্ধগুলি সংসদের রেকর্ডে নথিবদ্ধ হয় না, তথাপি ওই জয়ধবনিগুলির মাধ্যমে বক্তার মানসিক অভিব্যক্তির বহিঃপ্রকাশটি অবশ্যই লক্ষ্যণীয়৷ ওইসকল শব্দবন্ধগুলিতে যেমন পৌরাঢ়ণিক দেব-দেবী বা ধর্মীয় সম্প্রদায়গত জয়ধবনি ও ভারতমাতার নামে জয়ধবনি ছিল, ঠিক তেমনি ছিল জয়হিন্দ,বন্দেমাতরম্, জয় বাংলাও৷ কার্য-কারণ পরম্পরা যা-ই হোক না কেন, সংসদকক্ষে বাংলার নামে জয়ধবনি বড় একটা

মুক্তিলাভের একমাত্র পথ ভক্তি

মানসিক রূপান্তরণের দ্বারাই জীব মুক্তির পথ প্রশস্ত করতে পারে, আর সেটা তখনই সম্ভব হয় যখন জীব পরমপুরুষকে নিজের একমাত্র আভোগ বা আরাধ্য হিসেবে স্বীকার করে নেয়৷ মানুষের তথা সাধকের স্বভাবই হচ্ছে পরমপুরুষরূপ মানস–আভোগ থেকে উৎসারিত তরঙ্গসমূহের সঙ্গে একাত্ম হয়ে তাঁর সমস্ত গুণকে আত্মসাৎ করে নেওয়া৷ তাই বলা হয়েছে ঃ–

‘‘অপিচেৎ সুদূরাচারো ভজতে মামনন্যভাক৷

সো অপি পাপবিনির্মুক্তো মুচ্যতে ভববন্ধনাৎ৷৷’’

সুদূরাচারী কাকে বলব? দূরাচারী কথাটার অর্থ হচ্ছে সবচেয়ে নিকৃষ্ট ধরনের পাপী৷ আর সুদূরাচারী মানে হ’ল দূরাচারীও তার পাপের জন্যে তাকে ঘৃণা করে৷

মানব প্রগতি

এই পরিদৃশ্যমান বিশ্বে রয়েছে তিনটি স্তর–আধিভৌতিক, আধিদৈবিক ও আধ্যাত্মিক বা কারণ৷ এছাড়া রয়েছে একটা মানসাতীত স্তর৷ আবার মানবীয় অস্তিত্বেও রয়েছে তিনটি স্তর–স্থূল, সূক্ষ্ম ও কারণ৷ এ ছাড়া রয়েছে এক প্রতিফলিত চৈতন্য৷ এই চৈতন্যের স্তরে বিকাশের কোন প্রশ্ণ নেই, কারণ আত্মা হ’ল গুণাতীত অতীন্দ্রিয় সত্তা৷ যেখানে রয়েছে অপূর্ণতা ও নশ্বরতা সেখানেই রয়েছে বিকাশের সুযোগ৷ অপূর্ণতা থেকে পূর্ণতার দিকে গতিই হ’ল প্রগতি৷ মানসাতীত স্তরে কোন প্রগতি নেই, কারণ তা’ পূর্ণ ও শাশ্বত৷ কেবল মানসিক স্তরে এই প্রগতির পূর্ণ সুযোগ রয়েছে৷ স্থূল শরীর যে পাঞ্চভৌতিক উপাদানে তৈরী সেই পাঞ্চভৌতিক উপাদান ভূমধ্যসাগরের স্থূল অভিব্যক্তি ছাড়া

কাটমানি  প্রসঙ্গে

গত ১৮ই জুন দক্ষিণ কলকাতার  নজরুল মঞ্চে রাজ্যের সমস্ত পুরসভার  নির্বাচিত  দলীয়  প্রতিনিধিদের  নিয়ে বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই অভিযোগ করেছেন, নানান্ জনহিতকর প্রকল্পে জনগণের  স্বার্থে সরকার  যে অর্থব্যয় করছেন, দলীয় নেতা  কর্মীরা  তার কাটমানি  অর্থাৎ কমিশন  নিচ্ছেন, এটা তাঁর অজানা নয়৷

কৃত্রিম হিন্দিভাষা নয়, সংস্কৃত ভাষা শিক্ষা বাধ্যতামূলক হোক

সুকুমার সরকার

‘‘হিন্দি, হিন্দু, হিন্দুস্তান’’---এই শ্লোগানই প্রমাণ করে যে সংঘ পরিবার ও সংঘ পরিবারের বিজেপি মোটেই ভারতীয় সনাতন আদর্শে আদর্শায়িত নয়৷ শ্লোগানের এই তিনটি শব্দই মুসলমানদের দান৷ আরব মুসলমানেরাই তাদের ভাষার উচ্চারণে প্রাচীন সিন্ধু অববাহিকার মানুষদের হিন্দু বলে অবিহিত করেছে, সমগ্র দেশকে তারাই হিন্দুস্তান বলেছেন৷ সুতরাং হিন্দু বা হিন্দুস্তান আজ যতটা জাতি বা ধর্মমত বাচক, তার চেয়ে বেশি দেশ বাচক৷ সেই দেশ বাচকতায় ভারতে বসবাসকারী সকল মানুষই হিন্দু৷

শান্তি ও অহিংসার পীঠস্থান ভারত বর্তমানে বিশ্বশান্তি সূচকে নিম্নগামী দেশ

প্রভাত খাঁ

অত্যন্ত দুঃখের ও লজ্জার কথা, তা হ’ল ভারতের মত বিরাট দেশ যে দেশ শান্তি ও অহিংসার বাণী বিশ্বকে আজীবন শুনিয়ে এসেছে সেই দেশ আজ বিশ্বশান্তি সূচকে নিম্নগামী, গত ১৬ই জুন ফাদারস্ ডে তে দিল্লী থেকে প্রকাশিত হয় এই সংবাদ৷ ইণ্টার ন্যাশনাল থিঙ্ক ট্যাঙ্কের প্রকাশিত সংবাদের রিপোর্টে এই তথ্য উঠে আসে৷ গ্লোবাল পিস্ ইনডেকস্ জানিয়েছে ভারতের অভ্যন্তরে হিংসা বাড়ছে৷ --- ভারতীয় সমাজে দ্বন্দ্ব, হিংসা ও অশান্তি ধারাবাহিকভাবে অব্যাহত৷ দেশের সীমান্তে রক্তপাতের পরিমাণ বেড়েই চলেছে, রিপোর্টে জানা গেছে পৃথিবীর ক্ষুদ্রতম দেশ ভুটান প্রথম ২০টি দেশের মধ্যে স্থান করে নিয়েছে৷ গত ১২ বছরে ৪৩ ধাপ এগিয়ে প্রথম ২০তে ঢুকে পড়েছে ভুটান৷